ছটপূজা
ছটপূজা
ছটপূজা একটি জনপ্রিয় পার্বন বিশেষ করে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ,বিহার,উড়িষ্যা, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের কিছু জায়গায়(বিশেষ করে পুরুলিয়া, আসানসোল)।ছটপূজা সাধারনত চার দিন ধরে উদযাপিত হয়।
ছটপূজা একটি বৈদিক মতে পালিত পার্বন।সূর্যদেব সৃষ্টি করেছেন পৃথিবী।বৈদিক মতে অগ্নি প্রধান দেবতা আর সূর্যদেব একমাত্র প্রধান দেবতা যাকে মানুষ প্রতিদিন দেখতে পায়।আজ পৃথিবীর যাবতীয় জীব জগৎ সূর্যদেব এর কৃপাতে বর্তমান।সূর্যদেব ছাড়া আমাদের পৃথিবী/ধরা/বসুন্ধরা অস্তিতহীন।তাই কৃতজ্ঞতা স্বরূপ এই দিন টিতে খুবই ভোরে সবাই গঙ্গা নদীতে হাজির হয়।বিশেষ করে বাড়ীর মহিলারা সূর্য্য প্রনাম করার জন্য সূর্য ওঠার আগে থেকেই কোমর পর্যন্ত জলে দাঁড়িয়ে থাকে।তার পর সবাই অপেক্ষা করে সূর্যের প্রথম আলো ঊষাকে বা ছটমাতাকে প্রনাম করে সূর্যদেবকে প্রণাম জানানোর জন্য।তার পর সূর্যদেব উদিত হলে সবাই নিষ্ঠা ভরে সূর্যদেব কে প্রনাম জানায়।আর সূর্যদেব কে নিবেদন করে ক্ষির, দুধ,ফল,আখ,ঢেঁকুয়া,চালের নাড়ু।এই মুহূর্ত পালন করার জন্য সকলেই ৩৬ ঘন্টা নিষ্ঠা সহকারে উপোষ করে থাকে।সূর্যদেব কে প্রনাম জানায় এ জগতের জীবজগতকে রক্ষা করার জন্য ও পরিবারের সবার জন্য আশীর্বাদ চেয়ে নেয়।সকলে সূর্য প্রনাম সেরে তাদের উপোষ ভঙ্গ করে।
অতীতে রামচন্দ্র ও সীতামাতা বনবাস থেকে ফিরে আসার পর এই কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষে এই পূজা চালু করেছেন বলে কথিত।আরো কথিত দ্বাপরযুগে দ্রৌপদী ইন্দ্রপস্থে(অধুনা দিল্লি)এই রীতি পালন করতেন।
যাই হোক সূর্যদেবের ঋণ পরিশোধ করা কখনো সম্ভব নয় তবু এই রীতি সূর্যদেব কে প্রনাম জানিয়ে কিছুটা কৃজ্ঞতা তো জানানোই যেতে পারে।