ভণ্ড
ভণ্ড


- প্লিজ শ্রেয়া, তোমার এই স্লিভলেস কামিজগুলো আমার মায়ের সামনে পরে ঘুরো না। একটু ভদ্রভাবে চলতে কি অসুবিধা হয় তোমার?
- কেন তোমার মা কিছু বলেছেন বুঝি?
- মা কেন বলবে? আমিই বলছি বড্ড দৃষ্টিকটু লাগে।
- আশ্চর্য তো, মায়ের এই গরমে দিনরাত শাড়ি পরে থাকতে অসুবিধা হয় বলে আমি তো মাকেও দুটো স্লিভলেস নাইটি কিনে দিলাম। মা তো পরেন সেগুলো। কই তখন তো তোমার দৃষ্টিকটু লাগে না?
- আহ, সব সময় তর্ক কোরো না তো। মায়ের বয়েস আর তোমার বয়েস!! তাছাড়া তোমার ফিগারে....
কথাটা অর্ধসমাপ্ত থাকলেও ইঙ্গিতটা বুঝতে অসুবিধা হল না শ্রেয়ার। একটুক্ষণ চুপ করে থেকে বলল
- আচ্ছা, তাহলে তুমি বলতে চাইছ আমার বয়েস কম তাই এই গরমেও আপাদমস্তক ঢেকে ঘুরে বেড়াতে হবে।
- হ্যাঁ, সেটাই বলতে চাইছি। এবার আশাকরি মগজে ঢুকেছে তোমার?
- ঠিক আছে, কালই গিয়ে আমার জন্য সেরকম কিছু পোশাক কিনে আনব।
পরদিন অফিস থেকে ফিরে ফ্রেশ হয়ে আলমারি হাতড়াতে থাকে সমীর। একা মনেই গজগজ করে ওঠে
-"সারাদিন কি যে করে কে জানে। দরকারের একটা জিনিস যদি হাতের কাছে পাওয়া যায়...!"
- শ্রেয়া, শ্রেয়াআআ...
- কি হল ষাঁড়ের মত চিল্লাচ্ছো কেন? অলস পায়ে বেডরুমে এসেছে শ্রেয়া।
- আমার শর্টসগুলো কোথায়? সব একসাথে কেচে দিয়েছ নাকি?
- কাচিনি তো।
- তাহলে গেল কোথায়?
- বাতিল করে দিয়েছি।
- বাতিল? বাতিল করেছ মানেটা কি?
- আরে আজ আমার জন্য দুটো ঘরে পরার কামিজ কিনে আনলাম। সাথে তোমার জন্যেও কিছু কেনাকাটি করলাম।
- আমার জন্য!!! বাব্বাহ.. হঠাৎ আমার জন্য কি কিনলে?
আর কিছু না বলে একটা প্যাকেট সমীরের দিকে এগিয়ে দেয় শ্রেয়া। লজ্জা লজ্জা মুখে প্যাকেটটা খোলে সমীর। খুলতেই জোর ঝটকা লেগেছে
- কি এগুলো?
- কেন লুঙ্গি আর পাজামা।
- মানে? প্রায় লাফিয়ে ওঠে সমীর।
- মানে এটাই যে আমারও তোমাকে ওই শর্টসগুলোতে দেখতে বড্ড বিশ্রী লাগে। লম্বা লম্বা ঠ্যাং তো তোমার। তাই এবার থেকে এগুলোই পরো কেমন। বেশ ভদ্র-সভ্য দেখাবে।