আয়না (পর্ব - 17 )
আয়না (পর্ব - 17 )
কিন্তু তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার ছিল না। কারণ কিছুক্ষণ পরই রানী দুর্গাবতীর জ্ঞান ফিরলো। জ্ঞান ফেরার পর তাঁর চারপাশে এত মানুষজন দেখে তিনি অবাক হয়ে গেলেন।
রানী দুর্গাবতী: " আমার কি হয়েছিল? আপনারা আমাকে ঘিরে আছেন কেন?"
হঠাৎ তিনি লক্ষ্য করলেন তাঁর স্বামী জমিদার বিক্রম প্রতাপের চোখে জল।
রানী দুর্গাবতী: " আপনার কি হয়েছে? আপনার চোখে জল কেন?"
জমিদার বিক্রম প্রতাপ তাঁকে সব কথা বুঝিয়ে বললেন।
রানী দুর্গাবতী: " না না স্বামী! আসলে আমার মাথাটা একটু ঘুরে গিয়েছিল। তাই হয়তো আমি অজ্ঞান হয়ে গেছিলাম।"
জমিদার বিক্রম প্রতাপ বুঝতে পারলেন পুরো পরিকল্পনাটা একটা চক্রান্ত। আর পরিকল্পনাটা যে কার তাও তিনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পারলেন। তাই তিনি কাউকে বুঝতে না দিয়ে গভীর রাতে সবার অজান্তে রানী দুর্গাবতীকে নিয়ে নিতাইপুরে ফিরে এলেন।
অন্যদিকে জমিদার বিক্রম প্রতাপের মামা হরিশংকর রায় সবকিছু জানতে পেরে আরো ক্রুদ্ধ হলেন। আর তিনি তাঁর পরের পরিকল্পনাটা করে ফেললেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি কমলিকাকে নিতাইপুরে পাঠালেন। কমলিকা নিতাইপুরে গেলে রানী দুর্গাবতী, তাঁর আপ্যায়নের সমস্ত ব্যবস্থা করলেন। ধীরে ধীরে দুর্গাবতী আর কমলিকার মধ্যে বন্ধুত্ব গাঢ় হলো।
ঠিক সেই সময় হরিশংকর রায় নিতাইপুরে এলেন। তিনি দুর্গাবতীকে কমলিকার ব্যাপারে বোঝালেন। যাতে রানী দুর্গাবতী কমলিকার সঙ্গে তাঁর স্বামী জমিদার বিক্রম প্রতাপের বিবাহ দেন। প্রথমে রানী দুর্গাবতী এই প্রস্তাবে রাজি না হলেও পরে কমলিকার ভবিষ্যতের কথা ভেবে রাজি হয়ে যান। তিনি জমিদার বিক্রম প্রতাপ কে এই প্রস্তাবের কথা জানালেন। বিক্রম প্রতাপ প্রথমে রাজি না হলেও দুর্গাবতীর জন্য এই প্রস্তাবে রাজি
হন।

