এক অলেখা চিঠি
এক অলেখা চিঠি
প্রিয়,
আজ আমার মনটা ভীষণ খারাপ ।আজ খুব ইচ্ছে হচ্ছে, তোমার হাতে হাত রেখে হারিয়ে যেতে।আমারও তো খুব বেশি রকম গল্প করতে ইচ্ছে করে কখনো কখনো–কিন্তু কার সাথে?কোথাও কেউ নেই,তাই তোমাকেই বলি। এতোটুকু ভালোবাসার পিয়াসী কাঙ্গাল হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরি,মিথ্যে হাসিতে দিন রাত পেরোয়!
আমার শরীর মন কেবল বিষাদের নীল সুরে ঘনীভূত। চোখের নিচে কালি পড়েছে,বয়সটাও যেন এক লহমায় অনেক বেড়ে গেছে। জানো,আমার ভীষণ ইচ্ছে তোমার সাথে হুডখোলা রিকশায় আমি অনেক ঘুরে বেড়াব,ভরা বর্ষায় নৌকায় চড়ে বৃষ্টিতে ভিজব,
নদীও থাকবে যৌবনের অসীমতায় ঘেরা। বৃষ্টির জলে সব ক্লান্তি বেদনাকে ধুয়ে-মুছে নতুন জীবনে পা রাখব। বসন্তের মোহময় বাতাসে – একসাথে হাতে হাত রেখে অনেক ঘুরে বেড়াব।
তোমার কাঁধে মাথা রেখে পৃথিবীর সব সুখ এসে ভীর করবে আমার হৃদয় কার্নিশে। ভেলপুরির দোকানের সামনে তোমার ঐ মায়াকাড়া চোখের দিকে তাকিয়ে বারবার হারিয়ে যাব।প্রচন্ড ঝালে আমার চোখে পানি আসবে, তুমি আলতো করে মুছিয়ে দেবে। আমি হঠাৎ তাকিয়ে দেখবো – তুমি নেই।ভয়ে ভয়ে যখন চারদিকে তোমায় খুঁজব,তখন তুমি এসে বকুল ফুলের মালাটা আমার খোপায় জড়িয়ে দেবে। আমি মলিন বদনে খুব অভিমান করবো –অভিমানের রেশ অশ্রু হয়ে ঝড়ে পড়বে। তোমার বুকে আলতো করে ছুঁয়ে বলবো – তুমি খুব পঁচা,খুব! এত ভয় দেখাও কেন?তুমি টুক করে আমার কপালে আলতো করে চুমু খেয়ে বলবে– ভালোবাসি,ভীষণ ভালোবাসি।সেই আশা,স্বপ্ন ঘিরে সেদিন তোমার বাড়ি ছুটে গিয়েছিলাম।তুমি তখন ব্যস্ত তোমার প্রিয়দর্শিনীর পায়ের নুপুর জোড়ায় তোমার ভালোবাসার কনকাঞ্জলি লিখতে। তব আমি অশ্রু ভেজা চোখে, মলিনবদনে দিনের ক্রান্তিলগ্নে বেলকুনিতে দাঁড়িয়ে আজও সেই গান শুনি
"তোমার ভালো থাকার মাঝে
আমার রংহীন এ মন রং খোঁজে,
তোমার সুখের সকাল সাঁঝে
আমার এই মনে রঙ ছড়িয়ে যায় হৃদয়ের ভাজে ভাজে। "

