মেজদা ( part ২)
মেজদা ( part ২)
রশিদ আলি ভাইয়ের ইচ্ছা বুঝতে পেরে কোনো প্রকার নিষেধ করিলো না। ধুমধাম করে বিবাহ সম্পন্ন হলো। নতুন বধূ গৃহে গমন হলো। আচার ব্যবহার, কথাবার্তা, চালচলন দেখে রশিদ আলি মনে মনে বড়ো খুশি। এক সংসারে থাকবার কথা ভেবে রেখেছে রশিদ আলি। কয়েক মাস পরে হঠাৎ করে রান্না পছন্দ নয় বলে চিৎকার করতে লাগলো রাকিব। এক দুই হতে হতে বড়ো ধরনের সমস্যা শুরু হয়ে যায়। রশিদ আলি বিরক্ত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন সংসার তৈরি পরামর্শ দেয়। যদিও সংসার ভাঙ্গনে রশিদ আলি ব্যাথা অনুভব করে। তবে সামান্য কারণে এই রকম বকাবকি হলে ভিন্ন সংসার ছাড়া অন্য কোনো উপায় নাই। রশিদ আলি বলেন" নিজের মতো করে রাঁধো খাও, ঝগড়া ঝামেলা করে লাভ কি"
রাকিব রাগ করার ভঙ্গিতে বলে " আমিতো এখন পর, আমাকে আলাদা করিলে সব সমস্যার সমাধান " রশিদ আলি এমন করে বলেনি, তবে পছন্দ না হলে আলাদা হতে হবে এই বোঝায় সে। চাল, ডাল, সমান সমান ভাগ করে ভিন্ন হয়ে যায় চার ভাই।
রশিদ আলির শরীর বড়ো খারাপ যাচ্ছে, হাঁপানির অসুখে ভুগছে, মাঠের কাজকর্ম করতে পারছেনা। রাতে সারারাত ঘুমাতে পারেনা। সংসারে অভাব অনটন। নিত্যদিন টাকার অভাব । ঔষুধ কেনার জন্য টাকা নাই। ছোট ভাইয়ের দোকানে ওষুধ ধারে নেওয়া ছাড়া উপায় কি। ঔষুধ কিনে টাকা বাকি রাখে, হিসাব নিকাশ ভাই রাখবে ভেবে "কত হল" এটুকু জিজ্ঞাসা করার দরকার মনে করে না।। বেশ কয়েকবার টাকা শোধ চেয়ে বলেছে " মেজদা, এবার কিছু দিতে হবে" । ধান, কিংবা গম বেচে দিয়ে দেবে এ রকমটা বলে রশিদ আলি। এর মধ্যে দু চার বার সামান্য কিছু দিয়েছে। তবে সারা বছর এত ঔষুধ এর দাম সামান্য হবে কেনো।