ক্ষ্যান্তমণির কড়চা ১
ক্ষ্যান্তমণির কড়চা ১


আমি ক্ষ্যান্তমণি দাসী, নামখান আমার বাপ-মায়ে রেকে চেলো। গাঁয়ের মনিষ্যি বাপু আমি, শোউরে আদপকায়দা অত্ত কিচ্চু জানি নে। আর বয়েস হোলো গে ঐ তিন কুড়ি তিন গন্ডা, এবার দাবাবু দিমণিরা সব্বাই বুজে ন্যাও।
তবে কিনা এট্টুস শক জেগে উটিচে ঐ মোনের মোদ্যি। ঐ ঝে গো, গাঁয়ে সরভো শিক্কে হইচেলো, তা ত্যাকুন ঐ দিমণিরা ধোইরে বেঁদ্দে বাংলা ওক্কর নিকতে পর্তে শেকালে। হেঁ হেঁ.... আজকালকার বাজারেতে নামসই না ঝানলি হয় নে, তাই আম্মো শিকে নিলুম। তবে কিনা ঐ বানন ঠানন ত্যামোন ঝানি নে। এব্রে আসল কতাখানা কোই। আমার নাতিটা আমায় এক্কানা এসমাট ফোন কিনে দেচে গো। তা বোজো, সে ছোঁড়া বোস্সে বোস্সে আমায় বোক্কে ঝোক্কে শেষকালে কিনা ঐ ফোনে নেকা শেকালে?
ও বাবা, ওকি মজার কল গো! ওতে কিনা আবার আমায় ফেজভুকো কত্তে শেকালে। আমি তো নজ্জায় মোরে যাই। কি নেই গো ওতে? তিন কাল গে এক্কাল ঠেকেচে, তা নাতি বলে কিনা, "দিম্মা, ফেজভুকে ফটোক পোস্টো করো দিকিনি।" অ্যাদ্দিন তো বাপু জেনে এয়েচি পোস্টাপিসে চিটি পোস্টো হয়, একোন জানচি ফটোকও পোস্টো হয়, তাও আবার হোই ফোনে..... মাগো, কালে কালে কতোই হোলো, পুলি পিট্টের ন্যাজ বেরুলো।
বিষয়: নববর্ষ (পর্ব ১), জ্যঁর: রম্যরচনা/হাস্যরস