যেমন মা তেমন ছা
যেমন মা তেমন ছা
মানুষের জীবন আজকাল অনেকটাই যেন পুতুলের,
চিত্তে নয় যে বিত্তবাণ, বিত্ত হয়তো আছে অনেকের।
তবে কিছু কিছু মানুষ যেমন আগেকার দিনে ছিলেন,
এখন খুঁজলেও তেমন কেউ কেউ নিশ্চয়ই মিলবেন।
শিশুদের আর কি দোষ বলো ? পরিবেশ, পরিস্থিতি !
বাবা-মা সকলে মিলেই করে যে একটি চরিত্র নির্মাণ।
দেশকে যে একদম নিজের মা বলেই ভেবেছিলেন !
ছোটোবেলায় অভাবের দিনে নিজের হাতে মায়ের
আধপাকা ধান কেটে, সেদ্ধ করে, ঢেঁকিতে কুটে,
চাল বের করে ছানাপোনাদের মুখে ভাত দেবার
গল্পটাও নিশ্চয়ই শুনেছিলেন ও বিশ্বাস করেছিলেন।
"মায়ের কপালে আগুন দিতে দিম্মুনা" কথাটা এমন,
একটা সময় নাটকে, জাহেদ মন থেকেই বলেছিলেন।
তিরাশি বছর থেকে সাতানব্বুই বছর,
আয়েশা বিবি, খাটে শোননি আর।
অসুস্থ পুত্র জাহেদ পিঠা খেতে চেয়েছিল যে!
পিঠা বানিয়ে খাওয়ানো হয়নি যে তার।
তার আগেই জাহেদের প্রাণটাই চলে গেলো যে!
সারাজীবনে আয়েশা বিবি পিঠা খাননি আর।
সেই কাগজি লেবুর গাছটা যে আর নেই,
বিস্বাদ বাতাবী লেবুর গাছটাও নেই আর !
জাহেদের কফিনটা ওখানেই শোয়ানো হয়েছিলো,
অচেনা ভীড়ে মানুষ তখন দুঃখে করছিলো চিৎকার।
উঠোনের কোনে মজফ্ফর লিচুগাছের ফাঁক দিয়ে গলে আসা
নিঝুম জোৎস্নাও ছিলো চুপ করে,
জাহেদ আজও বেঁচে আছেন হয়তো কারো অন্তরে।
উঁচুতলার ড্রয়িংরুমের নরম সোফা থেকে শুরু করে,
প্রান্তিক মানুষের পান্তা মরিচ টিনের থালার,
ভালোবাসা পেয়েছিলেন যে তিনি সকলের।
এই পৃথিবীতে কোনও কোনও মহান প্রাণ,
সারাজীবন ধরে সুগন্ধ ছড়াতে চেষ্টা করে যান।
