বদলা – ঝর্না বিশ্বাস
বদলা – ঝর্না বিশ্বাস
শাহনাজ ও আমার মধ্যে তৃতীয় জন হয়ে ঢুকে পড়েছিল রনি। এক বিকেলে ঝালমুড়ি হাতে এসে বলল, আই স্যোয়ার টু ইউ, আই কেয়ার ফর ইউ - সেদিন শাহনাজকে অন্য রূপে দেখলাম।
এরপর শহর অন্য, ঠিকানা অন্য। বছরও গেল কটা। আমরা চারজন হলেও শাহনাজ এখনও একাই। বাড়ি থেকে বিয়ে অবশ্য একটা দিয়েছিল কিন্তু মানিয়ে নেওয়া যায়নি। ছেলেটা লুজার বুঝলি, সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে জোরালো পয়েন্ট ছিল এটা।
ওর কৌতূহল যে এখনও রনিতে বুঝে ইনিয়েবিনিয়ে ফোন রাখতাম। হাজার হোক কিছু শেয়ারিং মোটেও কেয়ারিং নয়।
হঠাৎ একদিন জানালো, আসছি। কিন্তু ঠিকানা?
রনি সকালের চায়ে চুমুক দিয়ে হাসল শুধু। শাহনাজ রীতিমতো হোমওয়ার্ক করে এসেছে। এরপর এক রোববার এই ঘটনা - পাশের ঘর থেকে চিৎকার, রনি ওকে কাছে এনে বসিয়েছে। পা মচকে গেছিল সেদিন আর এখন মনেরও আবদার বেড়েছে।
বিকেলে ওর ঝালমুড়ি খাবার ইচ্ছেতে আজ পেঁয়াজের কুচি করতে গিয়েই যত ঝামেলা হলো। চোখে জল আর থামতেই চাইছে না...