Sandip Ghosh

Comedy Others

3  

Sandip Ghosh

Comedy Others

বামার কবলে হরিহর আত্মা

বামার কবলে হরিহর আত্মা

7 mins
287



খাতায় কলমে গ্রামীণ হলেও তারাপুর জায়গাটা বেশ জমজমাট ঘনবসতি পূর্ণ এলাকা | কি নেই- ঝাঁচকচকে মার্কেট কমপ্লেক্স, পরিচ্ছন্ন রাস্তাঘাট, প্রশাসনিক প্রায় সমস্ত সুযোগ-সুবিধা থেকে শুরু করে নিত্যদিনের চাহিদার সুবিধা | এটি আসলে থানা ও ব্লক প্রশাসনিক কেন্দ্ৰ | তাই গ্রাম হলেও অনেক উন্নত ও বর্ধিষ্ণু গ্রাম বলা যেতে পারে | এই গ্রামের পূর্বদিকে, উত্তর থেকে দক্ষিণে বয়ে গেছে প্রায় কুড়ি-পঁচিশ ফুট চওড়া একটি খাল | জলের পরিমাণ কম থাকলেও এই খালকে জলশুন্য অবস্থায় কেউ কোনোদিন দেখেছে শোনা যায় নি | বিভিন্ন গাছের সমারোহে সজ্জিত প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য্যে পরিপূর্ণ এই খালপাড় | তাই এখানেই ফিফটি-ফিফটি অংশ হিসেবে দশকাঠার একটি প্লট কিনে ফেলেছিলেন হরিহর পালিত ও আত্মারাম সরকার , বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত দুই শিক্ষক | পাশাপাশি দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধুও বটে । খালের ওপারে তালগাছের সারি, তালগাছে ঝুলন্ত শিল্পীপাখির বাসা বোনা , আর বাবুইয়ের কিচিরমিচির ডাক , হাওয়ার আলতো ঠেলায় ছন্দে ছন্দে দুলতে থাকা বাসাগুলো যেন আহ্বান জানায় ভোরের গান গেয়ে ওঠা শিল্পীকে | এসবই সত্তর ছুঁই-ছুঁই দুই শিক্ষককে মুগ্ধ করেছিল | ওপারে যতদুর চোখ যায় সবুজে সবুজ শস্যক্ষেত আকৃষ্ট করেছিল ভীষণ ভীষণভাবে | খালের কুলুকুলু শব্দে বয়ে যাওয়া জলের সুরধ্বনিতে ভেসে উঠত কিশোর বয়সের স্মৃতি | এভাবেই মোহিত করে রেখেছিল প্রায় পঁয়ত্রিশ বছর | তারপর কালের স্রোতে হঠাত্ ছন্দপতন |


      এই দশকাঠা জমির এক দিকে হরিহরবাবু ও উল্টোদিকে আত্মারামবাবু বাড়ি বানিয়ে নতুন বাড়িতে গৃহপ্রবেশ করেছিলেন | অলিখিত বোঝাপড়ার মাধ্যমে সমখরচে পুরো প্লটের চারপাশে পাঁচিলও তুলে দিয়েছিলেন | পশ্চিমের পাঁচিলে মাঝবরাবর ছিল একটাই বড় গেট,যেটা দুই পরিবারই আজও ব্যবহার করেন | হরিহরবাবু ও আত্মারামবাবুর সব থেকে উল্লেখযোগ্য মিল হোল দুইজনেরই এক ছেলে এক মেয়ে | অবশ্য বর্তমানে তারা ম্যারেড লাইফে এবং স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিতও বটে | ছেলেরা কর্মসূত্রে প্রবাসী | আসা-যাওয়া বছরে মাত্র দু'বার | তাই এই দুই বাড়ীর দেখাশোনার ভার বুড়োবুড়িদের উপর | বিশেষতঃ গিন্নিরা'------দুই গিন্নির একসাথে বাজার করতে যাওয়াটা বরাবরেরই অভ্যেস | শুধুমাত্র এই দুই বাড়ীর কর্ত্রীর আন্তরিক সম্পৰ্কই হল একমাত্ৰ সেতু যা দুই পরিবারের সম্পৰ্ককে এখনো মজবুত রেখেছে | বিগত বছরগুলোতে দুই পরিবারের সম্পৰ্কের ভিতরে কোনোরকম তিক্ততা আসেনি | আর আজ যেটা যুদ্ধের সুত্ৰপাত , তা হোল অতি উদারচেতা হরিহর বাবু গৃহপ্রবেশের কিছুদিন পর বন্ধুপ্রীতির সৌজন্যে হোর্টিকালচার থেকে একটি আমচারা এনে লাগিয়েছিলেন আত্মারামবাবুর সীমানায় | নিজের ফাঁকা জায়গা থাকা সত্ত্বেও আবেগিক কারণে আগামীর দুর্যোগের মেঘ তৈরি করেছিলেন | টেরও পাননি এই অযাচিত দুর্যোগ তাকে কতটা বে-আব্রু করতে পারে ! দুই পরিবারের গিন্নিদের সম্পৰ্ক মধুর হলেও দুই শিক্ষকের সম্পৰ্ক ইদানীং আদায়-কাঁচকলায় | সম্প্রতি শুরু হয়েছে আমগাছ কার এই নিয়ে বচসা | একজন বলেন আমার জায়গায় আমার গাছ, অন্যজন বলেন আমি লাগিয়েছি ইত্যাদি ইত্যাদি | তারওপর করোনার দাপট,লকডাউন, সোশাল ডিসট্যান্সিং আর বাড়ির বাইরে অর্থাত্ বাজারে আড্ডার ঠেকে না যেতে পাওয়া | যে মানুষ কোনোদিন বাজারই করলেন না, সেই মানুষ কিনা ব্যাগ হাতে গুটি গুটি বাজার করতে ছুটছেন, ভাবাযায় !!!!……| অবশ্য গিন্নির কড়া ধমকে সে আশা-পূরণ হয়নি | দুই শিক্ষকের মেজাজ পুরোপুরি সপ্তমে | মেজাজের তাপ যে কখন একশো ডিগ্ৰী অতিক্ৰম করেছে টেরই পাননি | টের যখন পেলেন ততক্ষণে কাজের মেয়ে দুলারির ছেলের মুঠোফোনে ক্যামেরা বন্দি তাদের খুল্লমখুল্লা উদোম লড়াইয়ের দৃশ্য | ক্রোধে এতটাই বেঁহুশ যে বিবস্ত্র অবস্থায় দুজনেই দুলারির ছেলের পেছনে পেছনে দৌড়োচ্ছেন | কেন ? না-- দুলারির ছেলে তাদের পরনের খুলে যাওয়া লুঙ্গি আকাশে ওড়াতে ওড়াতে গোল হয়ে চক্কর কাটছে |



   হরিহর বাবু সেই ঘটনার পর থেকে একটু মুষড়ে পড়েছেন | সকালবেলায় এক হাতে খবরের কাগজ অন্য হাতে ফাইবারের চেয়ার হাতে নিয়ে বৃহদাকার ছাতার মতো দাঁড়িয়ে থাকা আমগাছটির নিচে এলেন | তারপর কয়েক সেকেন্ড সামনের দিকে সোজা তাকিয়ে গাছ তলায় চেয়ার পেতে বসে খবরের কাগজে মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করলেন | মনটা একনাগাড়ে খচ্ খচ্ করে চলেছে ……… তার ওপর বিশ্বব্যাপী 'করোনা'র চোখরাঙানি | ও! এক দুর্বিষহ অবস্থা | মাথার ভেতরে অসহনীয় অস্থিরতার পোকাগুলো যেন খুবলে খুবলে খাচ্ছে ! প্রত্যাশিত ছিলই------- কাগজের উপর থেকে যেই মাথা তুলেছেন, চশমার ফাঁক দিয়ে দেখলেন প্রায় চল্লিশ ফুট দুর থেকে নাক বরারবর তার দিকে হনহনিয়ে এগিয়ে আসছেন 'একদা দীর্ঘদিনের শিক্ষকবন্ধু বর্তমানে শত্ৰু' আত্মারামবাবু | হাতে অবশ্য তারই মতো কাগজ আর চেয়ার | হরিহরবাবুর চোয়াল ক্রমশঃ কঠিন থেকে কঠিনতর হতে লাগল | দাঁতে দাঁত ঘষে ক্রমাগত বিড়বিড় করতে লাগলেন | প্রকৃতি নীরব! যেন ঝড়ের ঠিক আগের মুহূর্ত |

শেষমেষ, দশফুট দূরত্বে আমগাছের তলায় এসে চেয়ার পেতে হরিহরবাবুর মুখোমুখি বসে পড়লেন আত্মারামবাবু | হাতে কাগজখানা যে নেহাতই অজুহাত তা বিলক্ষণ জানেন হরিহরবাবু | কথাটা যে মিথ্যে নয় বোঝা গেল মিনিট দুয়েক পরেই ------

হঠাত্ আত্মারাম বাবু 'বেল্লিক-ছুঁচো-ইটকেল" বলে কাগজের দিকে তাকিয়ে জোরে জোরে চেঁচাতে লাগলেন | হরিহরবাবু জানতেন এমনটাই হবে | তিনি উত্তপ্ত ছিলেন, এবার তাতে যেন একটু ঘি পড়তেই উঠে দাঁড়িয়ে চেয়ারটাকে আছড়ে আত্মারাম বাবুর পায়ের কাছে ফেললেন | হাতের মুঠি বাগিয়ে যেই এক পা এগিয়েছেন ;------------

-------- ও দাদু , ও দাদু

বছর কুড়ির ছেলেটার ডাকে দুজনেই গেটের দিকে তাকালেন | ওর নাম বামা, ও দুলারির ছেলে, ওর মা এই দুই বাড়ীতে ঝিয়ের কাজ করে | সেই সুবাদেই এখানে তার প্রায় নিত্য আনাগোনা | ইদানীং তার আসাটা একটু যেন বেড়েছে | একটু জোরে ছেলেটা গেট থেকেই বলতে থাকে;………

--------- আরে বাঃ, আমার কি আনন্দ ! চালিয়ে যাওয়া যায় দাদু, চালিয়ে যাও | তোমাদের ভালোবাসার সাক্কী যেন আমি সারাজীবন থাকতে পারি | আহা! কি সুন্দর ভালোবাসা তোমাদের ------ আমার কি ভাগ্য ! ঠিক সময়ে এসে পড়েচি | ভালোই হয়েচে , যাক, এবারে আমাকে তাড়াতাড়ি বিদায় কর দিকি" |

আত্মারাম বাবু খিচিয়ে ওঠে বলেন;

---------হারামজাদা-মর্কট আবার এসেছিস ? আমার টাকার চাষ আছে যে যখন আসবি তোর ট্যাকে গুঁজে দেব | যা ভাগ এখান থেকে" |

এরপর হরিহরবাবুর দিকে তাকিয়ে গর্জন করে বলে ওঠেন;

--------সব দোষের মূলে এই নচ্ছারটা |

ওর কাছ থেকে নিয়ে বিদেয় হ" | পলায়নের ভাবগতিক বুঝে বামা কিছু বলার আগেই হরিহর বাবু রুদ্রমুর্তি ধরে চিত্কার করেন;

---------আমি নচ্ছার ! শালা তুই কি ! চশমখোর , ফেরেব্বাজ কোথাকার |

চিত্কার করতে করতে লুঙ্গির বাঁধন ঠিক করতে থাকেন |

দৃশ্যটি দেখে বামা কয়েক মুহূর্ত চুপ থেকে বলে;

----------সাবাস্ পালিত দাদু সাবাস্ , অভিজ্ঞতা কাজে লাগল বলো ? লুঙ্গিটা ভালো করে বাঁধো, যাতে না তোমাকে ছেড়ে পালায়' | খানিকটা শ্লেষ ও বিমর্ষ গলায় বামা আরো বলে;

---------তোমাদের এই রকম সব্যতা দেকে আমার না মাটিতে মাথা ঠুকতে ইচ্ছে করচে | কি করে তোমরা এতদিন মাষ্টারি করলে, ছেলে পড়ালে, এতদিন কি শিক্কা দিয়েচো তাদের? তোমাদের তিনকালে গিয়ে এক কালে ঠেকেচে, সত্যি জন্মেও ভাবিনি শালা আমাকে এই দিশ্য দেকতে হবে" |

বামা এবার একটু মুড পালটে চড়া মেজাজে বলে;

--------দাও দাও, আমাকে রিচাজ করে দাও | আমার তাড়া আছে , আমি আজকের মতো যাই" |

হরিহর বাবু ও আত্মারাম বাবু কয়েক মুহূর্ত ভাবলেশহীন ও স্তম্ভিত হয়ে পড়েছিলেন--- হুঁশ ফেরে বামার চড়া মেজাজে | হরিহরবাবু উত্তেজিত হয়ে বলেন;

---------- তোকে তো সেদিন টাকা দিয়েছি | আচ্ছা, তুই কি ভেবেছিস বল তো বামা ? আসবি, ভয় দেখিয়ে টাকা নিবি , তারপর চলে যাবি!……… যা-যা-যা, তোর যা ইচ্ছে হয় করে নে | টাকা দেব না" |

------------ দেখো পালিত দাদু আমি চলে যাচ্চি, তবে পালিত দিদা-সরকার দিদা…র কেউই যে নেই বাড়িতে , এটা আমি বেশ বুজতে পারচি | টাকা দেবেনা তো দেবেনা , ঠিক আচে আমি চলে যাচ্চি | তবে হ্যাঁ ,দিদারা ফিরলে তোমাদের উদোম লড়ায়ের ফুটেজ তাদের হাতে তুলে দোব" |

ভয়ে সেঁটিয়ে আছেন অথচ আত্মারাম বাবু স্বগোতক্তি করে বলে ওঠেন ;

---------দেখ্ বামা, আ-আ আমি কিন্তু ভয় পাচ্ছি না, আমাকে নার্ভাসও লাগছে না | শোন্ বামা তুই ফুটেজ আমাকে দিয়ে দে" |

হরিহর বাবুর টেনশনের পারদ ক্রমশঃ উর্ধগামী | তবুও জোরপূর্বক কর্কশ কন্ঠে বলেন;

---------আই বেয়াদপ ছেলে , তোকে আমাদের মাঝে কে আসতে বলেছে ? ছবি কেন তুলেছিস ? অসভ্য ছেলে কোথাকার" !

---------- বাঃরে ! তোমাদের লুঙ্গি একদিকে পড়ে গড়াগড়ি খাবে, তোমরা ল্যাংটো হয়ে লড়াই করবে ,আর আমার ক্যামেরা চুপ করে বসে থাকবে! যাঃ তা আবার হয় নাকি" ! একনাগাড়ে কথাগুলো বলে ফেলে বামা | কয়েক মুহূর্ত স্তব্ধতা ভেঙে বামা আরো বলে ;

---------ভিডিও দিশ্য দেখে দুই দিদাই ঠিক করবে কে সব্য আর কে অসব্য" | বলেই চলে যাবার জন্য পা বাড়ায় |

হরিহর ও আত্মারাম- বাবু যেন মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন , নিস্তেজ হয়ে বসে পড়েছেন চেয়ারে | বামার বাক্যবাণে কোনঠাসা | প্রকৃতিও যেন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে , পাখির মুখরিত কলতান যেন বিষাদ | দুইজনেই ভালোই বোঝেন বউয়েরা ফুটেজ দেখলেই যে কি মর্মান্তিক পরিণতি হতে পারে------ , মান- ইজ্জত্ বেআব্রু, ইস্…উঃ বাবা গো -মাগো মুক্তি কিসে মা ? উদ্ধার কর বাবা ? যদিও বামা সোশাল মিডিয়ায় আপলোডের কথা একবারও উচ্চারণ করেনি | তবে যাই হোক এখন বামা থেকে একমাত্ৰ মুক্তির উপায় ওকে রিচার্জ করা , দ্বিতীয় কোনো পথই নেই , বেশ বুঝেছে বুড়ো খোকারা | তাই নিমেষেই এক সাথে অনুননয়ের সুরে ডাকে;

----------- শোন্ বামা"- বলেই দুজনেই চুপ, বামা ঘুরে দাঁড়ায় | হরিহরবাবু বলতে শুরু করে;

----------আগের বার আমরা এক হাজার করে দিয়েছি আর এবার আমি পাঁচশো দিচ্ছি আর ওর কাছে যতখুশি পারিস নিয়ে যা | দিয়ে ক্ষান্ত হ ভাই" |

----------- ইয়ার্কি পেয়েচো ! মোটে পাঁচশো ? মাল কেনা-বেচা চলচে তোমাদের সঙ্গে হ্যাঁ" ?

আলতো ধমকের সুরে বামা বলে;

------------শোন, পয়সা যদি আমাকে নিতেই হয় তাহলে আমি ফুটেজ বাবদ পাঁচ হাজার আর তোমাদের আজকের পীরিত বাবদ এক হাজার নোব বলে দিচ্চি' |

কথাটা শুনে হরিহরবাবু দপ্ করে জ্বলে ওঠেন ;

-------- আজকের পিরীত ! সেটা আবার কি ? ফুটেজের কথা মনে আসতেই ঢোক গিলে পাল্টি খেয়ে শান্ত স্বরে বলেন ;

-------- না--মানে , পীরিত টিরিত কি যে বলিস তুই ?

---------ঐ যে তোমাদের চেয়ার ছুড়ে ফেলা, ঘুসি বাগিয়ে আদর করতে যাওয়া' …… বামাকে থামিয়ে নাক উঁচিয়ে আত্মারামবাবু চেঁচিয়ে বলেন ;

---------আমি কিছু করিনি , আমি কিছু বলিনি |

হরিহরবাবু মুখ ভেঙ্গিয়ে বলেন;

--------- আঁ………কিছু করিনি , কিছু বলিনি, জানিস বামা এই অকাল কুষ্মান্ড- ইডিয়েট বুড়োটা আগে আমাকে বেল্লিক-ছুঁচো-ইটকেল বলে গালাগাল দিয়েছে | অপমান করেছে" |

----------ও তাই ! বামা মুখ টিপে হাসে", বলে;

----------চিন্তা করো না পালিত দাদু, আজকের পুরোটাই আমার এটাতে বন্দি আছে" | মুঠো ফোন দেখিয়ে বামা বলে |

অগত্যা… দুইবুড়ো ফ্যাল-ফ্যাল করে পরস্পর পরস্পরকে দেখতে থাকেন, মাথা নিচু করে ঘরের ভিতরে চলে যান | বামার চোখ খুশিতে চকচক করে ওঠে | মাঝে মাঝে বিগড়ে যাওয়া পুরোন ফোনটা হয়তো তাকে আর কষ্ট দেবেনা | বন্ধুদের ফোনের উপরে উঁকিঝুকি মারতে হবে না ------|

কিছুক্ষণ পর দুই মাষ্টারমশাই ফিরে এসে বামার দাবী মতো টাকা তাকে বুঝিয়ে দিয়ে বিদায় করেন |

              

     




Rate this content
Log in

Similar bengali story from Comedy