গরমের আশীর্বাদ
গরমের আশীর্বাদ
আজকের এই কর্মব্যস্ত জীবনের মাঝে মানুষের ঠিক করা কোন কাজ যদি সাফল্য না পায়, তখন মন ভীষণ খারাপ হয়ে যায়। সম্পূর্ণ ব্যাপারটা খুব বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। এই কারনে মেজাজটাই বিগড়ে গেল বকাঙ্গনার এতদিনের মনোমালিন্য, ভুল বোঝাবুঝি শেষ হতে চলেছিল আদালতের পরবর্তী শুনানী - এই কিন্তু এই বছর অতিরিক্ত গরম পড়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল আদালত! গরম না কমা পর্যন্ত আদালত নাকি খুলবে না!
মিউচুয়াল ডিভোর্স ফাইল করা সত্ত্বেও আদালতের নির্দেশে বকাঙ্গনা আর উদয়কে ছ'টা মাস একসাথে থেকে দেখতেই হবে, নিজেদের বোঝাপড়া আবার সম্ভব কিনা। যদিও দুজনেই নিশ্চিত, সেটা আর সম্ভব নয় আর তারা যে কতখানি সত্যি, তা গত ছয় মাসেই প্রমাণিত কিন্তু যতদিন না আদালত খুলছে, ততদিন আবার একে অপরকে সহ্য করতেই হবে!
অতিরিক্ত গরমে সারাক্ষণই ঘরে থাকতে হচ্ছে উদয়কে, বাইরে বেরিয়ে প্রিয়তমার সাথে দেখাও করতে পারছে না বেচারা, মনে মনে মুচকি হাসে বকাঙ্গনা।
কয়েকদিন ধরেই বিধ্বস্ত লাগছে উদয়কে, ফোনে কাউকে বলছিল, হয়তো চাকরিটা চলে গেছে। ওকে এত ভেঙে পড়তে কখনো দেখেনি বকাঙ্গনা!
..... নাহ্, এভাবে উদয়কে ভেঙে পড়তে দেওয়া যায় না। বরাবরই রান্নার হাতটা ভালো বকাঙ্গনার। রান্না করে বাড়িতে বাড়িতে ডেলিভারি দিতে শুরু করল সে.....।
আজ বকাঙ্গনার আর উদয়ের রেস্টুরেন্টের উদ্বোধন..... বকাঙ্গনাকে জড়িয়ে ধরে উদয় বলল, "এ তো
গরমের আশীর্বাদ।ভাগ্যিস, এই বছর এত গরম পড়েছিল......।