Krishna Banerjee

Classics

4  

Krishna Banerjee

Classics

আর কত নিচে?

আর কত নিচে?

6 mins
49


                        আর কত নিচে?

               18 ( প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য )

                 কলমে - কৃষ্ণ ব্যানার্জী

                         ( পর্ব -১০ )

           পেটের খিদের বিষয়ে আমার একটা ধারনা ছিলো, কিন্তু দেহের খিদে ? এতগুলো বছর নিজেকে সংযত করে কাটিয়ে দিয়েছিলাম কিন্তু ওই মহিলাকে দেখার পড় আমার সংযমের সকল মাত্রাই অতিক্রম করে ফেলল আমার হৃদয় । সেকি প্রচণ্ড আকর্ষণ আপনাদের বুঝিয়ে বলতে পারবোনা । আজ সকাল থেকেই কেমনজেনো সময় কাটছেনা কিছুতেই । মাঝে মধ্যেই ঘড়ির কাঁটার দিকে দেখছি, কতক্ষনে নয়টা বাজবে আর আমি রওনা হবো আমার গন্তব্যের দিকে । ঘড়িতে তখন সন্ধ্যা ছয়টা, আমার সেলফোনটা বেজে ওঠে , টেবিল থেকে ফোনটা তুলে দেখি ঐ ভদ্রলোক ফোন করেছেন । আমি ফোনটা রিসিভ করতেই ওপার থেকে উনি বললেন হ্যালো শুনতে পারছেন ? আমি বললাম হ্যাঁ বলুন , উনি জানালেন ডিনার করে আসবেন না , আজ আমরা এখানে একসাথে ডিনার করবো কেমন । আমি না করলাম না , জানালাম ঠিক আছে তাই হবে । উনি বললেন তাহলে আখন রাখি আপনি ঠিক সাড়ে নয়টার মধ্যে এখানে পৌঁছাবেন কেমন ? আমি জানালাম চেষ্টা করবো সঠিক সময়ে পৌঁছাবার । উনি ফোনটা রেখে দিলেন ।

                        আজ আর কিছুতেই সময় কাটছেনা , ঘরের মধ্যেই এদিক ওদিক করছি , কখনো সোফাতে বসে টিভিটা অন করছি , আবার কখনো কিচেনে গিয়ে এক কাপ কফি বানিয়ে নিয়ে আসছি । শরীরের , মনের এদের যে এত মারাত্বক খিদে থাকতে পারে আমার জানা ছিলোনা । যদি বলেন আকর্ষণের কথা হ্যাঁ আমি ওই মহিলার রুপি আকর্ষিত হয়েছিত বটেই নইলে এর আগেও আমার জীবনে বহু মহিলা আসবার চেষ্টা করেছে , কিন্তু এইধরনের উপলব্ধি আমার এই প্রথম । যাইহোক অনেক কষ্টে ঘড়িতে যেনো 5 টা বাজলো , ফ্ল্যাট থেকে নেবে রাস্তার ওপারের চায়ের দোকান থেকে এক কাপ চা নিলাম সাথে একটা বিস্কিট । দোকানে একটা পুরানো দিনের রোমান্টিক গান চলছে , দুদিকে দুটো বেঞ্চ , একদিকে পড়ার কিছু চ্যাংড়া ছেলে বসেবসে চা খাচ্ছে সাথে সিগারেট তার সাথে মুখ দিয়ে চলছে গালিগালাজের ফোয়ারা । আমি আছি দেখে দোকানদার একবার ওদের ধমক দিয়ে বলল মুখ সামলে কথা বল তোরা দেখছিস না ভদ্রলোক আছে , তোদের তো মানুষকে সন্মান করার পাঠ ঘুচেই গিয়েছে । মনে মনে ভাবলাম অর্থের লোভে একপ্রকার বেশ্বা বৃত্তিতে নাম লিখিয়েছি তাকে আবার সন্মান , নিজের প্রতি একটা বিদ্রুপের হাসি যেন মনের মধ্যে জন্ম নিয়ে আবার সেখানেই বিলীন হয়ে গেলো । আমি চায়ে একটা চুমুক দিয়ে আবার মনে মনে বললাম বিত্তি যাইহোক যে মেয়েটাকে দেখেই মোন পছন্দ করেছিল আজ তাকে এত কাছি পাবো , শুধু আজ নয় চুক্তি অনুসারে এক বছর, যদি চেষ্টা করি হয়তো তাকে সারাটা জীবনের জন্য পাশে পেতেই পারি ,যতোইহক এখন আমি খাতায় কলমে কোটিপতি । চায়ে শেষ চুমুক দিয়ে পয়সা মিটিয়ে বেরিয়ে গেলাম সেখান থেকে । পড়ার বকাটে ছেলে গুলো তখনও সেখানে বসে রয়েছে , তবে এখন ওদের ভাষা অনেকটা মার্জিত ।

                             ঘড়িতে আটটা বাজতেই আমি স্নান সেরে নিলাম । তারপর আমার পছন্দের একটা পোশাক আলমারি থেকে বেরকরে ফেললাম । মনের মধ্যে কমন যেনো একটা আনন্দের সুর বেজেই চলেছে । ঘরে হরনি না থাকলেও একটা ডিসিনটেবিল রয়েছে , সেখানে কয়েকটা পারফিউম রয়েছে আমার পছন্দের , একটা চিরুনি দু - একটা ক্রিম রয়েছে । চুলটা সুন্দর ভাবে আঁচড়ে নিয়ে সারা দেহে আমার সবচাইতে পছন্দের পারফিউম টা লাগিয়ে জামা - প্যান্ট পড়ে নিলাম । নিজেকে আয়নাতে দেখে মনে মনে বলতে লাগলাম আজ আমাকে একটু বেশিই হানসম দেখাচ্ছে ,নিজের প্রতি একটা আলাদা অহংকার বোধ জন্ম নিলো।

                                দেখতে দেখতে ঘড়িতে সাড়ে আটটা বেজে গেলো , আমার আর তর সইছেনা এই ভেবে, যাকে এই দুটোদিন দুর থেকে যাকে উপলব্ধি করেছে , যাকে দেখে শুধুমাত্র চক্ষু স্বার্থক করেছি , আজ রাতে সেই থাকবে আমার বুকের উপর , অথবা আমার মুখটা গুঁজে দেবো ওর সুডৌল বক্ষ যুগলের উপর । আমি ওর নরম মাখনের মত দেহের প্রতিটা অঙ্গ কে উপলব্ধি করতে পারবো, উপলব্ধি করবো তার দেহের উষ্ণতা , উপলব্ধি করবো তার নারির গভীরতা । উপলব্ধি করবো তার দেহের শিহরণ , উপলব্ধি করবো তার দেহের জৌন ক্ষুধা । হঠাৎ আমার সেলফোনটা বেজে ওঠার ফলে আমার সম্বীদ ফেরে ,ফোনটা তুলে দেখি কাস্টমার কেয়ার নাম্বার। ফোনটা রিসিভ না করে কেটে দিয়ে পায়ে জুতোটা গলিয়ে বেরিয়ে পরি নুতন কর্ম স্থলের পথে ।

                               আমি যখন গন্তব্যে পৌছালাম তখন ঘড়িতে বাজে নয়টা পোনের। আজ যদিও মূল ফটক পার হতে আমকে কোন বেগ পেতে হোলনা । দারোয়ান আমাকে চিনে ফেলেছে তাই , বিনা সওয়াল জবাবে আমাকে ফটক খুলে দিলো । আমি সোজা চলে গেলাম অন্দরমহলের দরজার সামনে, 

দরজার বাইরে একটা কোনিংবেল রয়েছে , প্রথমবার সেটা টেপার পর কানে একটা রোমান্টিক গানের সুর কানে এলো কিন্তু কোন উত্তর পেলামনা, গানটা থেমে গেলো কিন্তু ভিতর থেকে কোন উত্তর না পেয়ে আবার বেলটা বাজালাম , এবার আর বেশি সময় লাগলোনা , গানটা শেষ হবার আগেই দরজা খুলে গেলো । আজ আর ভদ্রলোক দরজা খুললেন না , দরজা খুললেন সেই মহিলা কিন্তু আজ আমি আরো মারাত্বক দৃশ্যের মুখমূখী হলাম , আমি আমার সামনে যে রূপে তাকে দেখলাম সেটা আমার কল্পনার অতীত । পড়নে শুধুমাত্র অন্তর্বাস , ভিতরের রুমে একটা নীল আলোতে তার দেহটা নীলাভ হয়ে উঠেছে । তার কোমল সুঠাম মসৃণ টান টান ত্বকের মধ্য দিয়ে যেন নীল আভা ঠিকরে বেরোচ্ছে , কয়েক মুহূর্তের জন্য আমিজেন সঙ্গা হারিয়ে ফেলেছিলাম , আমার চোখের তারা দাড়িয়ে গিয়েছিল একটি বিন্দুতে , ভদ্র মহিলার কণ্ঠের মধুর সুরে সনবিদ ফিরে পেলাম আমি , উনি বললেন রাতভোর এখানেই দাড়িয়ে থাকবেন নাকি ভিতরেও আসবেন । আমি একটু ধাক্কা খেয়েই বললাম হ্যাঁ চলুন ।আমি ঘরের ভিতরে প্রবেশ করতেই উনি দরজাটা ভিতর দিয়ে বন্ধ করে দিলেন । তার পর এগিয়ে এসে বললেন , আগে কখনো মেয়ে দেখেন নি । আমি একটু ইতস্তত বোধ করে বললাম না মানে হ্যাঁ দেখেছি কিন্তু এতটা কাছ থেকে কোন মেয়েকে এভাবে দেখিনি । তিনি এবার একটা মৃদু হাসি হেসে বললেন , এখন থেকে টানা একটা বছর এই দেহটা আপনার তাই এখানে লুকোচুরি খেলার কোন দরকার আছে বলে আমার মনে হয়না । আমি প্রসঙ্গ চেঞ্জ করে বললাম দাদাকে দেখছিনা যে ? দাদার এখানে কোন কাজ নেই তাই তিনি নিজের কাজে দিন সাতেকের জন্যে দিল্লি গিয়েছেন । দাদা বাদ দিয়ে আপনি একটু আলাদা ভাবে ভাবুন না , একটা ফাঁকা বাড়ি আর সেই বাড়িতে একটা সুন্দরী একা মেয়ে যে নিজেকে আপনার হাতে সপে দিতে প্রস্তুত , আপনার কাছে আনন্দ করবার জন্য সারাটা রাত পড়ে রয়েছে , যেখানে তোমাকে ডিস্ট্রাভ করবার কেউ নেই । সারা রাত ধরে তুমি এই দেহটাকে তোমার মত করে পাবে অথচ আমার কোন দায়িত্ব আপনাকে নিতে হবেনা । এক বছর পরে আপনি আবার মুক্ত হয়ে যাবেন । আমার কাছে আপনার স্মৃতি হিসাবে পড়ে থাকবে আপনার দেওয়া সবচাইতে মূল্যবান উপহার , আমাদের সন্তান , এমন সুযোগ কজনের কপালে জোটে , আর সেখানে আপনি দাদাকে খুঁজছেন ? আমি বললাম না মানে দাদা বলেছিলেন থাকবেন তাই । মূখমুখী দুটো সোফা , মাঝখানে একটা ছোট্ট টেবিল , উনি একটা সোফা দেখিয়ে আমাকে বললেন আপনি বসুন আমি এখুনি আসছি । আমি সোফাতে গিয়ে বসলাম , উনি বাড়ির ভিতর দিকের আর একটি ঘরের দিকে চলে গেলেন।

                                       ……………………..


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Classics