কালবেলার অনুরাগ
কালবেলার অনুরাগ


"সরি ম্যাম, অল টিকিটস্ আর সোল্ড আউট।" কথাটা বলে মেয়েটি কাউন্টার শাট্ ডাউন করে দিলো।
কথাটা শুনে বেশ হতাশ হল তূর্ণা। কতটা দুরে আসলো টেনিস ম্যাচটা দেখবে বলে। সবটাই জলে গেল। এখন আবার কতগুলো ইয়োরোস খরচা করে স্যান ম্যাক্রোর থেকে ফ্লোরেন্সে ফিরতে হবে।
"ধুর, ভালো লাগে না।" নিজের মনেই বলে উঠলো তূর্ণা।
স্টেডিয়ামের থেকে বের হতে যাবে এমন সময় পিছন থেকে একটা পুরুষ কন্ঠ ওকে থামিয়ে দিলো।
পিছনে ফিরে তাকায় তূর্ণা। একটা ছেলে ওর দিকেই ছুটতে ছুটতে আসছে।
"লিসেন লিসেন, ডোন্ট গো।" ছেলেটা বলে উঠলো।
তূর্ণার হাসি পায় ছেলেটার মুখটা দেখে। ফর্সা মুখটা ছোটার ফলে লাল টুকটুকে হয়ে গেছে। তার উপর ফুটে উঠেছে বিন্দু বিন্দু ঘাম।
"ইউ ওয়ান্টেড টু ওয়াচ দ্য ম্যাচ্ রাইট?" তূর্ণার ধ্যান ভাঙে ছেলেটার কথায়।
একটু তুতলিয়ে তূর্ণা বলে,"ইয়া, বাট.."
ছেলেটা তূর্ণাকে মাঝপথে থামিয়ে দিয়ে বলে,"আই নো অল দ্যা টিকিটস্ হ্যাভ বিন সোল্ড আউট। বাট গেস হোয়াট? আই হ্যাভ অ্যান এক্সট্রা টিকিট। ডু ইউ ওয়ান্ট ইট?"
তূর্ণার মুখটা খুশিতে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। একটু লাফিয়ে উঠে বলে,"সত্যি? আই মিন রিয়েলি?"
"ওয়েট ওয়েট ওয়েট, ইউ আর বেঙ্গলী? আই লাভ বেঙ্গলীস্। দে আর সুইট অ্যাস রসগোল্লা। আমার মমও বাঙালি ছিল।" ছেলেটা আবার বলে।
তূর্ণা অবাক হয়ে ভাবে , ছেলেটা একবারে কত কথা বলে?
ছেলেটা ওর দিকে একটা কাগজ বাড়িয়ে দেয়। বলে,"হিয়ার ইস দ্য টিকিট। ম্যাচ শুরু হয়ে যাবে। কাম ফাস্ট।" বলে নিজেই তূর্ণার হাত ধরে ওকে ভিতরে নিয়ে যায়।
প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে দুজনে স্টেডিয়ামের থেকে বের হল।
তূর্ণা ভীষন খুশী। এত দূর আসাটা ব্যর্থ হয়নি।
ছেলেটাকে একটা ধন্যবাদ জানালো তূর্ণা।
ছেলেটা একগাল হেসে বলল,"ওসব থ্যাঙ্ক ইউ-তে তো হবে না ম্যাডাম। আমার সাথে কফি খেতে হবে।"
তূর্ণা একটু ভড়কে গিয়ে বলে,"কফি?"
"ইয়েস, অ্যান্ড আই এম প্রিটি শিউর দ্যাট ইউ উইল নট মাইন্ড হ্যাভিং এ কাপ অফ কফি উইথ সাচ এ হ্যান্ডসাম ব্যাচেলর, উইল ইউ?" ছেলেটা ভ্রু নাচিয়ে জিজ্ঞেস করলো।
হেসে ফেলে তূর্ণা।
তারপর জিজ্ঞেস করে, "সে খেতেই পারি, কিন্তু আগে আপনার নামটা জানতে পারি কি ? "
ছেলেটা বলে,"সৌর্য, সৌর্য সেন। মাস মিডিয়া কমিউনিকেশনের উপর মাস্টার্স করছি। আর তুমি?"
"আমি তূর্ণা মিত্র। এখানে ইউনিভার্সিটি অফ ফ্লোরেন্সে মধ্যযুগের ইতালির উপর রিসার্চ করছি। তুমি কি এখানেই থাকো?" জিজ্ঞেস করল তূর্ণা।
"হ্যাঁ, এখানেই বর্ন অ্যান্ড ব্রট আপ। আমার মমও তোমার মতন ইণ্ডিয়ান ছিলো। কিন্তু পাপা পিওর ইতালিয়ান।" সৌর্য শেষের কথাটা একটু দুঃখ মেশানো গলায় বলে।
তূর্ণা কৌতুহলবশত জিজ্ঞেস করে," বাঙালি ছিলেন মানে?এখন কি চেঞ্জ করে নিয়েছেন নিজের রিলিজিয়ন?"
"ওয়েল শি পাসড অ্যাওয়ে হোয়েন আই ওয়াস টেন ইয়ার্স ওল্ড।" একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে সৌর্য।
"আই এম সো সরি। আমি বুঝতে পারিনি আসলে।" খারাপ লাগে তূর্ণার। না জেনে বুঝে আঘাত দিয়ে ফেললো বোধহয় ছেলেটাকে।
যদিও সৌর্য সেভাবে ধরেনি কথাটাকে।
কফি শপে দুজনের অনেকক্ষণ আলাপ চলে। ওখান থেকে বেড়িয়ে দুজনে নিজেদের বাড়ির পথে পা বাড়ায়। তবে ফোন নম্বরটা এক্সচেঞ্জ করতে ভোলে না।
মাঝে বেশ কয়েকটা সপ্তাহ কেটে গেছে।
সৌর্য আর তূর্ণার মধ্যে মিষ্টি একটা বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে।
সৌর্য একপ্রকার জোর করেই তূর্ণাকে টেনিস ক্লাব জয়েন করিয়েছে।
দুজনেই এখন কিছুটা সময় একসাথে কাটায় টেনিস খেলার ছলে।
সৌর্য নিজের মনের প্রত্যেকটা দরজাই খুলে দিয়েছিল তূর্ণার কাছে। একটু একটু করে সৌর্যকে চিনছিল তূর্ণা।
ওর মুখ থেকেই জেনেছিল , সৌর্যর মা সুইসাইড করেছিল। আসলে ভালোবেসে বাড়ির অমতে ভিন্ন ধর্মের লোককে বিয়ে করেছিল তো, তাই সেই মানুষটাই যখন ওকে ঠকিয়ে অন্য আরেকজনের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তখন সেটা মেনে নেওয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
সৌর্য নিজের বাবাকে আর কোনোদিন মেনে নিতে পারেনি। ন্যানির কাছে মানুষ হয়েছে, আঠেরো বছর বয়স থেকে হোটেলে টেবিল মোছার কাজ অব্দি করেছে , যদিও বিদেশে রিচ ফ্যামিলিতে এগুলো কোনো ব্যাপার না, তবুও বাবার নতুন সংসারে গলগ্ৰহ হতে যায়নি।
তূর্ণা যত শুনেছিল সৌর্যর কথা ততই ওর প্রতি অনুভুতিগুলো গাঢ় হয়েছিল।
আজকাল পড়াশোনা আর রাতটুকু বাদে দুজনে একসাথেই থাকে। সৌর্য অনর্গল কথা বলে চলে। মাঝে মধ্যে মাথা ঝিমঝিম করে তূর্ণার, এত কথা কেন বলে ও?
তবুও ওকে চুপ করতে বলেনা। এত বছরের জমানো কথাগুলো যেন এখন বের হচ্ছে।
একসাথে মিশতে মিশতে কবে যে দুজনে একেঅপরের এত কাছে চলে এসেছিল খেয়াল ছিলনা।
দুজনের জগতটাই যেন দুজনকে ঘিরে। তাতে আর কারো প্রবেশ মানা।
কিন্তু সব ভালোর শেষটা ভালো হলে সেটা বাস্তবের চেয়ে অনেকটা দুরে চলে যায়।
তূর্ণার মনটা খুব খারাপ। দুইদিন থেকে সৌর্য একটাও ফোন করেনি। ও ফোন করলেও রিসিভ করেনি। টেনিস ক্লাবেও আসেনি।
"আগে তো একঘন্টাও আমার সাথে কথা না বলে থাকতে পারতো না। এমন কি হল যে ফোনটা পর্যন্ত ধরছে না?" মনে মনে ভাবে তূর্ণা।
কেটে গেল আরও একটা অপেক্ষার রাত।
পরেরদিন সকালবেলায় আর ওর ফোনের অপেক্ষা করলো না । সোজা ওর বাড়িতে চলে গেল।
তূর্ণার সৌর্যর বাড়িতে আসার একটা বড় আকর্ষণ বাড়িটার সামনের ল'ন। সৌর্যর মা নিজে হাতে ল'নটা বানিয়েছিল। বাড়িটাও বেশ সুন্দর। ছোট্ট একতলা কাঠের বাড়ি।
যতবারই তূর্ণা বাড়িটায় আসে ততবারই বাগানটার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকে।
তবে আজ আর ওইসব দিকে তাকানোর সময় নেই ওর। তাড়াতাড়ি গিয়ে বেলটা বাজায়।
বারকয়েক বাজানোর পরে দরজাটা খোলে সৌর্য।
সৌর্যকে দেখে এক মুহূর্তের জন্য থমকে যায় তূর্ণা। দুইদিনে কি অবস্থা হয়েছে ছেলেটার।
স
েই হাসিখুশি ছেলেটা যেন কোথায় হারিয়ে গেছে । সামনে দাঁড়িয়ে আছে বিধ্বস্ত চেহারার একটা অচেনা ছেলে।
"এই সৌর্য, কি হয়েছে তোর? ফোন করলে ফোন ধরছিস না। আর চেহারা এমন হয়েছে কেন?" ঘরে ঢুকে বলে তূর্ণা।
সৌর্যর মুখে কোনো কথা নেই। কেমন পাথরের মতন লাগছে ওকে।
সৌর্যর গালে হাত রেখে ওকে ঝাঁকিয়ে তূর্ণা আবার জিজ্ঞেস করলো ,"এই কথা বলছিস না কেন? ইস এভরিথিং ফাইন?"
তূর্ণার হাতদুটো নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সৌর্য। তারপর বলে , "ক্যান আই আস্ক ইউ সামথিং ?"
"শিওর।" তূর্ণা বললো।
"তুই আমাকে ভালোবাসিস?" সৌর্য জিজ্ঞেস করল।
তূর্ণা অবাক হয়ে বলল,"এটা কেমন প্রশ্ন সৌর্য? আই ডু লভ ইউ, অ্যান্ড ইউ নো দ্যাট ভেরি ওয়েল।"
"আমি মরে গেলে কাঁদবি?" সৌর্য আবার জিজ্ঞেস করলো।
"মানে? এসব কি উল্টোপাল্টা বলছিস তুই? সত্যি করে বলতো তোর কি হয়েছে?" চোখে প্রায় জল চলে এসেছে তূর্ণার।
সৌর্য তূর্ণা কাঁধ দুটো শক্ত করে ধরে বলে,"চলো, অ্যাট লিস্ট সামওয়ান উইল ক্রাই ফর মি।
যাই হোক। একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার ছিল। তুই এসেছিস ভালোই হয়েছে।
লিসেন, আমার হাতে আর বেশিদিন নেই। হার্ডলি দুই তিন মাস আছে ।"
"মানেটা কি?" তূর্ণা ওকে থামিয়ে জিজ্ঞেস করে।
"মানে আমার ক্যান্সার ধরা পড়েছে, প্রস্টেট ক্যান্সার। বেশ কিছুদিন ধরেই ইউরিনেসনে প্রবলেম হচ্ছিল। তোকে বলিনি তুই অযথা চিন্তা করবি বলে। টেস্ট করিয়েছিলাম। একবার নয়, দুইবার। কিন্তু রেসাল্ট একই। একদম লাস্ট স্টেজ।" একটানা কথাগুলো বলে একটু থামলো সৌর্য।
তূর্ণা ভাবলেশহীন ভাবে তাকিয়ে আছে সৌর্যর দিকে।
"এই দুটোদিন আমি নিজের সাথে যথেষ্ট লড়াই করেছি তূর্ণা। তোকে জানাবো কি জানাবো না, জানালেও কিভাবে জানাবো সবটা নিয়ে ভীষন কনফিউজড ছিলাম।
কিন্তু তোকে কেন জানালাম জানিস? আমি চাই অন্তত কেউ একবারের জন্য হলেও আমার জন্য কাঁদুক। সারাটাজীবন তো একাই ছিলাম, অন্তত বিফোর ডেথ কেউ তো পাশে থাকুক।"
আর বলতে পারেনা সৌর্য। তূর্ণা ততক্ষণে ওর বুকে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
"ইউ ক্যান্ট ডু দিস টু মি, না না না, ইউ ক্যান্ট।" চিৎকার করে বলে ওঠে তূর্ণা।
সৌর্য চেষ্টা করে ওকে শান্ত করার।
জীবন অনেকটা উপন্যাসের মতন। সেখানে এমন একেকটা সময় আসে যখন মনে হয়, গল্পটা এখানে থেমে গেলেই ভালো হত। বাকি অংশটা দেখতে চাইনা। আগে থেকে আঁচ করতে পারি যে, এরপরে খারাপ কিছু হবে।
খারাপটাকে আমরা কেউ ফেস করতে চাইনা। কিন্তু সেটাই আমাদের জীবনের সিংহভাগ জুড়ে থাকে।
একমাস কেটে গেছে মাঝখানে। সৌর্যর শরীরের অবস্থার আরও অবনতি ঘটেছে।
এই একটা মাস সৌর্যের সাথে চব্বিশটা ঘন্টা তূর্ণা ছিল। জীবনের কাছ থেকে এইটুকুই বোধহয় সৌর্যর পরম প্রাপ্তি।
নিজেকে সৌর্যর সামনে যতটা সম্ভব শক্ত রাখার চেষ্টা করে তূর্ণা। ও জানে ওকে ভেঙে পড়তে দেখলে সৌর্য কষ্ট পাবে।
এই শেষ সময়টায় অন্তত হাসিখুশি থাকুক ছেলেটা।
তূর্ণা আর সৌর্য একদিন "Boboli Gardens" ঘুরতে এসেছিল। ফুলের সমারোহে দুজনে নিজেদের সংযম হারিয়ে ফেলেছিল। একেঅপরের ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিয়েছিল।
হুস ফেরার পরে দুজনেই অবাক হয়ে তাকিয়েছিল একেঅপরের দিকে। দিনটা দুজনের জন্যই ভীষন স্পেশাল। ভালোবাসার প্রথম আর হয়তো বা শেষ স্পর্শ।
তাই সেইদিন আর কোনো বাঁধা রাখেনি দুজনের মধ্যে।
সিক্ত হয়েছিল উষ্ণ অনুরাগে। দুটো শরীর আর মনের অদ্ভুত খেলা চলছিল।
তূর্ণার শরীরে নিজেকে মিশিয়ে নিয়েছিল সৌর্য। কেঁদে ফেলে বলেছিল,"আমি মরতে চাইনা তূর্ণা, আমি বাঁচতে চাই। তোকে নিয়ে আমি বাঁচতে চাই।"
তূর্ণা কিচ্ছু বলতে পারেনি। শুধু চোখের গরম জলগুলো ক্রমাগত সংবরন করার চেষ্টা করছিল।
ও নিজেও যে সৌর্যকে নিয়ে বাঁচতে চায়।
কিন্তু ওইযে, কথায় আছে না , ম্যান প্রোপোজেজ অ্যান্ড গড ডিসপোজেজ।
সেটাই হল শেষ পর্যন্ত।
তার ঠিক তিনদিন পরে সৌর্য নার্সিং হোমে ভর্তি হল। শরীর আর পারছেনা নিতে। শ্বাসকষ্ট হচ্ছে খুব।
তূর্ণা ওর হাতদুটো শক্ত করে ধরেছিল।
কাঁপা কাঁপা গলায় সৌর্য বললো,"ইচ্ছে ছিল জানিস, তোর সাথে একবার কলকাতায় যাবো। সিটি অফ জয়, সিটি অফ প্যাশন, সিটি অফ লভকে একবার কাছ থেকে ছুঁয়ে দেখবো। মায়ের ফেলে আসা শহরটায় একবার যাবো।
খুব সুন্দর না তোদের শহরটা? কলেজ স্ট্রিট, কফিহাউজ, পার্কস্ট্রিট, কত জায়গা। ইউ জাস্ট নেম ইট।
গঙ্গার ঘাটে তোকে পাশে নিয়ে বসে থাকার ইচ্ছে ছিল। তারপর পরন্ত গোধূলির কনে দেখা আলোতে তোকে দেখা ওয়াজ মাই ওয়াইল্ডেস্ট ফ্যান্টাসি।
কিচ্ছু হলনা জানিস?
ইউ ওয়্যার মাই লাস্ট অ্যান্ড মাই ওনলি ড্রিম তূর্ণা। মাই ওনলি ড্রিম।" বলতে বলতে চোখের কোণ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে সৌর্যর চোখ থেকে।
তূর্ণা ওকে কি বলবে? ওর নিজের চোখদুটোও যে ভাসছে।
কষ্ট করে একটু হেসে সৌর্য বললো,"গুডবাই তূর্ণা।"
"নেভার সে গুডবাই। বল সি ইউ সুন।
তোকে ছাড়া আমিও যে বেশিদিন থাকতে পারবো না।" তূর্ণা অস্ফুটে বলে ওঠে।
সৌর্য বলে,"তোকে যে থাকতেই হবে তূর্ণা। নাহলে আমাদের গল্পটা যে অসম্পূর্ণ থাকবে। ইউ উইল ফিনিশ আওয়ার স্টোরি।"
তার ঠিক কয়েক ঘণ্টা পরে সৌর্য চলে গেল।
রয়ে গেল তূর্ণা, আর ওদের অসম্পূর্ণ গল্পটা। ওটা সম্পূর্ণ করতে হবে তূর্ণাকে।
অর্ণো ব্রিজের কাছে এসে দাঁড়ায় তূর্ণা। চোখ বন্ধ করে অনুভব করে সেই কালবেলার অনুরাগের কথা।
হঠাৎ খেয়াল হয় আজ গোধূলির শেষ বেলায় আবার ভেসে উঠেছে কনে দেখা আলো।
যেমনটা সৌর্য দেখতে চেয়েছিল গঙ্গার ঘাটে।
অনেক না পাওয়া নিয়ে চলে গেল ছেলেটা । আর অনেক না পাওয়ায় মুড়ে গেল তূর্ণাকে।
হয়তো এই টুকরো টুকরো না পাওয়াগুলোকে জুড়েই ওদের অসম্পূর্ণ উপন্যাসটা সম্পূর্ণ হবে।