Unveiling the Enchanting Journey of a 14-Year-Old & Discover Life's Secrets Through 'My Slice of Life'. Grab it NOW!!
Unveiling the Enchanting Journey of a 14-Year-Old & Discover Life's Secrets Through 'My Slice of Life'. Grab it NOW!!

Alpana Mitra

Classics Inspirational

2  

Alpana Mitra

Classics Inspirational

পঙ্গুত্ব

পঙ্গুত্ব

3 mins
429


হ্যাঁরে ইশিকা, আর খুঁজে পেলি না। শেষমেষ কিনা একটা প্রতিবন্ধী ছেলেকে ভালবাসলি....! ছেলের কি অভাব ঘটেছে তোর কলেজে! - মা তুমি এমন কথা বলছো! আজ যদি তোমার ছেলে প্রতিবন্ধী হতো! জানো অঙ্কুশের কি গুন! ওর লেখাপড়া, কালচার আর সাংস্কৃতিক বোধের কাছে অনেক সুস্থ মানুষ প্রতিবন্ধী। - চুপ কর। তোর বাবা মরে যাওয়ার পর বেশী আস্কারা দিয়ে ফেলেছি দেখছি! আর নয়। অনেক হয়েছে। অসুস্থ প্রতিবন্ধী..... তার সঙ্গে প্রেম! আমি তোর সাফাই ঢের শুনেছি..... আর নয়। - অঙ্কুশের ছোট থেকে একটা পা ছোট আর রোগা, তাই বলে ও কোনো কাজে পিছিয়ে নেই। কলেজে মনীষীদের জন্মজয়ন্তীতে এত সুন্দর বক্তব্য রাখে.... গোটা কলেজ চুপ করে শোনে। কি সুন্দর গান গায় জানো মা! - চুপ কর ইশিকা। অনেক সহ্য করেছি। বাপের পেনশনে তোকে কলেজে পড়ানোটাই আমার ভুল হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকের পরই তোকে বিয়ে দিলে আজ এ দিন দেখতে হতো না। আজ মা'য়ের দিকে তাকিয়ে ইসিকার মনে হলো..... সামনে দাঁড়িয়ে এক বিষধর সাপ..... মাকে নারী ভাবতে ঘৃণা করছিল। - তাকিয়ে কি দেখছিস! আগের শক্তি থাকলে তোর ঠ্যাং ভেঙে বিছানায় ফেলে রাখতাম। - মা! সমাজের অনেক কাজ করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত নেতা থেকে...... সাধারণ মানুষ নানা ভাবে বাঁধা দেয়। অঙ্কুশদার সঙ্গে থেকে বুঝেছি..... কি ভাবে সমস্যাগুলোকে ট্রাকেল করতে হয়। আমার ঘরে যে তুমি এক বিঢ়াট প্রতিদন্ধী ভুলেও ভাবতে পারিনি। মা' য়ের গজগজানি শুনতে শুনতে ইসিকা কলেজে পা বাড়ায়.... অটোস্ট্যান্ডে প্রচুর লাইন। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারে ১১-৩০ শের ক্লাশটা করতে পারবে না মনে হয়। হঠাৎ অরুনাভ..... - চল! আমি তোর কলেজের দিকেই যাচ্ছি, নামিয়ে দেবো। - হেলমেট ছাড়া! - চল না। ভিতর দিয়ে চলে যাবো। মোবাইল টা জিন্সের পকেটে ঢুকিয়ে অরুনাভোর বাইকের পিছনে বসে পড়ল। কিন্তু আজ মাকে দেখে ইসিকা ভাবছে..... আমরাই আন্তর্জাতিক নারী দিবসে.... কত বড়বড় কথা বলি! হঠাৎ খুব জোরে ধাক্কা খেলো ইসিকা। তারপর আর মনে নেই। জ্ঞান ফিরতেই দ্যাখে হাসপাতালের বেডে শুয়ে।বিনিথ, অঙ্কুশ, মধুরিমা, সোহিনী..... তাকাতে তাকাতে চোখ বন্ধ হয়ে এলো। অরুনাভো আর নেই। ইশিকা ক্রাচে ভর দিয়ে বাড়ি ফিরলো। ডান পা হাটুর নীচ থেকে বাদ গেছে। মা'য়ের কথা মনে পড়লো..... ' আগের শক্তি থাকলে ঠ্যাং ভেঙে বিছানায় শুয়ে রাখতাম '। বসুধা মেয়েকে এমন অবস্থায় দেখবে ভাবতেও পারে নি! বাড়িতে অনেকেই দেখতে এলো। এলো অঙ্কুশদা। মা তাড়াতাড়ি টুল এগিয়ে দিল। না। ইসিকা আর কারো দিকে মুখ ফেরাবে না। বিনিথ ডাক্তারি পড়ছে। সে ইশিকাকে যোগ্য সম্মান দেবে। অঙ্কুশ তো ওকে ছাড়া যে কোনো আন্দলোন সম্ভব নয় জানিয়ে দিল। ইশিকা সব প্রস্তাব ফিরিয়ে দিল এই ভেবে..... যে সে অরুনাভোর মত বড়লোকের ছেলের পাল্লায় পড়ে পা'টা হারালো। কিন্তু সেদিন মা'য়ের সঙ্গে অঙ্কুশকে নিয়ে বচসা তারপর অরুনাভোর বাইকে যাওয়া সবই ছিল মুহূর্তের ঘটনা। দেখতে দেখতে প্রায় পনেরো বছর পার হয়ে করলো কারোর সাহায্য ছাড়াই। মা মারা গেছে পাঁঁচ বছর হলো। হঠাৎ মিছিলের আওয়াজ পেলো। ক্রাচে ভর দিয়ে এগিয়ে গেল..... ইশিকা। বিশাল মিছিল। আন্তর্জাতিক নারীদিবস। মিছিলের পুরো ভাগে অঙ্কুশ, বিনিথ, মধুরিমা। ইশিকা ক্রাচে ভর দিয়ে বাইরে এলো আস্তে আস্তে ওদের মাঝখানে গিয়ে দাঁড়ালো.... মনের সব পঙ্গুতা দূর করে।


Rate this content
Log in

More bengali story from Alpana Mitra

Similar bengali story from Classics