STORYMIRROR

Shyamasree (শ্যামশ্রী)

Tragedy Classics

4  

Shyamasree (শ্যামশ্রী)

Tragedy Classics

জীবনযাপন ( অন্তিম পর্ব)

জীবনযাপন ( অন্তিম পর্ব)

8 mins
225

সুজিত আরতিকে দেখে ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরে, কিন্তু আরতি কোনো কথা বলছেনা দেখে সে ভাবে আরতি অভিমান করেছে। তাই রাগ ভাঙ্গানোর জন্য সর্বতভাবে চেষ্টা করতে থাকে।

" আরতি ও আরতি কথা বলো না, এমন করে মুখ ফিরিয়ে থেকোনা। ডাক্তারবাবু ও কথা বলছে না কেন? মেসোবাবু ওকে বলেন না কথা বলতে। "

সুজিতের এমন আকুলপাড়া কান্না আর অস্থিরতা দেখে মুকুন্দবাবু নিজের চোখের জল আঁটকে রাখতে পারে না।

যখন দেখে এতো কিছুর পরেও আরতির মধ্যে কোনো ভাবান্তর নেই, নিরাশ ব্যর্থ মুখে স্ত্রীর পাশে বসে পড়ে সুজিত। আরতির একটা হাত নিজের হাতে তুলে নিয়ে বলে "আমার উপর রাগ করেছ তাই না? এজন্য কথা বলছ না তুমি? আমি জানি আমি অনেক ভুল করেছি,  জানো তো আমি ভুল করে ফেলি,তুমি ভুল শুধরে ক্ষমাও করে দাও। কিন্তু এবার কেন ক্ষমা করতে পারছো না তুমি? এমন করে মুখ ফিরিয়ে থেকো না লক্ষ্মীটি। "

আরতির কাছে থেকে কোনো উত্তর না পেয়ে কেমন অসহায় দৃষ্টিতে খুঁজতে থাকে কোনো একটা অবলম্বন। মুকুন্দবাবু এগিয়ে যেতেই উনাকে শিশুর মতো আঁকড়ে ধরে বলে " বলুন না আপনার মেয়েকে আমাকে ক্ষমা করে দিতে। ক্ষমা না করতে পারলেও হবে, শুধু যদি কথা বলে। আমার জন্য না ছেলে মেয়েদের দিকে তাকিয়ে। "

মুকুন্দবাবু জামাইয়ের কাঁধে হাত দিয়ে বলেন "শান্ত হও বাবা, তোমাকে শক্ত হতে হবে। তোমাকেই তো ওকে আবার কথা বলাতে হবে। "

সুমিত কি বুঝতে পারলো কে জানে পথহারা মানুষের দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল মুকুন্দবাবুর দিকে।

______


"কি রে মা দেরী করিস না, স্কুল যেতে দেরি হয়ে যাবে, আমাকে তো আবার দোকানও খুলতে হবে তাই না?"

তাড়া দেয় মেয়ে নয়নকে। ছেলে দুটোর দুপুরে স্কুল, ওরা পড়ে এসে খেয়ে ঠিক স্কুলে চলে যাবে। নয়নের সকালে স্কুল, মেয়েকে স্কুলে দিয়ে দোকান খোলে। তারপর স্কুল ছুটি হলে মেয়েকে নিয়ে যায় মায়ের কাছে। কিছুক্ষণ থাকে স্ত্রীর কাছে,তারপর বাড়ি ফিরে স্নান সেরে সকালের করে যাওয়া ঠান্ডা ভাতে ডাল গরম করে দিয়ে খেয়ে নেয়, মাঝে মাঝে ডিম ভেজে দেয়, কখনোবা হাসপাতাল থেকে আসবার পথে মাছ কিনে নিয়ে আসে। সেটা অপটু হাতে ভেজে নেয়। এমন করেই চলছে দিন, যে মানুষ ঘরের কোনো কাজ পারতো না। একটা সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারতো না। সে আজ সবটা সামলাচ্ছে।

মাস ছয়েক কেটে গিয়েছে আরতিকে দেখা পরে,তারপর অদ্ভুত একটা পরিবর্তন দেখা যায় সুজিতের মধ্যে। তিন দিন তিন রাত ওকে কেউ আরতির পাশে থেকে সরাতে পারেনি। জামাইয়ের এই অবস্থা দেখে বাধ্য হয়ে মুকুন্দবাবু নাতি নাতনিদের নিয়ে আসেন। অজিত আর সুমতি বাঁধা দিচ্ছিলেন, বাচ্চারা যদি মায়ের এই অবস্থা না সইতে পারে তাই। মুকুন্দবাবু একটা কথাই বলেছিলেন " কেবলমাত্র

বাচ্চারাই ফেরাতে পারে সুজিতকে। আর আমার আরতি আছে, এই সত্যিটা বাচ্চাদের বাঁচতে সাহায্য করবে।"

হয়েছিলও তাই, ছেলে মেয়েরা যখন বাবাকে গিয়ে জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠে, ছেলেমেয়েদের স্পর্শেই সুমিতের পাথরসম দেহে যেন প্রাণের সঞ্চার হয়। সুমিত ছেলে মেয়েদের বুকে টেনে নিয়ে বলে উঠে "আমি তো আছি, তোদের মাও আছে, ঘুমিয়ে আছে খালি, ঘুম ভাঙ্গলে আমরা আবার একসাথে আগের মতো থাকবো। কাঁদে না বোকা। মা সব শুনছে, দেখ চোখে জল, তারমানে কাঁদছে।" এরপর অনেক কথা বলেছিল সুজিত ছেলেমেয়েদের সাথে। ছেলে মেয়েরা অনেক দিন পরে বাবাকে এতো কাছে পেয়ে বাবার বুকের মাঝে মিশে যেতে চায় যেন।

এরপরের ঘটনাটা অন্যরকম, সুজিত ছেলে মেয়েদের নিয়ে মালদায় চলে আসে, গ্রামের কিছু জমি বিক্রি করে দিয়ে এখানে চালের দোকান খোলে। ছেলেমেয়েদেরও এখানকার স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছে। একটাই কারণ আরতির কিছুটা কাছে থাকা। সুমতি চেয়েছিল নিজের কাছে রাখতে ছেলে মেয়ে তিনটেকে। কিন্তু সুজিত রাজি হয়নি। ওর বিশ্বাস ছেলে মেয়েরা কাছাকাছি থাকলে আর মাঝে মাঝে ওদের দেখলে আরতি কোমা থেকে ঠিক বেড়িয়ে আসবে। আরতির এই ছয়মাসে তেমন উন্নতি কিছু হয়নি, তবে ডাক্তারবাবু ভাবান্তর পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন। এটাই সুজিতের জন্য অনেক। সময় পেলে স্ত্রীর পাশে এসে বসে সে। হাসপাতালও সুজিতের জন্য নিয়ম শিথিল করেছে। তবে এই ছয়মাস খুব কষ্ট করেছে সুজিত, মালদার মতো শহরে এসে নতুন করে ব্যবসা শুরু করা সহজ না। তার উপর তিন তিনটি বাচ্চার দায়িত্ব। ঘর ভাড়া খোঁজা,দোকান ঘর খোঁজা আর তারপর স্কুলে ভর্তি। সবমিলিয়ে নাভিশ্বাস অবস্থা হয়ে গিয়েছিল ওর। খালি দাদা অজিত আর মেসোবাবুর সাহায্যে কাজটা কিছুটা সোজা হয়েছিল। তবে সাহায্য যতটা কম নেওয়া সম্ভব নিয়েছে সে।

" মা আর একটু নে, তোর মা সুস্থ হলে ভালো কিছু খাবি, এখন তোর বাবাটার পচা খাবার খেয়ে নে কষ্ট করে। "

নয়ন বাবার কোল ঘেঁষে বললো " কে বললো আমার বাবার রান্না খারাপ? কি রে দাদা খারাপ? "

অয়ন চয়ন সাথে সাথে বোনকে সমর্থন করে বললো "ঠিক ঠিক। "

ছেলে মেয়েদের দিকে তাকিয়ে চোখে জল এসে যায় ওর।এক কামড়ার একটা ছোট্ট ঘরের জীবনকে বিনা প্রতিবাদে মেনে নিচ্ছে। এরাই খোলা বাতাসে মুক্ত পরিবেশে জীবন কাঁটিয়েছে একদিন।এখন পাঁচজন অচেনা পরিবারের সাথে জীবন কাটানো।ছোট্ট একটা নামমাত্র উঠোন।ঘরের পাশে ড্রেনের দুর্গন্ধ, একটু বৃষ্টিতে উঠোনে জল উঠে আসে। টাইম করে জল আসে, সেটাই ভরসা। জল ভরিয়ে না রাখলে সারাদিন জল কষ্ট, নইলে পাশের কুয়ো থেকে জল তুলতে হবে। কিন্তু সেই জল খাবার তো দূর, মুখ ধোবার যোগ্য না। তবুও ছেলেমেয়েগুলো কখনো এই নিয়ে অভিযোগ করেনা। কচি কচি হাতে জল ভরে রাখে অনেক সময়।

আজ মনে হয় এদের জন্য সুজিত বাঁচছে না, ওরা আছে দেখে সুজিত বেঁচে আছে। ওদের সুজিত সামলাচ্ছে না,ওরাই সুজিতকে সামলাচ্ছে। যেমন আজকে শুধু হয়েছে মাছ ভাজা, আলুসিদ্ধ আর ডাল, ডালে আবার নুন কম। তবুও একবারও খারাপ বললো না। না বললো খাবে না।আরতি সুস্থ থাকলে এমন হতে পারতো! তাদের পঞ্চব্যঞ্জন রেঁধে খাওয়াতো সে, আর ছেলে মেয়েরা তো একবেলা মায়ের হাতে ছাড়া খেতো না। আজ এই ছেলে মেয়েরাই একবারও খাইয়ে দেবার জন্য বায়না পর্যন্ত করেনা। আগে নিজের বাড়িতে থাকার সময় অয়ন চয়ন খেলতে যাওয়ার জন্য বায়না করতো, এখন বাড়ি ঘর ছেড়ে বাইরে যায়না। যেতে বললেও যায়না। দেখে বুক ফেঁটে যায় সুজিতের। মনে হয় ওদের শৈশবটা কেড়ে নেওয়ার জন্য নিজেকে দায়ী করে। কখনো যদি বাড়ি তাড়াতাড়ি চলে আসে সুজিত, দেখে তিন ভাইবোনে চুপ করে বসে রয়েছে। ওদের উদাস দৃষ্টি সুজিতের বুকটাকে ফালাফালা করে দেয়। ওদের চোখের অব্যক্ত প্রশ্নগুলো তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াতে চায় সুজিতকে।

নয়ন বাবার দিকে তাকিয়ে বলে উঠে "বাবা কাঁদছো কেন?" তারপর এগিয়ে গিয়ে চোখ মুছিয়ে দেয় বাবার।

" ধুর পাগলি কিছুই হয়নি, তোদের মতো ছেলেমেয়ে থাকলে কষ্ট কিসের? এ যে আমার আনন্দাশ্রু। "

তারপর মেয়ের ভাতের থালাটা টেনে সেই থালায় সবার ভাত নিয়ে ঘি নুন দিয়ে মেখে বললো "চল মা তোদের আজ আমি খাইয়ে দিই।"

" তুমি?"

" হ্যাঁ আমি,কেন তোর কি মনে হয় খাওয়াতে পারব না?"

সবাই প্রায় একসাথে বলে উঠে " না না তা নয়, বেশ হয়।"

চয়ন বললো " দাদাও আমাদের দুইজনকে খাইয়ে দেয় মাঝে মাঝে জানো!"

সুজিত বিষয়টা জানত না, যারপরনাই অবাক হয়ে গেল সে। বড় ছেলের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকাতেই সে সংকোচে মাথা নামিয়ে নিলো।

সুজিত কিছু না বলে ছেলে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো। মনে মনে বললো "সত্যি আমার ছেলে-মেয়েরা অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। "

তারপর"দেখতো কেমন হয়েছে খেতে? " বলে একদলা ভাত নিয়ে হাত বাড়াতেই নয়ন আগের মতো মুখে নিয়ে নিলো, এমনটা বাড়িতেও করতো সে।শেষ আর প্রথম কে খাবে এই নিয়ে বেঁধে যেতো যুদ্ধ। খাবারটা একটু খেয়েই নয়ন আঙুল ইশারা করে বললো দারুণ। তারপর একই থালায় ছোটবেলার গল্প করতে করতে সবটা ভাত খাইয়ে দিলো তিন ভাইবোনকে। ওদের খাওয়াতে গিয়ে বারবার নিজের বাড়িতে আরতির পাশে বসে ছেলে মেয়েদের নিয়ে আনন্দে কাটানো দৃশ্যগুলো মানসপটে ভেসে উঠছিল।

সবে মাত্র খাবার সেরে খাটে এসে বসেছে চারজনে।

এমন সময় হঠাৎ মোবাইল ফোনে একটা ফোন ভেসে আসে। তাড়াতাড়ি করে ফোনটা কানে নিতেই সুজিতের শরীরটা কেঁপে উঠে।

" এক্ষুনি যাচ্ছি, আরতি আছে তো?"

বাকিটা আর শোনা যায় ফোনের এপার থেকে।

ছেলেমেয়েরা বুঝতে পারে হাসপাতাল থেকে ফোন আর তাদের মায়ের কিছু একটা হয়েছে। সুজিত তাড়াতাড়ি বাইরে পোশাক পড়ে নিতে যেতেই বললো " বাবা হাসপাতাল থেকে ফোন তাই না?"

" হ্যাঁ " বলে ছোট্ট উত্তর দিলো সুজিত।

" আমরা যাব বাবা।"

"আহঃ বিরক্ত করিস না, তোরা বাড়িতে থাক।"

" না আমরা যাবই" বলতেই জোরে একটা ধমক দিয়ে উঠে সুজিত।

নয়ন কেঁদে ফেলে। এতোদিনে এতো কষ্টেও একজনকেও কাঁদতে দেখেনি সুজিত। নিজেও অসহায় বোধ করে। এদিকে আরতির খবর, অন্যদিকে ছেলেমেয়েরা এতো রাতে যেতে চাইছে।

মেয়ের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে মেয়ের চোখ মুছে বললো " আরে বোকা মেয়ে কাঁদে না, এতো রাতে বাচ্চাদের বাইরে যেতে আছে?"

" জানি, আমরা আর কোনো দিনও বারণ করবো না, আজ নিয়ে চলো আমাদের। "

অয়নের এই কথায় বুকটা কেমন করে উঠলো, মনে হলো ছেড়ে যাওয়া ঠিক হচ্ছেনা।

আধঘন্টার মধ্যে হাসপাতালে এসে পৌঁছালো। দেখে আরতির কেবিনের সামনে কয়েকজন ছোটাছুটি করছে। সুজিত বুঝতে পারলো না হয়েছেটা কি? কিছুক্ষণ কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকার পরে দেখলো আরতির কেবিনে থেকে আরতির ডাক্তারকে বেড়িয়ে আসতে দেখে বললো " ডাক্তারবাবু আরতি কেমন আছে?"

" ও আপনি এসে গিয়েছেন?"

তারপর বাচ্চাদের দিকে তাকিয়ে বললেন " ওদের এনেছেন, ভালোই করেছেন। আপনি আগে যান। তারপর না হয় ওদের নিয়ে যাবেন।

সুজিত আরতির কেবিনে ঢুকেই দেখে একজন ডাক্তার আরতির নাড়ি ধরে বসে রয়েছেন।

" আপনি এসেছেন, আরতি দেবীর অবস্থা ভালো না, আগের থেকে অবনতি করেছে। তাই তড়িঘড়ি ডেকে পাঠালাম আপনাকে।"

সুজিত আরতির পাশে বসে একটা হাত হাতে তুলে নিয়ে বললো " আরতির কিছু হতেই পারে না, আমাকে ভয় দেখাচ্ছে ও। ও যে আমার জীবনযাপনে জড়িয়ে আছে। আমি জানি একদিন ও ঠিক চোখ খুলবে। আমাদের সাথে আগের মতো হেসে খেলে বেড়াবে।"

তারপর পরিচিত নার্সকে অনুরোধ করল" নার্সদিদি আপনি আমার ছেলেমেয়েদের নিয়ে আসুন। ওরা ওদের মায়ের সাথে দেখা করতে এসেছে। "

ছেলেমেয়েরা ঘরে ঢুকতেই বলল " দেখো আরতি তোমার ছেলে মেয়েরা এসেছে। "

তারপর ছেলেমেয়েদের পাশে বসিয়ে বললো "

মায়ের সাথে গল্প করবি আয়। আজ দেখতে আসিনি দেখ তাই কেমন অভিমান করেছে তোর মা।"

তারপর গল্পে মশগুল হয়ে যায়৷

ডাক্তার বাবু লক্ষ্য করে অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে আরতি।

ডাক্তারবাবু সরে এসে প্রৌঢ়া নার্সকে বলে " দিদি এটাকে আপনি কি বলবেন? এটা কি ভালোবাসা না? নইলে আরতি যে মানুষটা প্রায় সাত-আট মাস ধরে কোমায়। সেও কি প্র‍তীক্ষায় রয় তার প্রিয়তমের? আর সুজিত সে স্ত্রীর সুস্থের প্রতীক্ষায় বসে রয়েছে। সব ছেড়ে এই শহরে চলে এসেছে। জানিনা এদের প্রতীক্ষা কবে শেষ হবে? আদেও হবে কিনা?"

বলে বেড়িয়ে আসে ঘর ছেড়ে। থাকুক ওরা নিজের মতো। সব কিছুতে নিয়ম চলে না।

গল্পটা অন্যরকম, হয়তো এই গল্পটা ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে না এরা বিশেষ কেউ না। এটা যেহেতু চিরাচরিত প্রেমের গল্প নয়, তাই লেখকরাও কলম তুলে নেবেন না। তাই আমি লিখে রাখলাম। শেষ চারমাস আগে খবর পেয়েছিলাম ওদের, এখন যাওয়ার কারণ নেই, হাসপাতালের সাথে সম্পর্কটা সেদিন সব চুকিয়ে দিয়ে এসেছিলাম।শুনেছিলাম আরতি তখনও কোমায়। সুজিতবাবুর সাথে কথা বলেছিলাম প্রতিদিনের অভ্যাস মতো দরজার কাছে দাঁড়িয়ে, উনার চোখে দেখি সেই আশা। যা হয়তো আমার চোখে ছিল একদিন, তবুও বলতে পারিনি কথাটা,কি হবে নির্মম সত্যতার আয়না দেখিয়ে?তাছাড়া আমি অনুভব করেছি আরতি ওদের সাথে না থেকেও ওদের জীবনযাপনে জড়িয়ে আছে।এই প্রেমহীন নিঃস্বার্থ ভালোবাসাটাই অসাধ্য সাধন করবে হয়তো কোনো একদিন।

~~ সমাপ্ত~~



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Tragedy