আয়না
আয়না
আয়না
(পর্ব 18)
অবশেষে কমলিকা চট্টোপাধ্যায়ের সাথে জমিদার বিক্রম প্রতাপের বিবাহের দিন ঠিক হয়। নির্দিষ্ট তিথিতে তাঁদের বিবাহও সম্পন্ন হয়। বিবাহের পর রানী দুর্গাবতী লক্ষ্য করলেন কমলিকা সবসময় জমিদার বিক্রম প্রতাপকে নিজের কাছে রাখতে চান। রানী দুর্গাবতী তাঁর সাথে কথা বলতে গেলে কমলিকা দুর্গাবতীর সাথে বিক্রম প্রতাপকে কথা বলতে দেন না। অবশেষে অষ্টমঙ্গলার দিন বিক্রম প্রতাপ তাঁর দুই স্ত্রীকে নিয়ে তাঁর মামার বাড়ি যাবার পরিকল্পনা করলে কমলিকা তাঁকে বাধা দেন।
রানী কমলিকা: " না স্বামী! অষ্টমঙ্গলায় তো আমাদের দুজনের যাওয়ার কথা। দিদি আমাদের সাথে গিয়ে কি করবে?"
জমিদার বিক্রম প্রতাপ প্রতিবাদ করতে গেলে রানী দুর্গাবতী তাঁকে বাধা দেন।
রানী দুর্গাবতী : " না না স্বামী। কমল তো ঠিকই বলেছে। আমি সেখানে গিয়ে কি করবো?"
জমিদার বিক্রম প্রতাপ: " কিন্তু দুর্গাবতী! তুমি তো একা…… "
রানী দুর্গাবতী : " না না স্বামী। আপনাকে ভাবতে হবে না। আমি ঠিক থাকতে পারবো। আমার কোনো অসুবিধে হবে না। "
কোন উপায় না পেয়ে জমিদার বিক্রম প্রতাপ আর কমলিকা হরিশঙ্কর রায়ের বাড়িতে এলেন। হরিশংকর রায় বিক্রম প্রতাপ আর কমলিকাকে দেখে খুবই খুশি হলেন। অন্যদিকে রানী দুর্গাবতীর একা থাকতে খুবই অসুবিধা হল। তাই তিনি সারারাত জেগেই কাটিয়ে দিলেন। হঠাৎ সকালবেলা তিনি খুবই অসুস্থ হয়ে পড়লেন। জমিদার বাড়ি থেকে খবর এলে হরিশংকর রায় সেই খবর জমিদার বিক্রম প্রতাপ অবধি পৌঁছতে দিলেন না। রানী দুর্গাবতীকে চিকিৎসার জন্য রাজ বৈদ্যকে ডাকা হল।
রাজ বৈদ্য: " এক্ষুনি জমিদার মশাইয়ের কাছে খবর পাঠাতে হবে। রানী মা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ওনার অবস্থা ভালো নয়।"
রাজ বৈদ্য রানী দুর্গাবতীর চিকিৎসা শুরু করলেন। অন্যদিকে জমিদার বিক্রম প্রতাপের বিশেষ গুপ্তচর বিক্রম প্রতাপের কাছে খবরটি যথাসময়ে পৌঁছে দিলেন। রানী দুর্গাবতীর অসুস্থ হওয়ার খবর শুনে তিনি খুবই উদগ্রী হয়ে পড়েন। তিনি কাউকে না জানিয়েই নিতাইপুরে ফিরে এলেন।