সঙ্ঘজননী
সঙ্ঘজননী
ফারাক দেখোনি জননী তুমি সতে আর অসতে,
ঈশ্বরপ্রেমের মার্গদর্শক তুমি সাবলীল সেবাব্রতে;
জন্মের প্রাক্কালে মা-বাবা পেয়েছিলেন দিব্যদর্শন,
বাঁকুড়ার জয়রামবাটীতে আজও স্নিগ্ধ আকর্ষণ;
প্রথম নামটা ছিল - ক্ষেমঙ্করী, পরে হলে সারদা,
নিহিত ছিল মহাশক্তির বিশুদ্ধ প্রকাশের বারতা;
ঠাকুরের লীলাসঙ্গিনী মা তুমিই তো জগজ্জননী,
অন্তর্লোকে আলোর দিশারী তোমার পবিত্র বাণী;
ফল্গুধারার মতোই অন্তঃসলিলা তুমি সহযোগী,
গভীর স্নেহে সন্তানদের আকৃষ্ট করলে বিশ্বব্যাপী;
বৈষম্যের ঊর্ধ্বে শ্রেষ্ঠ তব অদ্বৈতবাদের ধারণা,
ভক্তিমতী শুদ্ধপ্রাণা তোমারই যে অপার করুণা;
স্থাপিত হল বেলুড় মঠ, গুরুভাইদের স্নিগ্ধ স
ংসর্গ,
মায়ের নামে সংকল্প এবং ঠাকুরের নামে উৎসর্গ;
নিয়মবিধি লঙ্ঘনে তোমার এক চোখে অগ্নিবর্ষণ,
সন্তানের দুঃখে অপর চোখ করল অশ্রু বিসর্জন;
স্বামীজির আবেগে টানলে রাশ মহামারীর সময়,
বললে, ঠাকুরের অনন্ত ভাব মঠ ছড়াবে বিশ্বময়;
মাতৃসত্তা এবং দৈবী মহিমার অপরূপ মেলবন্ধন,
ভক্তমননে সাবলীল শাশ্বত রূপে তুমিই চিরন্তন;
ভরসার হিমেল জ্যোতি ভাস্বর গ্লানির আঁধারে,
তুমিই তো মা মহামায়া বিরাজিত হৃদয় মাঝারে;
তোমার জন্মতিথিতে মঠপ্রাঙ্গণে অটুট সেই ভক্তি,
ভাবটুকু ঠাকুরের দেওয়া, বাকিটা তোমার শক্তি;
সকলের মুখে হাসি, মনের ঘরে তুমি মা আরাধ্য,
অসীমতা কেউ জানে না, বোধের সীমানা সীমাবদ্ধ।