মুখোশ
মুখোশ


-মুখোশ নেবেন নাকি?
মুখোশ ওয়ালার অকস্মাৎ চিৎকারে খানিকটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়েই সমরেশ বাবু তার ছেলে বিট্টুকে জিজ্ঞেস করলো
-কিরে!মুখোশ কিনবি নাকি?
-হুম। কিনে দাও না!
-দাঁড়া, এই হলুদ টা ভালো না! এটা কিনি?
-না বাবা। তোমার যে একটা লাল মুখোশ আছে ওটার মতো একটা মুখোশ কিনে দাও না!
-পরে ওটা পেলে তোর জন্য একটা কিনে আনব। এখন বল কোনটা নিবি? নীল টা নে!
- না বাবা, আমার লাল টাই লাগবে।
বলে ভ্যা করে কেঁদে ফেললো বিট্টু।
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
-বাবা, বাবা..কয়েকটা প্রশ্ন মাথায় এলো । জানো?
-তাই নাকি? কিরকম প্রশ্ন শুনি?
-আজ সকালে যে বাঁদরটা মুখ খেচালো, ওর কি এখনো মনে আছে যে ও আমাদের দেখে মুখ খেচিয়েছিলো!
-তা কি করে জানবো বলতো!
- আচ্ছা, ও যে মুখটা খেচালো ও কি ভয় পেয়ে খেচিয়ে ছিলো নাকি ভয় দেখানোর জন্য?
- তুই আলতু ফালতু প্রশ্ন করা থামাবি!আমার তো কাজ আছে নাকি!
-আচ্ছা বাবা, একটা শ্বেতগণ্ডার মারা গেল যে..
- হুম। সুদান। শেষ ছেলে গণ্ডার বুঝলি!
-ওই যে কিছুদিন আগে শুনলাম একটা রোবট নাকি নাগরিকত্ব পেলো।
-হুম। সোফিয়া। সৌদি আরবের। সোফিয়ার সাথে সুদানের কি সম্পর্ক??
- না বাবা, ভাবছিলাম এরকম সোফিয়ার মতো আরো অনেক রোবট নাগরিক হবে। ওদের কাছেও হয়তো এরকম কোন খবর পৌঁছাবে যে শেষ মানুষ মারা গেল।এরম হতে পারে?
- তুই থাম। আমায় কাজ করতে দে তো। এই বলে ব্যাগ থেকে একটা লাল রঙের মুখোশ বার করে পরে নিলো সমরেশ বাবু।মুখোশ টা সত্যিই অদ্ভুত। কি সুন্দর! ছোট ছোট হরফে কত কিছু লেখাও তাতে।
“আমি এখন কাজ করছি”,”আমি জ্ঞানী”… এরকম আরো কত কি লেখা মুখোশটায়!