ফেলুদা বনাম জটাদা: তৃতীয় পর্ব
ফেলুদা বনাম জটাদা: তৃতীয় পর্ব


ফেলুদা বনাম জটাদা: পর্ব ৩
আইস স্কেটিং রিং থেকে বেরোতে বেরোতে প্রায় বিকেল সাড়ে তিনটে বেজে গেলো। রাস্তার উল্টোদিকেই একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকে আমরা লাঞ্চটা সেরে নিচ্ছিলাম।
পিঙ্কির নাকি আজ ডায়েটিং আছে। তাই বিশেষ কিছু খাবে না। একটা পেল্লাই মাপের ডবল স্কুপ আইসক্রিম নিয়েছে শুধু। জটাদা চিকেনের একটা আইটেম নিয়েছে, যেটা দুজনে শেয়ার করে নেবো। তার সঙ্গে ওর জন্য রুটি, আর আমার ফ্রায়েড রাইস।
"তোর এই ডায়েটিং এর ব্যাপারটা আমি বুঝলাম না। রোজ নতুন একটা কিছুর শখ চাপে মনে হয় তোর ঘাড়ে।" খেতে খেতে পিঙ্কিকে বললাম আমি। "দিন কে দিন যা মোটা হচ্ছিস, আইসক্রিম খাওয়াটা কমা এবার। ডায়েটিং এ আইসক্রিম খায়, এরকম মেয়ে আমি বোধহয় আমার চোদ্দ পুরুষে দেখিনি।"
"তোর চোদ্দ পুরুষের নাম বলতে পারবি ?" পিঙ্কি আইসক্রিমের উপরটা আস্বাদে চাটতে চাটতে বললো। জটাদা দেখি হাসছে।
"কেন পারবো না ?" আমি বললাম। "আমি ঋভু। একটা পুরুষ হলো। আমার বাবা -"
"তুই পুরুষ ? আচ্ছা, ঠিক আছে, ধরলাম পুরুষ, তারপর বল। বলে যা -।"
"তুই কী বলতে চাইছিস ?"
"তুই বাকি তেরো পুরুষের নাম বল দেখি আগে।"
"আমার বাবা নলিনীচরণ রায়, তার বাবা দুর্গাচরণ রায়, তার বাবা শ্যামাচরণ রায়, এরকম আছে।"
"এরকম আছে ?"
"আছে। তোকে কেন বলতে যাবো সব নাম ?"
"তাহলে আমার আইসক্রিম খাওয়া নিয়েও বলবি না। আমি অন্য মেয়েদের মতো নই। আমি এক্সেপশনাল। বুঝলি ? বুঝলেন বাবা ঋভুচরণ ?"
"অ্যাই, একদম আমার নাম নিয়ে এরকম - জটাদা তুমি কিছু বলো তো ওকে।"
জটাদা খাওয়া থামিয়ে উত্তর দিলো, "বলছি। প্রায় তিনশো বছর আগে, বঙ্গীয় রাঢ় অঞ্চলের প্রসিদ্ধ ব্রাহ্মণ ছিলেন চন্ডিচরণ রাই। তার পুত্র পদ্মলাভ রাই, এবং পদ্মলাভ রাইয়ের পুত্র হলেন আমাদের নন্দকুমার। যার কথা ঋভুকে সেদিন বলছিলাম। বুঝলি পিঙ্কি ? সেও কিন্তু চরণ থেকেই শুরু। খুঁজলে দেখা যাবে হয়তো আমরা মহারাজা নন্দকুমারের বংশধরের সাথে বসেই লাঞ্চ করছি আজকে।"
জটাদার বর্ণনা শুনে পিঙ্কি তো হেসে লুটোপুটি। আমি বললাম, "তুমি এসব ছাড়ো তো। জটাদা, আজ এক্সিবিশানে আমরা যখন ঘুরে ঘুরে এটা-ওটা দেখছিলাম, তুমি দেখলাম কয়েকজনের সঙ্গে একটা কিছু নিয়ে আলোচনা করছিলে।"
"হ্যাঁ, আমি জানার চেষ্টা করছিলাম যে এরকম দু'শো বছরের পুরোনো একটা সিগারেট কেস এখন কীরকম দাম হতে পারে। মানে এখানে নিয়মিত আসে বা নিলামে অংশগ্রহণ করে, এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে তাদের কাছ থেকে একটা আন্দাজ পাওয়ার চেষ্টা করছিলাম।"
"কী জানতে পারলে ?"
চিকেনের একটা পিস মুখে পুড়ে দিয়ে জটাদা বললো, "যা বুঝলাম, ওরকম একটা কাঠের বাক্সের দাম খুব বেশি হলে আট-দশ হাজারের বেশি পাওয়া যাবে না।"
"এতো কম ? ওই অতো দিনের পুরোনো একটা জিনিসের দাম মাত্র দশ হাজার টাকা ?" আমি বেশ অবাক হলাম।
"হ্যাঁ। তুই হয়তো ভেবেছিলিস লক্ষ লক্ষ টাকা দাম হবে ওটার। আমিও ভেবেছিলাম। কিন্তু মনে একটা সন্দেহ ছিলো। সেটা যাচাই করে নেবার জন্যই তো এই নিলামঘরে আজ ঢুঁ মারা।"
"তাহলে এখন ব্যাপারটা কী দাঁড়ালো ?" পিঙ্কি জিজ্ঞাসা করলো।
"ব্যাপারটা তাহলে এই দাঁড়ালো যে -" জটাদা খোলসা করে বললো, "এই খুনটা যদি ওই সিগারেটের বাক্সের জন্যই হয়ে থাকে, তাহলে ওটা কোনো মামুলি বাক্স নয়। ওটার পিছনে আরও কোনো কাহিনী আছে, যা হয়তো মিস্টার ডিসুজা নিজেও জানেন না।"
ডিসুজা সাহেবের বাড়িতে আমরা পৌঁছালাম সন্ধ্যে ঠিক ছ'টা বাজতে দশ। আমাকে ওনারা কালকেই দেখেছিলেন। জটাদা আজ পিঙ্কির সাথে ওনাদের আলাপ করিয়ে দিলো। তারপর কাজ শুরু করে দিলো। আমরা বসলাম ভিতরের দিকের একটা ঘরে। ঘরের একটা দেওয়াল জুড়ে বিশাল বড়ো মা মেরীর ছবি।
ডিসুজা বললেন, "আপনি সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান, তাই তো ?"
"হ্যাঁ, আপনাকে দিয়েই শুরু করা যাক। বাকিদের একটু বাইরে অপেক্ষা করতে বলুন।"
মিসেস ডিসুজা বাইরের ঘরেই ছিলেন। ঢোকার সময় মারিয়াকে দেখতে পাইনি আমরা। ঘরে অন্য কেউ বলতে অ্যালিস্টার ছিলো। সে বেরিয়ে যাওয়ার পর জটাদা ডিসুজাকে বললো, "আপনার ওই কাঠের সিগারেট কেস, যেটা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না - সেটার সম্বন্ধে কে কে জানতো বলে আপনার ধারণা ?"
"জানতো কেউ কেউ । এই বাড়ির তো সবাই জানে।"
"এই বাড়ির সবাই মানে অ্যালিস্টারকে ধরে ?"
"হ্যাঁ, অবশ্যই। এমনি যে কখনো ওর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে সিগারেট কেস নিয়ে, সেরকম তো মনে পড়ে না। তবে ও মনে হয় জানতো যে এটা অনেক দিনের পুরোনো জিনিষ। মানে জানাটাই স্বাভাবিক আরকি। আর আমাদের বিডন স্ট্রিটের বাড়ির লোকজন জানতো। আমার ছোটবেলার কয়েকজন বন্ধুও জানতো, মানে যাদের যাতায়াত ছিলো বাড়িতে। তবে তাদের সঙ্গে এখন আর যোগাযোগ বিশেষ নেই।"
"আপনার কোনো এক বন্ধুস্থানীয় এসেছিলেন না পরশুদিন পার্টিতে ?"
"হ্যাঁ, তীর্থঙ্কর ব্যানার্জি। মৌলানা আজাদের ফিজিক্সের প্রফেসর। বন্ধু মানে একরকম আমার কলিগ, কলেজে প্রফেসারি করতে গিয়েই আলাপ হয়। তার তো জানার কথা নয় যে আমার বাড়িতে সুপ্রাচীন কোনো জিনিষ আছে।"
"আপনি কখনো বাইরে নিয়ে যেতেন না বাক্সটা ?"
"না, না। সিগারেট তো সিগারেটের প্যাকেটেই থাকে। ওটা জাষ্ট একটা শখের জিনিষ।"
"বাক্সটা এমনিই ফ্রিজের মাথায় রাখা ছিলো বললেন। তো কেউ যেতে আসতে কখনো নিয়ে নিতেও তো পারে। বিশেষ করে এই বাড়ির সিকিউরিটি বলে কিছুই তো নেই দেখলাম।"
"আমাদের ফ্ল্যাটের দরজা সবসময় বন্ধই থাকে। কেউ এসে ওরকমভাবে নেবে কীভাবে ? আমাদের কখনো মনে হয়নি সেকথা। যে আসবে, সে তো আমাদের পরিচিত কেউই হবে। তবে এখন অবশ্য জিনিষটা চুরি যাওয়ার পর সত্যিই আফশোষ হচ্ছে।"
"আচ্ছা, আপনার প্রোমোটার, মানে যিনি ওই শপিং মলটা তৈরী করছেন, ওনার সাথে আপনার কখনো বাকবিতন্ডা বা কিছু ঝামেলা কখনো -"
ওদের কথোপকথনগুলো শুনে বিশেষ বিশেষ অংশ আমি খাতায় নোট করছিলাম। পিঙ্কি পুরোটা রেকর্ডিং করে নিচ্ছিলো অডিওতে।
ডিসুজা বললেন, "ওনার নাম বিজয় পোদ্দার। আমি বরাবরই পুরোনো জিনিষের কদর করতে ভালোবাসি। এই যে আমাদের বাড়িটা, বিডন স্ট্রিটে, সেটার লাগোয়া আরো অনেকগুলো বাড়ি নিয়ে ছিলো একটা মার্কেট। নিচটা মার্কেট, উপরে আমরা যারা বাসিন্দা ছিলাম আরকি। পুরোনো বাড়ির একটা গন্ধ আছে, জানেন। তাদের ইঁটের গায়ে গায়ে কত কাহিনী লেখা থাকে। ওই বাড়িতেই আমরা ছোট থেকে বড়ো হয়েছি। আমার তো সেসব ভেঙে ফেলার ইচ্ছাই ছিলো না। কিন্তু যাইহোক, একা প্রতিবাদী হলে তো আর চলে না এযুগে। বাকিরা যখন মত দিলো, আমিও রাজি হয়ে গেলাম ফ্ল্যাট তোলার ব্যাপারে। একটা করে দোকানও পাচ্ছিলাম প্রত্যেকে। কিন্তু দোকানের মাপ নিয়ে একবার একটা বচসা মতন হয়েছিলো। প্রোমোটার সরু গলির মতো একফালি একফালি দোকান দিচ্ছিলো আমাদের। বড়ো বড়ো দোকান ঘর সব চড়া দামে বিক্রি করবে বাজারে। আচ্ছা বলুন তো, ১২০ স্কোয়ার ফিট দোকানে দাঁড়াবো কোথায় আর মাল রাখবো কোথায় ? এ তো আর মুদিখানার দোকান নয়! সেই নিয়ে মিটিং ফিটিং করে শেষে ১৮০ স্কোয়ার ফিটে রাজি হয়। তারপর তো সেসব মিটমাট হয়েই যায়। আর কোনো সমস্যা হয়নি কখনো।"
"আপনার পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি বললেন ওনাকে দেওয়া আছে। অর্থাৎ উনি আপনার হয়ে ওই প্রপার্টি অন্য কাউকে বিক্রি করতে পারেন ?"
"হ্যাঁ, উনি চাইলে অন্য কাউকে বিক্রিও করতে পারেন, বা ওখানে ফ্ল্যাট বা অন্য যেকোনো কনস্ট্রাকশান করতে পারেন।"
জটাদা এবার অন্য প্রসঙ্গে গেলো, "সনৎবাবুকে আপনার কেমন লোক মনে হয় ?"
"খুবই ভদ্রলোক। এখানে আমরা তো সবে সবে এসেছি। ওনারা এখানে অনেকদিন আছেন। আমাদের সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক। পিউ, নিচের ঘরের বাচ্চাটার নাম পিউ, সে তো সারাদিন আমাদের ঘরেই থাকতো। মেয়েটার কথা ভাবলে এতো খারাপ লাগছে মিস্টার মিত্র, কী বলবো। সনৎবাবু ও তার মিসেস তো নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে আছেন একরকম। আরো খারাপ লাগছে এটা ভাবলে যে হয়তো আমাদের উপর কারুর আক্রোশের কারণে ওই বাচ্চাটা মারা পড়লো। নাহলে একটা বাচ্চাকে এইভাবে বিষ খাইয়ে খুন করে কার কী লাভ হতে পারে ? পুলিশ কতটা কী করবে আমার কোনো ভরসা নেই, কিন্তু আমি আপনার ওপর ভরসা করছি মিস্টার মিত্র। ক্রিমিনালগুলো যাতে ধরা পড়ে, আপনি সেই ব্যবস্থা করুন প্লিজ।"
"আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করবো মিস্টার ডিসুজা। আপনি বাইরে গিয়ে অ্যালিস্টারকে একটু পাঠিয়ে দেবেন।"
ডিসুজা বেরিয়ে যেতে অ্যালিস্টার এসে জটাদার মুখোমুখি চেয়ারটায় বসলো। জটাদা বললো তাকে, "আপনার সম্পর্কে একটু যদি বিস্তারিত বলেন আমাদেরকে।"
"আমার ফুল নেম অ্যালিস্টার নিকোল ব্যাপ্টিস্টা। আপনি আমাকে অ্যালিস্টার বলেই ডাকতে পারেন। চেতলা অগ্রণী ক্লাব আছে জানেন তো, বাঙালিদের দুর্গাপুজোর জন্য ফেমাস। তার পাশের রাস্তাতেই আমাদের বাড়ি। আর নিউ মার্কেটের কাছে একটা দোকান আছে আমাদের, ঘর সাজানোর জন্য বিভিন্ন অ্যান্টিক জিনিষের দোকান। পারিবারিক বিজনেস। ব্যবসার কাজ বাবাই দেখভাল করেন মেইনলি। আমিও বসি মাঝে মাঝে।"
আমি খেয়াল করলাম, অ্যান্টিক জিনিষের দোকান শুনে জটাদার ভুরুটা একটু কুঁচকালো। তারপর জিজ্ঞাসা করলো, "মিস মারিয়ার সঙ্গে আপনার কিভাবে আলাপ ?"
"ফেসবুকের মাধ্যমে। ফেসবুকেই আমাদের প্রথম পরিচয় হয়। টু ইয়ার্স অ্যাগো। তারপর আমরা মিট করি। এই ফ্যামিলির সাথে আলাপ হয়। অ্যান্ড দেন ওয়ান ডে উই ডিসাইডেড টু সেটল ডাউন।"
"ঠিক আছে। ঘটনার দিন, অর্থাৎ পরশু দিন, পার্টিতে যখন নিচের তলার বাচ্চা মেয়েটা অসুস্থ হয়ে পড়ে, আপনি তখন কোথায় ছিলেন বা ঠিক কী করছিলেন মনে করে বলতে পারবেন ?"
"আমি... তখন, আমি একটা লাইট ঠিক করছিলাম। ব্যালকনিতে যে এলইডিগুলো লাগানো হয়েছিলো, তার মধ্যে একটা দেখি জ্বলছে না। সেটার তার লুজ হয়ে গেছে কিনা আমি চেক করছিলাম। হঠাৎ পিছনে হুড়োহুড়ি শুনে তাকিয়ে দেখি পিউকে ধরাধরি করে ঘরের ভিতর নিয়ে যাচ্ছে সবাই। এটার পাশের রুম, মানে মারিয়ার রুমে। আমিও তখন ওখান থেকে ভিতরে গেলাম। সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারকে আমিই ফোন করি।"
জটাদা একটু ভেবে নিয়ে বললো, "আচ্ছা - মিস্টার ডিসুজার যে সিগারেট কেসটা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, সেটা যে দু'শো বছরেরও বেশি পুরোনো, সেটা আপনি আগে জানতেন ?"
অ্যালিস্টার সোজা হয়ে উঠে বসলো। মুহূর্ত কয়েক পরে বললো, "হ্যাঁ, জানতাম। কিন্তু কী জানেন, এই কলকাতায় প্রচুর বাড়িতে এরকম অনেক জিনিষ পাবেন যা একশো-দু'শো বছরের পুরোনো। ওটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। বয়স দিয়ে জিনিষের দাম হয় না। আমরা তো এসবের ব্যবসা করি, আমরা জানি। দাম হয় কোন ব্যক্তির নাম তার সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে, সেই হিসাবে। এই ধরুন, একটা চেয়ার, একশো বছরের পুরোনো। কত দাম হবে তার ? ভালো কাঠ হলে চার হাজার কি পাঁচ হাজার। এইবারে যদি বলা হয় যে রবীন্দ্রনাথ টেগোর ওই চেয়ারটিতে বসতেন, তাহলেই তার দাম লক্ষ টাকা পার হয়ে যাবে।"
"বুঝতে পারছি।"
"ওসব সিগারেট কেস-টেস ফালতু। কেউ তুলে নিয়ে গেছে বা ঘরেই হয়তো আছে কোথাও, পরে ঠিক পাওয়া যাবে। ডিসুজা স্যার খামোখা ওটা নিয়ে চিন্তা করছেন। মার্ডারের সাথে ওই বাক্সের কোনো সম্পর্ক নেই। আপনি একটু বোঝান স্যারকে। দেখুন, পুলিশ তো ইনভেস্টিগেশন করছে। জানাই যাবে কে বা কারা খুনটা করেছে। আপনার কাজ হচ্ছে মিস্টার ডিসুজাকে বোঝানো যে সিগারেটের বাক্সের সাথে এই কেসের কোনো সম্পর্ক নেই। ব্যাস।"
"আমার কাজটা প্লিজ আমাকেই বুঝে নিতে দিন মিস্টার অ্যালিস্টার নিকোল ব্যাপ্টিস্টা।" কঠিন স্বরে বললো জটাদা, "আপনি এখন যেতে পারেন, আর হ্যাঁ - মিস মারিয়াকে একটু এই ঘরে পাঠিয়ে দিলে ভালো হয়।"
(এরপর আগামী সংখ্যায়)