আয়না/পর্ব ২
আয়না/পর্ব ২
যাই হোক তারা সকলে তাদের মা বাবার আশীর্বাদ নিয়ে ষষ্ঠীর দিন ভোরবেলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ল সঙ্গে টেলিস্কোপ, ক্যামেরা ইত্যাদি নিয়ে। নিহারপুর থেকে তারা বাস ধরে। দীর্ঘ আট ঘন্টা পর বাস নিতাই পুর এসে পৌঁছায়। তারা সকলে নিতাইপুর মোড় থেকে টোটো করে রোহিণীর মামার বাড়িতে ওঠে।
সেখানে তারা স্নান, খাওয়া সেরে সন্ধ্যে পর্যন্ত বিশ্রাম নেয়। তারপর একবার প্যান্ডেল থেকে ঘুরে আসে। আর ঠাকুর প্রণাম করে পিনাকী বাবুর সাথে জঙ্গলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।রোহিনীর মামা পিনাকি বাবু সব ব্যবস্থা আগে থেকেই করে রেখেছিলেন। গাড়িতে যেতে যেতে তারা আবার সবটা ঝালিয়ে নিল।
পিনাকি বাবু তাঁর সাথে দুজন পালোয়ান ভদ্রা আর বিমলকে সঙ্গে নিয়েছিলেন বডিগার্ড হিসেবে। পিনাকী বাবু সেখানকার এম এল এ হওয়ায় তিনি সহজেই এইসব ব্যবস্থা করতে পেরেছিলেন। দশ মাইল রাস্তা বেরোনোর পর শুরু হয় কাঁচা রাস্তা আর জঙ্গল। জঙ্গলটা ধীরে ধীরে গভীর হতে লাগলো।
পিনাকী বাবু, রিমি, রাতুল আর রোহিনীকে মজা করে জিজ্ঞাসা করলেন," কীরে মামুরা! ভয় করছে নাকি?"তারা তিনজন একসাথে উত্তর দিল " কি যে বলোনা মামা! আমরা কেন ভয় পাব!"পিনাকা বাবু বললেন, "আরে না না। আমি তো মজা করছিলাম।" কিছুদূর গিয়ে রাস্তা শেষ হয়ে গেল।
ড্রাইভার গাড়ি থামালেন। পিনাকি বাবু বাচ্চাদের নামতে বললেন। তিনি ড্রাইভারকে সেখানেই অপেক্ষা করতে বললেন। রোহিণীদের সাথে রোহিণীকে নিয়ে 8 জন হল। রোহিণীরা তিনজন, পিনাকি বাবু ,ভদ্রা, বিমল আর বাকি দুজন হলেন লালু আর নিতাই । পিনাকি বাবু তাদেরকে জিনিসপত্র বহন করার জন্য সঙ্গে নিয়েছিলেন।
রাত তখন বারোটা। তারা জঙ্গলের পথ ধরে এগিয়ে চলল। চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। সকলের টর্চ জ্বালিয়ে নিল। জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে হঠাৎ রাতুলের পায়ের কাছে একটি শক্ত জিনিস আটকালো।