হাসি থেকে ফাঁসি।
হাসি থেকে ফাঁসি।
আপনি কি বিশ্বাস করেন যে কোনো হাসি আপনাকে মৃত্যুর দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে পারে? এই গল্পটি হাসি থেকে ফাঁসি পর্যন্ত বিস্তৃত এক মানসিক ট্র্যাপ।
আপনি কি বিশ্বাস করেন যে কোনো মৃত মানুষ ফিরে আসতে পারে? আর যদি আসে, তবে তার ফিরে আসা কি কেবল এক ভয়ানক খেলার সূচনা নয়?
আরিয়ান ও দীপা যখন গভীর রাতের নিস্তব্ধ শহর পেরিয়ে অন্ধকার রাস্তায় ধীরে ধীরে হাঁটছিল, তারা জানত না যে তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় প্রশ্নটি কেবল একটি ফোন কলের অপেক্ষায় ছিল। বাতাসে হালকা ঠান্ডা, দূরের ল্যাম্পপোস্টের আলো ঝলমল করছে।
হঠাৎ ফোন বেজে উঠল।
ভাঙা কণ্ঠস্বর ফিসফিস করে বলল—
“সে… বেঁচে আছে… জ্যাকলিন।”
আরিয়ান কেঁপে উঠল। জ্যাকলিন? যে মেয়েকে সে মৃত ভেবেছিল, সে জীবিত? রাতের ছায়া যেন আরও ঘন হয়ে উঠল। তার মাথার ভেতরে তখন কেবল একটিই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল—কেন? কোথায়? এবং কীভাবে এই ভয়ানক খেলার শেষ হবে?
📼 পুরোনো ভিডিও এবং মানসিক ফাঁদ।
উত্তর খুঁজতে আরিয়ান পুরোনো আর্কাইভে ঢুকতে বাধ্য হলো। একটি হার্ডড্রাইভ চালু করল। স্ক্রিনে যা দেখা গেল, তা এক বিভীষিকা।
দেখা গেল জ্যাকলিনকে—চোখের নিচে গভীর দাগ, এলোমেলো চুল, কাঁদছে আর হেসে হেসে কাঁদছে। তার পাশে দাঁড়িয়ে জোকার, মুখে সেই বিকৃত, ভয়ংকর হাসি। সে জ্যাকলিনের হাতে একটি চিরকুট ধরিয়ে বলল,
“এই হাসি তোমার জন্য, আরিয়ান। এই হাসিই শেষ হবে… তোমার হাতে।”
আরিয়ান বুঝল, এটি শুধু কোনো হত্যার খেলা নয়—এটি একটি নিখুঁত মানসিক ট্র্যাপ। প্রতিটি ফাইল, ভিডিও, চাবি, লক—সবই পরিকল্পিত। জোকার তার শিকারকে শুধু ভয় দেখাতে চায় না, সে চায় শিকারের মন ভেঙে দিতে।
🗝️ লুকানো চাবি, মোমবাতি আর ছায়ার ঘর।
একটি লুকানো চাবি, একটি লক, মোমবাতি আর ছায়ার ঘর। ধীরে ধীরে তারা ধুলো জমা সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামল। মেঝের নিচে লুকানো সেই ঘরে পৌঁছাল।
মোমবাতি জ্বলছে, ছায়া দীর্ঘ, বাতাস ফিসফিস করছে। মেঝের নিচে দেখা গেল ছয়জন বন্দি—প্রতিটি মুখে জোকারের বিকৃত হাসি আঁকা।
দীপা ভয়ে কেঁপে কেঁপে বলল—
“স্যার, আমরা কি বাঁচব?”
আরিয়ান কেবল মাথা নেড়ে দৃঢ় কণ্ঠে বলল—
“এটা শেষ খেলা, দীপা। আর শেষ হাসি… আমাদের সামনে।”
👤 ছায়ার মুখোমুখি এবং চূড়ান্ত টুইস্ট।
ঘরে ঢুকতেই দেখা গেল একটি ছায়া। আরিয়ান ধীরে ধীরে তার দিকে এগোল। ছায়া নড়ল না, হঠাৎ বাতাসে ফিসফিস—
“আমি সব দেখেছি, আর এখন হাসবেই।”
চোখে অদ্ভুত কালো শূন্যতা, মুখে অস্বাভাবিক হাসি। দীপা কেঁপে উঠল। আরিয়ান চুপচাপ ছায়ার মুখের দিকে এগোল। হঠাৎ বাতাসে ধোঁয়া ঘুলমুল করে ছায়ার মধ্যে ছড়িয়ে গেল।
ছায়ার মুখ থেকে যা দেখা গেল, তাতে আরিয়ানের শ্বাস থেমে গেল—জ্যাকলিন। চোখ খালি, ঠোঁটের পাশে লাল দাগ, মুখে সেই বিকৃত হাসি।
জোকারের শব্দ দূরের কোণে ভেসে এল—
“শেষ হাসি সম্পূর্ণ হলো। এবার সব সত্য প্রকাশিত হবে।”
আরিয়ান বুঝল, জ্যাকলিন শুধু শুরু। এই হাসিই এখন থেকে চূড়ান্ত খেলা।
🤝 মুক্তির হাসি: যখন লক খুলল।
চাবি হাতে আরিয়ান ধীরে ধীরে লক খুলল। মোমবাতি নিভে গেল। জোকার ধোঁয়ার মতো মিলিয়ে গেল। বন্দিরা মুক্ত হলো। জ্যাকলিন, রাহাত, মায়া—সবাই একে অপরের দিকে তাকিয়ে হাসল। তাদের মুখে ফিরল প্রকৃত, স্বস্তির হাসি।
শহর শান্ত। বাতাস ফিসফিস করছে, দূরের বৃষ্টি ঝরছে।
জ্যাকলিন বলল—
“হাসি থেকে ফাঁসি কেবল শেষ হলো এই রাতেই। কিন্তু আমরা কেউ ভুলব না।”
আরিয়ান ধীরে ধীরে চোখ বন্ধ করে বাতাসের ফিসফিসে শুনল—একটি হাসি, যা যেন দূরের অন্ধকার থেকে ভেসে আসছে। সে জানল, খেলা সত্যিই শেষ হয়েছে, কিন্তু জোকারের ছায়া, ভয়, রহস্য এবং সেই রাতের স্মৃতি সবসময় থেকে যাবে।
— আপনার চিন্তা কী?—
“হাসি থেকে ফাঁসি’—এই ভয়ানক খেলাটির শেষ মোচড় আপনার কেমন লাগল? আপনার কি মনে হয় জোকার আবার ফিরে আসবে? কমেন্ট বক্সে জানান এবং এই সাসপেন্সময় রাতে আরিয়ানের পাশে আপনি থাকলে কী করতেন?

