নববর্ষের কুঁড়ি (পর্ব - ২)
নববর্ষের কুঁড়ি (পর্ব - ২)


সংবাদপত্র দেখেই মা-বাবা মেয়ের জন্য পাত্রের খোঁজ শুরু করলেন। দু'-তিনটে সম্বন্ধ ওনাদের পছন্দ হলেও শর্ত না মেলার কারণে মেয়ে একেবারে নাকচ করে দেয়। অবশেষে একদিন একটা বিজ্ঞাপনে অর্পিতার বাবার চোখ আটকে গেল, "পাত্র শিবজ্ঞানে জীবসেবার মহান আদর্শে বিশ্বাসী এবং একটি এন.জি.ও'র কর্ণধার।" অর্পিতারও বেশ মনে ধরল এই বিজ্ঞাপন। পাত্রপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হল।
দেবরূপ বসু, পেশায় ডাক্তার, নেশায় সমাজসেবক। বছর চৌত্রিশের এই যুবকের চিন্তাধারার গভীরতা আকৃষ্ট করল অর্পিতাকে। উভয় পরিবারের বনিবনাও জমে উঠল দারুণ। অবশেষে পরস্পরের এই ভালো লাগা পরিণতি পেল শুভ পরিণয়ে। বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সেই দিনটা ছিল - পয়লা জানুয়ারি, ২০১৯। অর্পিতার খুব ইচ্ছে ছিল, দু'জনে মিলে একসাথে একটা এন.জি.ও শুরু করবে। পৃথিবীর সব মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয়তো পারবে না, কিন্তু বিনামূল্যে শিক্ষায় শিক্ষিত করে, চিকিৎসার ব্যবস্থা করে ওরা দু'জন তো কিছু আর্তের সহায় হয়ে উঠে তাদের দুঃখ লাঘব করতে পারবে। সেটাই হবে শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি।