মাছে আর ভাতে
মাছে আর ভাতে


"এই এই এই আর কত দেবে ? আর না প্লিজ।" শ্রীমা একপ্রকার চেঁচিয়ে উঠলো।
নতুন শশুরবাড়িতে এসে শ্রীমা ভেবেছিলো কোমরে দড়ি বেঁধে ওকে দিয়ে কাজ করানো হবে, কিন্তু এখন দেখছে পুরোটাই উল্টো।
ওকেই পারলে সবাই ধরে বসিয়ে খাওয়াচ্ছে।
খেতে যে শ্রীমার খারাপ লাগে তা নয়। বরং খাওয়াটা ওর একপ্রকার হবি বললেই চলে কিন্তু এখন সমস্যাটা হল শাশুড়ি মা ওর পাতে একটা বড় পাবদা মাছের পিস তুলে দিয়েছেন।
শ্রীমা মাছ খেতে খুব পছন্দ করলেও কাঁটা বাছতে পারে না। বাড়িতে তো মা খাইয়ে দিতো। এখানে কি হবে?
ভাতটা নিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে শ্রীমা বলে,"আর না পা
রছি না গো খেতে , শরীরটা ভালো লাগছে না।"
এই বলে উঠতে যাচ্ছিলো এমন সময় শাশুড়ি মা বলে ওঠেন,"মাছ বাছতে পারিস না বললেই হত।"
শ্রীমা একটু লজ্জা পেয়ে বলে,"আসলে.."
"থাক , আর বলতে হবে না , বিয়ের দিনেই দেখেছিলাম তোর মা ওই কাতলার কালিয়াটা বেছে খাইয়ে দিচ্ছেন আর তুই চোখ বুজে তাড়িয়ে তাড়িয়ে খাচ্ছিস।" এই বলে উনি মাছটা বেছে বেছে খাইয়ে দিতে লাগলেন শ্রীমাকে।
শেষে খালি একবার বললেন,"মাছ বাছাটা শিখে নিস, নাহলে আর কিসের বাঙালি? কথাতেই আছে মাছে ভাতে বাঙালি।"
শ্রীমা মাছ ভর্তি মুখে জরিয়ে ধরল তার দ্বিতীয় মাকে।
কলমে-আশালতা