মঙ্গলে খুশি আজ খুব "খুশি"
মঙ্গলে খুশি আজ খুব "খুশি"
নমস্কার আমার নাম খুশি। আমি মঙ্গল মিশনে যাবার সুযোগ পেয়েছি।
Elon Musk এর SpaceX এবং NASA আগামী এক দশকের মধ্যেই মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠানোর তোড়জোড় করে চলেছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, সেখানে গেলে মানুষ সর্বোচ্চ কত দিন টিকতে পারবে? মার্কিন গবেষকেরা হিসাব করে দেখেছেন, মঙ্গল গ্রহের প্রতিকূল পরিবেশ ও সেখানে তৈরি করা অবকাঠামো বিবেচনায় নিলেও মাত্র ৬৮ দিন পর থেকেই ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে পড়তে হবে মানুষকে। তা আগে জানা ছিলনা।
এই দুই সংস্থা দাবি করছে মঙ্গল গ্রহে ২০২৪ সাল থেকে মঙ্গল গ্রহে স্থায়ী বসবাসের জন্য কলোনি বা অবকাঠামো তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে। মঙ্গল অভিযানের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে লোক বাছাইও শুরু হয়ে গেছে। এর মধ্যে এক হাজার জনকে সংক্ষিপ্ত তালিকায় রেখেছে মার্স ওয়ান কর্তৃপক্ষ। মার্স ওয়ান জানিয়েছে, বাছাইকৃত এক হাজার জনের মধ্যে ২৪ জনকে মঙ্গলে বসবাসের জন্য চূড়ান্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এবং আমি তার মধ্যে একজন।
সেই দিন চলে এলো যখন
পৃথিবী আর মঙ্গল- ঘুরতে ঘুরতে ২৬ মাসে একে অপরের সবচেয়ে কাছে চলে আসে, তখনই আমাদের মহাকাশযান শুরু হল মঙ্গলে। ৫ মাস লাগলো পৌঁছতে।
এত লম্বা সময় পর্যন্ত
জিরো গ্রাভিটি এবং বিনা মধ্যাকর্ষণ শক্তির মধ্যে থাকার কারণে চোখের রেটিনার শিরার
মধ্যে এক বিশেষ পরিবর্তন হয়েছে , যার কারনে চোখের দৃষ্টিশক্তি পর্যন্ত
হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনা ছিল,কিন্তু আমি ঠিক আছি।
কিন্তু জিরো গ্রাভিটি কারণে আমার হাড়ের ক্যালসিয়াম এর পরিমাণ কমেছে মনে হল
যার কারনে আমার একটু অসুস্থ লাগছে ও হার্ট দুর্বল হয়ে পরেছে।মঙ্গল গ্রহের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পৃথিবীর থেকে
পুরোটাই উল্টো,
বিজ্ঞানীরা এখনও
পর্যন্ত জানেন না যে এই সমস্যা কিভাবে সমাধান করবেন।এটার একটাই রাস্তা আছে যে মঙ্গল গ্রহ পর্যন্ত পৌঁছানোর সময়কে কম করে দিতে হবে।এছাড়াও রেডিয়েশন এবং সোলার ফ্লেয়ার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
আমরা কিছুদিন মঙ্গল গ্রহে ভালো মতো কাটিয়ে ছিলাম। কিন্তু জলে ও খদ্যের অভাবে আমরা বেশিদিন থাকতে পারলাম না। ও শরীরও আমার খুবই খারাপ হয়েছিল তাই আমাদের নির্দষ্ট দিনের আগেই পৃথিবীতে এসে গেলাম।
মঙ্গল মিশন মানব ইতিহাসে সবথেকে বড় সফলতা হয়েছে।
তবে কোনও কোনও বিজ্ঞানী বলছেন, মঙ্গল গ্রহে মহাজাগতিক রশ্মির কারণে মানুষ বাস করতে পারবে না। যদি বাস করতেই হয়, মাটির তলায় বাস করতে হবে। মঙ্গলের চেয়ে বাসযোগ্য টাইটান, শনি গ্রহের উপগ্রহ। ওতে মহাজাগতিক বা কসমিক রশ্মির উপদ্রব নেই। জল নেই, অক্সিজেন নেই, কিন্তু যথেষ্ট এইচ টু-ও আছে, যেগুলো থেকে অক্সিজেন বানানো যাবে।
আমি মঙ্গল গ্রহে গিয়েছি তা আজও বিশ্ষাস হচ্ছে না। তাই খুশি আজ খুব "খুশি"