আয়না
আয়না
আয়না
পর্ব ৫
এই ভয়ংকর দৃশ্য দেখে রাতুল, রোহিনী আর রিমি অল্প হলেও ভয় পেয়ে গেল। পিনাকী বাবু বললেন," বাচ্চারা ভয় পেয়ো না।" তিনি গার্ডদের ইশারা করে বললেন," আমার মামুদের উপর যেন বিন্দুমাত্র ও আজ না লাগে। তোমরা ওদেরকে ঘিরে রাখো।" পিনাকি বাবুর কথা মত গার্ডরা রাতুল, রিমি আর রোহিনীকে ঘিরে রাখলো।
তারা আস্তে আস্তে ঘরের ভিতর ঢুকলো। ঘরের ভেতরে ঢুকতেই তারা লক্ষ্য করল ঝাড়বাতির আলো গুলো জ্বলছে আর নিভছে। আর যে দরজা দিয়ে তারা ভেতরে ঢুকেছিল তা হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেল। যা দেখে রাতুলরা খুব ভয় পেয়ে গেল। পিনাকি বাবু তাদেরকে বারবার সাহস জোগাতে লাগলেন। ঘরের মধ্যে থেকে দুজনের কথা ভেসে আসলো।
পিনাকী বাবু ফিসফিস করে বললেন, "মনে হয় কোন অশরীরী আত্মারা কথা বলছে। ওদের সামনে পড়লে আমাদের প্রাণে মরতে হবে।" তাই তিনি সকলকে একটা জায়গায় লুকিয়ে পড়তে বললেন। তারা সকলেই লুকাবার জন্য এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো। হঠাৎ তারা একটি বড় পর্দা দেখতে পেল। সেই পর্দার আড়ালে সকলে লুকাতে গেলে পর্দাটি হঠাৎ নিজে থেকে অদৃশ্য হয়ে গেল। এই দৃশ্য দেখে রিমি খুব ভয় পেয়ে গেল।
কিছুক্ষণ পর তারা লক্ষ্য করল পর্দাটি আবার আগের জায়গাতেই ঝুলছে। পিনাকী বাবু বললেন," আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।" তারা পরের দরজা খুলে দ্বিতীয় ঘরে ঢুকল। দ্বিতীয় ঘরে ঢুকতেই আবার হঠাৎ ঘরের দরজাটি নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে গেল। ঠিক তখনই রোহিনী পিনাকী বাবুকে ইশারা করে বলল, " মামা! আর এগিও না। দেখো তোমার সামনে আত্মা।" পিনাকী বাবু সামনে তাকিয়ে দেখলেন রানী দুর্গাবতীর আত্মা তাঁর সামনেই দাঁড়িয়ে আছে।
তার পরনে লাল বেনারসি শাড়ি, চুল ছাড়া, গা মূর্তি গয়না আর মাথায় বড় করে সিঁদুরের টিপ। হঠাৎ সে পিনাকী
বাবুর দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো। সে বলল, "আমার মহলে ঢোকার সাহস তোদেরকে কে দিয়েছে? আজ তোদেরকে মরতে হবে।" পিনাকি বাবুর গার্ডরা পিনাকি বাবুকে বাঁচানোর জন্য গুলি চালাতে শুরু করল। কিন্তু গুলি রানী দুর্গাবতীর শরীর ভেদ করে বেরিয়ে গেল।
