আয়না/পর্ব ৪
আয়না/পর্ব ৪
আয়না
পর্ব ৪
সকলে ভিতরে ঢুকে দেখলো বাংলোর ভিতরটা প্রাসাদের মতো অপূর্ব সুন্দর।
পিনাকী বাবু: "গার্ড! যাও মামুদের পুরো বাংলোটা ঘুরিয়ে দেখাও।"
পুরো বাংলোটা দেখে রিমি, রাতুল আর রোহিণীর চোখ ধাঁধিয়ে গেল। তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে লাগলো," এমন সুন্দর প্রাসাদ আমরা স্বপ্নেও কখনো দেখিনি।" তারা প্রাসাদ দেখে ফিরে এলে পিনাকি বাবু তাদের সকলকে উদ্দেশ্য করে বললেন," কি হলো মামুরা! প্রাসাদ কেমন?"
সকলে উত্তর দিল," খুব সুন্দর।"
রোহিনী:" তাহলে কি আজ আমরা এখানেই থাকবো? ভূত বাংলো দেখতে যাব না?"
পিনাকি বাবু: " ভূত দেখতে গেলে গভীর রাতে যেতে হবে। আগে আমরা এখানে রাতের খাবারটা তো খেয়ে নি। খালি পেটে ভুত দেখতে মজা হবে না।"
পিনাকী বাবু গার্ডদের ইশারা করতে তাঁরা সবাইকে খাবার খেতে বসালো।
রাতুল: " মামা! মেনুতে কি আছে?"
পিনাকি বাবু: " মেনুতে স্পেশাল জিনিস আছে। যেমন লুচি, আলুর দম আর পোলাও।"
রাতুল: " মামা একেবারে জমে যাবে।"
সকলে রাতের খাবার শেষ করে রাত দুটো অবধি ঘুমিয়ে নিল। দুটো বাজতেই সকলেই তৈরি হয়ে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়ল। জঙ্গলের মধ্যে এক মাইল হেঁটে যাওয়ার পর আবার ভুতুড়ে এলাকা শুরু হল। তাদের কানে নানা শব্দ ভেসে আসতে লাগলো।
পিনাকি বাবু: " কেউ ভূতেদের কথায় কান দেবে না। ওরা ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে।"
কিছুটা পথ যাওয়ার পর জঙ্গলের পথ আবার সরু হয়ে এলো। তারপরই তারা পৌঁছে গেল প্রথম বাংলোতে। বাংলোটি দেখতে সত্যি ভয়ংকর মনে হয় অনেক পুরনো দিনের। সবাই দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই দরজাটা নিজে নিজেই খুলে গেল।
কিন্তু কোথাও কোন হাওয়া ছিল না। শুধু তাই নয়, ঘরে ঝাড়বাতিগুলো নিজে নিজে জ্বলে উঠলো। লোকমুখে শোনা যায় বাংলোটি ছিল জমিদার বিক্রম প্রতাপ সিংহের প্রথমার স্ত্রী রানী দুর্গাবতীর প্রিয় মহল। এখানে রাত্রিবেলা জমিদার বিক্রম প্রতাপ সিংহ আর তাঁর প্রিয় পত্নী দুর্গাবতীর আত্মাকে একসাথে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে।

