আয়না ( পর্ব 19)
আয়না ( পর্ব 19)
নিতাইপুর ফিরে এসে জমিদার বিক্রম প্রতাপ দেখলেন তা প্রিয় স্ত্রী রানী দুর্গাবতী, মৃত্যুসজ্জায়। দুর্গাবতীর এই অবস্থা তিনি সহ্য করতে পারলেন না।
জমিদার বিক্রম প্রতাপ: “ বৈদ্য! দুর্গাবতীর অবস্থা এখন কেমন?”
রাজ বৈদ্য: “ কর্তা! গিন্নি মাকে আমি আপাতত ওষুধ দিয়েছি। তবে এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না। ওনার অবস্থা স্থিতিশীল।”
জমিদার বিক্রম প্রতাপ: “ মহেশ! এরকম অবস্থা হলো কি করে?”
মহেশ হলো জমিদার বিক্রম প্রতাপের বিশেষ দূত।
মহেশ: “ কর্তা! গিন্নি মা কালকে সারারাত জেগে ছিলেন। হয়তো আতঙ্ক থেকেই তিনি…..”
জমিদার বিক্রম প্রতাপ: “ হে ভগবান! আমি দুর্গাবতীর কথা কেন মেনে নিলাম?”
রাজ বৈদ্য: “ কর্তা! আমি বিকেলে আবার আসব। গিন্নিমা এখন ঘুমোচ্ছেন। ওনাকে যেন কেউ বিরক্ত না করে।”
জমিদার বিক্রম প্রতাপ: “ ঠিক আছে।”
জমিদার বিক্রম প্রতাপ দুর্গাবতীর মাথার পাশে বসে রইলেন। অন্যদিকে কমলিকা তাঁর ঘরে তাঁর স্বামীকে দেখতে না পেয়ে হরিশংকর রায়কে খবরটা দিলেন।
হরিশংকর রায়: “ সে কি! বিক্রম প্রতাপ তোমাকে না নিয়েই নিতাইপুর ফিরে গেল?”
কমলিকা: “ সে কি! স্বামী আমাকে না নিয়ে নিতাইপুর ফিরে গেছেন? কিন্তু কেন মামা মশাই?”
হরিশংকর: “ আসলে কমলা দুর্গাবতীর অবস্থা…..তাই।”
কমলিকা: “ দিদি অসুস্থ! কিন্তু এই খবরটা অন্দরমহলে প্রবেশ করলে কি করে? আপনি আটকানোর চেষ্টা করেননি কেন?”
হরিশংকর: “ আমি আটকাবার অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু কিভাবে যে খবরটা বিক্রম প্রতাপের কাছে পৌঁছে গেল সেটাই বুঝতে পারলাম না।”
কমলিকা: “ আমার সমস্ত পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে গেল।”
হরিশংকর রায়: “ চল। আমরা নিতাইপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিই।”
কমলিকা: “ আপনি যান। আমি যাব না।”
হরিশংকর: “ না। কমল! তুমি না গেলে বিক্রম প্রতাপ আমাদের উপর আরো বেশি সন্দেহ করবে। আর এতে আমাদের দুজনেরই ক্ষতি।”
কমলিকা: “ ঠিক আছে। চলুন।”

