যুদ্ধ না মুক্তি
যুদ্ধ না মুক্তি
একটা দীর্ঘ যুদ্ধের শেষে
রণক্লান্ত হয়ে
ফিরেছি ঘরে।
এ যুদ্ধ বড়ো জটিল,
দেরীতে মেলে ফল।
জানি না, জিতবো না লুটিয়ে পড়বো মাটিতে
হেরে গিয়ে।
তবু আশা করেছিলাম
অনেক কিছু।
দীর্ঘ ব্যাস্ততার শেষে
দুদিন হাঁপ ছেড়ে নিঃশ্বাস নিতে।
কিন্তু হায় রে সময়!
ভাসিয়ে দিলো,
ভাসিয়ে দিলো প্রকৃতিকে উপভোগ করার উপায়।
স্নিগ্ধ বাতাসে গা এলিয়ে
দিগন্তে উড়ে যাওয়া চিলটার মতো
হাওয়ায় মুক্তির আনন্দে,
কিংবা
পাহাড়ি ঝর্নার মতো এক ছুট্টে
দূর দুরান্তে পাড়ি দিয়ে
অবসর কাটানোর ইচ্ছা –
সব যেন ঝোড়ো হাওয়ায়
কোথায় উড়িয়ে নিয়ে গেলো।
কারণ একটাই,
আবার এক প্রস্তুতি, আবার একটা লড়াই।
lign-center">এভাবেই আমরা যুদ্ধের পর যুদ্ধ করে চলি।
জয়ের নেশায়, জেতার নেশায়
মত্ত হন মহারাজ।
আমরা নিমিত্তরা বাঁচার তাগিদে
করি লড়াই।
একটা বড়ো যুদ্ধ থেকে আরো বড়ো যুদ্ধ।
আর লড়তে লড়তে
কখন যেন ওই স্নিগ্ধ বাতাস ভারী হয়,
হয়ে পড়ে শ্বাস নেওয়ার অযোগ্য।
ধূলিকণা সমৃদ্ধ।
তবু আমরা লড়ি, তবু আমরা বাঁচি।
দুটো যুদ্ধের মাঝে যতটাই হোক
আরামও করি,
না পেলে ছিনিয়ে নিই।
শক্তির সঞ্চয়ে পুষ্টতা পায় দেহ মন,
আরও বড়ো যুদ্ধ জেতার জন্য, গড়ে ওঠে
নতুন উদ্যম।
নিঃশ্বাস হয় হালকা, বাতাসে লাগে দোলা।
তাই আমরা প্রকৃতির বুকেই
আবারও ফিরে যাই।
যুদ্ধ হোক বা না হোক,
অবসর বেশি বা কম,
আত্মসমর্পন করি প্রকৃতিরই বুকে।
যুদ্ধ বা অবসর
হোক তা যে আকারে।