নিজের বাড়ি
নিজের বাড়ি


বিয়ের আগে ঝিমলিকে ওর বাবা একটাই কথা বলেছিল," বিয়ে হয়ে গেলেও সবসময় জানবি এটাই তোর নিজের বাড়ি ছিল , আছে আর ভবিষ্যতেও থাকবে।" ঝিমলি শ্বশুরবাড়ি গিয়ে সুখে ঘর সংসার করতে চেয়েছিল তো। কিন্তু কিছু মানুষ কখনও বদলায় না। যেমন বদলায়নি ঝিমলির শ্বশুরবাড়ির লোকজন। শত চেষ্টাতেও ঝিমলি নাকি ওদের মনের মতো হয়ে উঠতে পারছিল না। ওর বাবা নাকি বিয়েতে জিনিসপত্র ভালো দেয়নি।অন্য জায়গায় ছেলের বিয়ে দিলে ,ওরা নাকি অনেক কিছু পেত। রোজ এই কথাগুলো শুনতে শুনতে এই এক বছরে ঝিমলি এটা বুঝে গিয়েছিলো যে, এই বাড়ি বা বাড়ির লোকজন কেউই ওর আপন হতে পারবে না কখনও।
কারণ লোভী আর স্বার্থপর মানুষেরা কখনও কারুর আপন হতেই পারে না। রোজ রোজ অত্যাচারিত হতে হতে একদিন ঝিমলির বাবার বলে দেওয়া কথাগুলো মনে পড়লো। একবস্ত্রে ঘর ছেড়েছিল ঝিমলি। ফিরে গিয়েছিল তার সত্যিকারের আপনজনেদের কাছে, তার বাবা মায়ের কাছে। আর ফিরে গিয়েছিল ঝিমলি তার নিজের বাড়িতে। নিজের প্রাণ বাঁচাতে এর থেকে ভালো পথ তার কাছে আর কিছু জানা ছিলো না। কারণ বাবা,মা কখনও তাদের সন্তানের থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারেনা। ঝিমলি তো ওই নর খাদকদের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিল। কিন্তু সব মেয়ে যে ঝিমলির মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।আর সব মেয়ের বাবারাও যে ঝিমলির বাবার মতো করে বলতে পারে না।