মন খুঁজে বেড়ায়
মন খুঁজে বেড়ায়
ছেলেটির সবচেয়ে প্রিয় কাজ ছিল সবচেয়ে কোণার সিটটা খুঁজে নেয়া। সেই ছেলেটি একদিন একটা ভুল করে বসলো।
এমনি এক বৃষ্টিস্নাত দিনে ছেলেটি ভুল করে বসলো। একটা গাঢ় নীল ছাতা তার পাশ দিয়ে যাবার সময় হঠাৎ কিভাবে যে পিছলে গেল, তা দেখার মতো অবস্থা তখন ছাতার মালিকের ছিল না। ছাতা কুড়িয়ে ছেলেটি ছাতার মালিকের কাছে ফিরে এল, ছাতা ফিরে পেয়ে মেয়েটি তার দিকে তাকিয়ে সামান্য হেসে চলে গেল। ছেলেটি তার জীবনের সবচেয়ে ব্যক্তিগত ভুলটি করে বসলো।
এরপর শুরু হল স্কুলের করিডরে আর বারান্দার কোণায় নির্ঘুম চোখের প্রতীক্ষা। মাঝখানের দু’বছরে ছেলেটি কিন্তু কিছুই হয়ে উঠতে পারেনি। এখনো সে ক্লাসের সবচেয়ে কোণার সিটটা খোঁজে।সে মেয়েটিকে কিছু বলতে সাহস পায়নি ।
পাঁচ মাসের টিউশনির টাকা জমিয়ে ছেলেটি একদিন একটা বাইসাইকেল কিনে ফেলে। সে দেখেছিল, যে ছেলেটা মেয়েটিকে প্রায়ই বাড়ির দিকে এগিয়ে দেয়, তারও একটি বাইসাইকেল আছে। তবুও ছেলেটি ভুল করে। কোন এক বৃষ্টির দিন কলেজ ছুটির পর সাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। মেয়েটি যখন কলেজের গেট দিয়ে বের হচ্ছিল, তখন সে মেয়েটির সামনে দিয়ে সাইকেল ঘুরিয়ে আনতে চায়। মেয়েটি জেনে যায় সাইকেলের রহস্য। রাস্তার ধুলো মাখা একটা সাইকেল ছেলেটাকে নিয়ে রওনা দেয় শহরের অন্য প্রান্তে।
আমি জানিনা ছেলেটি কখনো জানবে কিনা, সেই রাতে মেয়েটিও কেঁদেছিল তার জন্যে। কেন কেঁদেছিল, তা সে জানলেও বলতে চায়না।