Ananya Podder

Classics Inspirational

4  

Ananya Podder

Classics Inspirational

জন্মদিন

জন্মদিন

8 mins
531



তন্দ্রা ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো তখনও পাঁচটা আটতিরিশ বাজতে মিনিট পাঁচেক দেরি আছে| রোজ এই সময়ের বারুইপুর লোকাল টাই ধরে সে শিয়ালদহ থেকে| বাড়ি ঢুকতে ঢুকতে প্রায় সাড়ে সাতটা বেজে যায় তার | এই কাজটাই তো এগারো বছর ধরে করে আসছে সে| বাবা মারা যাবার পরে সেই যে সংসারের হাল ধরতে বাবার চাকরিটা নিয়েছে সে, তারপর থেকে সেই সংসারের প্রধান রোজগেরে সদস্য|


পরের ভাই দুটো অবশ্য টিউশনি করে নিজেদের হাত খরচা তুলে নেয়, কিন্তু তাতে সংসারের বিশেষ সুবিধা হয় না| অবশ্য ভাই দুটো তার বেশ ভালো | দিদির জন্য সত্যিই তাদের অনুভূতি আছে | সে নিজেই ওদের বেশি টিউশনি করতে দেয়নি, পাছে তাদের পড়াশুনার ক্ষতি হয় | তন্দ্রা ভাবে, "সত্যিই আমার ভাই দুটো রত্ন | নাহলে বড়ো ভাই তমাল আর ছোটো ভাই তুহিন অঙ্কে এত ভালো হয় !"


 তমাল অঙ্কে মাস্টার ডিগ্রী করে এস. এস. সি. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে | কিন্তু এখনও এপয়েন্টমেন্ট লেটার হাতে পায়নি | আর ছোটো ভাই তুহিন যাদবপুরে আর্কিটেকচার নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে | সে চতুর্থ বর্ষের ছাত্র |


ট্রেনটা তার সময়জ্ঞান দেখিয়ে সঠিক সময়েই শিয়ালদহ ত্যাগ করলো | ইদানীং ভারতীয় রেলের সময়জ্ঞানের একটু উন্নতি হয়েছে ভেবে মনের মধ্যে একটা কিসের স্বস্তি কাজ করলো | এমন সময় পিছন থেকে কে যেন তন্দ্রার পিঠে হাত ছোঁয়ালো | পিছন ঘুরে তাকিয়ে তন্দ্রা দেখে স্কুলের বন্ধু ইন্দ্রাণীকে| " কিরে কেমন আছিস?? ", বলেই এক গাল হাসি দিলো ইন্দ্রানী |


" ভালো আছি, তুই কেমন আছিস?? "

"দুর্দান্ত | "

"কোথায় যাচ্ছিস??... বাড়ি ? "

" না রে, বাপের বাড়ি যাচ্ছি না, যাচ্ছি বোনের বাড়িতে | ওর তো ঢাকুরিয়াতে বিয়ে হয়েছে | আজ ওর আর ওর ছেলের, দুজনেরই জন্মদিন | একটা ঘরোয়া অনুষ্ঠান হবে, তাই আমাদের যাওয়া | আমি মেয়েকে নিয়ে আগে যাচ্ছি, আমার বর অফিস করে তারপর আসবে | "...... " আরে, আজ তো তোরও জন্মদিন, তাই তো তন্দ্রা?? .... হুম, আমার বেশ মনে আছে, আমার বোন চন্দ্রানী আর তোর জন্মদিনের তারিখটা এক !! .... শুভ জন্মদিন বন্ধু... "

তারপর আরও কিছুক্ষন দুজনের কথাবার্তা চলে | ঢাকুরিয়া স্টেশনে ইন্দ্রানী নেমে গেলে তন্দ্রা নিজের মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকায় | সত্যিই তো, আজ ৪ঠা মার্চ, আজ যে তার জন্মদিন, সে কথা তো তার মনেই নেই | আর তা ছাড়া আর কেউও তো মনে রাখে না, শুধু তমাল এই বছর তিন চারেক ধরে পাড়ার দোকান থেকে কখনও এগরোল, বা চাউমিন নিয়ে এসে সবাইকে খাওয়ায় | কিন্তু মুখে উচ্চারণ করতে পারে না, যে," আজ দিদির জন্মদিন, তাই খাওয়ালাম|"

সেন বাড়িতে আর কিছু না থাকুক, গোঁড়ামি ছিলো কানায় কানায় ভরে | তন্দ্রার ঠাকুমার প্রায় একরোখা জেদ আর আদেশ ছিলো যে, যেন কোনো ভাবেই তন্দ্রার জন্মদিন পালন না করা হয় | সেন বাড়িতে মেয়েদের জন্মদিন পালন করলে নাকি সংসারের অকল্যাণ হয় | শাশুড়ির প্রকট শাসনে তন্দ্রার রুগ্ন মা কখনো তন্দ্রাকে একটু পায়েসও বানিয়ে দিতে পারেননি কখনও | তুহিনের যখন মাত্র পাঁচ বছর বয়স, তখন থেকেই তন্দ্রার মা সীমার মৃগী রোগ ধরা পড়ে | শাশুড়ি বিশেষ ভাবে ছেলে বউয়ের উপর অত্যাচার করতে পারেনি, কারণ, তন্দ্রার বাবা তাপস বাবু খুবই দায়িত্বশীল ও যুক্তিপরায়ণ মানুষ ছিলেন |


তারপর পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে একমাত্র তাপস বাবুই ছিলেন সেই সন্তান, যার কাছে নিরঞ্জন বাবু ও মলিনী দেবী থাকতে পারতেন | নিজের বাবা মায়ের প্রতিও যেমন যত্নবান ছিলেন তাপস বাবু, তেমনি নিজের স্ত্রী সন্তানদের প্রতিও ছিলেন দায়িত্বপরায়ণ | তিনি বেশ কয়েকবার বিরোধ করেছিলেন বটে, মায়ের এই কুসংস্কারের বিরুদ্ধে | তিনি বলতেন, " আমি এটা যুক্তিতে ভেবে পাই না, যেখানে তমাল তুহিনের জন্মদিন পালন হতে পারে, সেখানে তন্দ্রার জন্মদিন পালনে কার কি ক্ষতি হবে?? "


কিন্তু মলিনী দেবীর কাছে যুক্তির চেয়ে বেশি জেদ ছিলো, যা দিয়ে তিনি সবাইকে চুপ করে দিতেন| তার একটাই অকাট্য দাবী ছিলো, " আমি বেঁচে থাকতে এ বাড়িতে তন্দ্রার জন্মদিন পালন হবে না | "


তাপস বাবু হয়তো মায়ের কথা শুনতেন না, কিন্তু তন্দ্রার মা তাকে বোঝান, এসব বিষয়ে আর কথা না বাড়াতে | তবে তাপস বাবু মেয়ের জন্মদিন করতে না পারলেও একটা কাজ করেছিলেন, তিনি তার ছেলেদের জন্মদিন পালনও বন্ধ করে দেন | ছেলেদেরকে ডেকে বুঝিয়ে ছিলেন তার এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ | একই যাত্রায় যে পৃথক ফল হওয়াতে নেই, সেটা তিনি তার ছেলেদের বোঝাতে পেরেছিলেন| শুধু মলিনী দেবী নাতিদের পায়েস রান্না করে খাওয়াতেন |


তারপর মাঝখানে অনেক গুলি বছর কেটে যায় | সেবার উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পরে তাপস বাবু মেয়েকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, " কি চাস মা?? "

"বাবা, ভাইদের জন্মদিন পালন করবে | ওরা ছোটো তো, ওদের মন খারাপ হয় | "

" আর তোর হয় না?? "

"আমি তো বড়ো হয়ে গেছি | তাই আমার ওসবে আর মন খারাপ হয় না | তমাল আর তুহিনের জন্মদিনে কোথাও একটা ইচ্ছে লুকিয়েই থাকে, ছোটোখাটো হলেও একটা জন্মদিন পালন হোক | ধরে নাও, আমার রেজাল্টের এটাই পুরস্কার | "

মেয়ের কথায় আর না বলেননি তাপস বাবু | সে বছর তমাল আর তুহিনের জন্মদিন পালন হয় | বছর ঘুরে মার্চ মাস আসে | তাপস বাবু মেয়েকে ডেকে বলেন, "মা, তোর বন্ধুদের বলে দিস তারা যেন চার তারিখে আমাদের বাড়িতে সন্ধ্যেবেলা আসে | আর মামা বাড়িতেও ফোন করে দিবি সেদিন আসার জন্য | "

" কেন বাবা?? "

" বাঃ রে, ভুলে গেলি !! .... সেদিন যে তোর জন্মদিন !!... "

" আমার জন্মদিন পালন হবে?? !!!... "

" হুম, এবার হবে | "

" কিন্তু ঠাকুমা?? "

" সেটা আমি বুঝে নেবো | "

মলিনী দেবী যে একেবারে বাধা দেননি তা নয়, তবে তাঁর কথায় কর্ণপাত করেননি তাপস বাবু | ছেলের জেদের সামনে হেরে গিয়ে শুধু বলেছিলেন, " এরপর যদি কোনো অলক্ষুনে কিছু ঘটে, তাহলে আমায় বলতে আসিস না | "

তারপর আসে ৪ঠা মার্চ | জীবনে প্রথম জন্মদিন পালন হবার একটা রোমাঞ্চকতা আর ভালো লাগা কাজ করছিলো তন্দ্রার মধ্যে | মামা মামীরা সকালেই চলে এসেছে | মা পায়েসও রান্না করেছে | তবে তন্দ্রা বলেছে, " সন্ধ্যে বেলা বাবা অফিস থেকে ফিরলে বাবার হাতেই প্রথম জন্মদিনের পায়েস খাবো | "


কিন্তু সে পায়েস আর জোটেনি তন্দ্রার কপালে | বিকেলে তাপস বাবুর অফিস থেকে ফোন আসে যে তাপস বাবুর সেলিব্রাল এট্যাক হয়েছে, হসপিটালে ভর্তি করানো হয়েছে | দীর্ঘ এক মাসের লড়াইয়ের পরে তাপস বাবু সেই বছর ১০ই এপ্রিল মারা যান | ব্যস, তারপর থেকে তন্দ্রা নিজেই ভুলে গেছে ৪ঠা মার্চকে | আজ অনেক গুলি বছর পরে আবার কেউ মনে করালো তার জন্মদিনের কথা |


এই সব ভাবতে ভাবতে কখন যে ট্রেন বারুইপুরে পৌঁছে গেছে, খেয়ালই করেনি তন্দ্রা | ট্রেন থেকে নেমে আজ আর রিক্সা নিতে ইচ্ছে করলো না | ভাবছে, পনেরো মিনিটের এই রাস্তাটা আজ হেঁটেই পার করে দেবে | এমন সময় তমালের ফোন আসে, " হ্যালো, দিদি, তোর বাড়ি আসতে আর কতক্ষন?? "

" এই তো রে আসছি | স্টেশন থেকে নেমে গেছি | কেন, কিছু দরকার?? "

" না, কিছু না | রিকশা ধরবি তো?? .... রিক্সা ধরে চলে আসিস | "

তমালের ফোনটা রেখে তন্দ্রা ভাবলো, " আর হেঁটে কাজ নেই, রিক্সাই ধরে নিই | "

বাড়ি ফিরে দেখলো ঠাকুমার ঘরে শুধু আলো জ্বলছে, বাকি সব ঘর অন্ধকার | তাহলে কি ঠাকুমার কিছু হলো নাকি যে সবাই ঠাকুমার ঘরে হয়তো জড়ো হয়েছে?? ... মনে মনে ভাবে সে ৪ঠা মার্চ দিনটাই বাজে |


সিঁড়ি ঘর দিয়ে ঢোকার সময় সে লক্ষ্য করে, সদর দরজাটা হালকা করে খোলা | দরজা ঠেলে ঘরে ঢুকতেই ধুম করে এক ভয়ঙ্কর আওয়াজ হয়, আর ঘরের আলোটা জ্বলে ওঠে | তন্দ্রা তাকিয়ে দেখে তার সারা শরীর চিকমিকে তারাতে ভরে গিয়েছে | সবাই হাসি মুখে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে তার জন্য | পুরো ঘরটা বেলুন দিয়ে সাজানো | মায়ের হাতে পায়েসের বাটি ধরা | তন্দ্রা এসব দেখে একটু বিরক্তই হয় | "আবার কোন অলক্ষুনে কি ঘটবে তার ঠিক নেই !! .... বন্ধ করো তোমরা এসব | "


তমাল কাছে এসে দিদিকে জড়িয়ে ধরে বলে, " শুভ জন্মদিন দিদি | আর কোন দিনকে তুই অলক্ষুনে বলছিস?? ... আজকের দিনের থেকে ভালো দিন আর কিচ্ছু হতে পারে না | "


তন্দ্রার মা এগিয়ে এসে বলে, " তোর জন্মদিনটাই তো সবচেয়ে শুভ রে তন্দ্রা | তুই পৃথিবীতে এসেছিলি বলেই না, আজও এই পরিবার, পরিবারের সকল মানুষ বেঁচে আছে | তোর বাবার অসমাপ্ত কাজকে তুই এই এতগুলি বছর ধরে যেভাবে করে আসছিস, তার কি কোনো তুলনা হয় !!! ... সেন বাড়ির রীতি ছিলো, ছেলেদের জন্মদিন পালন হবে, মেয়েদের নয় | কিন্তু তুই তো ছেলেদের চেয়েও অনেক উর্দ্ধে রে মা | তুই আমাদের মা, বাবা, আমাদের পালনকর্তা | তোর বাবা অসুস্থকালীনই আমাদের সঞ্চয়ের বেশিরভাগটাই শেষ হয়ে যায় | বাকি যে টুকু বেঁচে ছিলো, সেটুকুও শেষ হয়ে যায় পরবর্তী আরও দুটো বছর সংসার চালাতে | তুই তখন কি পরিশ্রমটাই না করেছিস !! টিউশনি করে নিজের কলেজের খরচ চালাতিস, সাথে ভাইদের পড়াশোনার খরচ | তারপর তোর বাবার চাকরিটা দুবছর বাদে পেয়ে সেই যে নিজের কাঁধে সংসারের সব দায়িত্ব তুলে নিলি, আজও সেই দায়িত্ব থেকে তোর মুক্তি নেই | অসুস্থ মা, দাদু, বয়স্কা ঠাকুমা, ছোটো দুটো ভাইকে নিয়ে দিব্যি হাসি মুখে সংসার সামলে গেছিস | ওই মানুষটার অভাব কখনও বুঝতেই দিসনি | তুই কোথায় কোনো ছেলের চেয়ে কম !!! .... আমার এ সংসারে তুই, আর তোর ভাইয়েরা সমান সমান | বরং বলতে পারিস, তোর অবদান তোকে ওদের চাইতেও এগিয়ে রেখেছে | "

"তবুও মা.... "

"আর কোনো 'তবু' নেই রে দিদি | এই দেখ, আমার এপয়েন্টমেন্ট লেটার | হাই স্কুলের অঙ্কের শিক্ষকের চাকরি আমার হয়ে গেছে | আজই এসছে বাড়িতে এই লেটারটা, তাও তোর জন্মদিনে | "


"আজ ইউনিভার্সিটিতে লিস্ট বেরিয়েছে দিদি ক্যাম্পাস কলিং এর | আমারও চাকরি হয়ে গিয়েছে একটা নাম করা এম.এন. সি. তে | ", তুহিনও এগিয়ে এসে বলল| " তাহলেই বল দিদি, কেন শুধু তুই মেয়ে বলেই তোর জন্মদিন পালন হবে না?? ... বাড়ির ছেলেরা কি স্বত্ব কিনে রেখেছে নাকি জন্মদিন পালনের?? .... একটা বংশে, একটা বাড়িতে ছেলে মেয়ের অধিকার, ভালোবাসা, দাবী সব এক হওয়া উচিত | তোর সাথে এই ভুল ব্যবহার করা হয়েছে বলেই বোধহয় এই পরিবারের উপর দিয়ে এত ঝড় ঝাপ্টা গিয়েছে | ভগবান বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন, জন্ম সূত্রে, লিঙ্গ অনুযায়ী কেউ অধিকার নিয়ে আসে না | অধিকার তৈরী করে নিতে হয় | "


"কিন্তু ঠাকুমা??? ..... "


" আমি ভুল ছিলাম দিদিভাই | তোর সাথে অনেক অন্যায় করেছি আমি | আমার পাপেই আমি আমার তাপসকে হারিয়েছি | আমি বুঝেছি, পরিবারে ছেলে মেয়ে সমান হয় | তারা আগে মানুষ, তারপর ছেলে আর মেয়ে | আমি মানুষ চিনতে পেরেছিলাম না | তোরা সবাই মিলে আমার বন্ধ চোখকে খুলে দিয়েছিস | আজ আর না করিস না তন্দ্রা, পালন হতে দে তোর জন্মদিন | আমার তাপসের শেষ ইচ্ছে পূর্ণ করি আমি | তাতে যদি আমার ছেলের কাছে আমি ক্ষমা পেতে পারি | "


তন্দ্রা ঠাকুমাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলে | সবাই মিলে আনন্দ করে তন্দ্রার জন্মদিন পালন করে | দুই ভাইয়ের কিনে আনা চুড়িদার পরে মায়ের হাতে পায়েস খেয়ে আর কেক কেটে জীবনে প্রথমবার জন্মদিন পালন হয় তন্দ্রার | সেন বাড়িতে আজ সাম্যের জয়গান হচ্ছে যার সুর ধ্বনিতে ধুয়ে যাচ্ছে ছেলে মেয়ের বিভেদতা | আর সবার অলক্ষ্যে ঈশ্বরের ঘরে বসে তাপস বাবু তুষ্টতায় ভাবছেন, দেরী হলেও তার পরিবারে মেয়েদের সম্মান ফিরেছে, ঘুচে গেছে অপমানের গ্লানি |


সূচী মনে স্নাত হয়ে তার মা দিয়েছেন সেন পরিবারের যোগ্যতম সন্তানকে সম্মান | এই সম্মান জিইয়ে থাকুক চিরকাল | দুহাত ভরে মেয়েকে আশীর্বাদ করে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে বলেন, "তন্দ্রাকে তুমি আশীর্বাদ কোরো ভগবান, যেন আর কখনো ওকে চোখের জল ফেলতে না হয় | " 


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Classics