শিক্ষা
শিক্ষা
সাবেকি পোষাক আশাক যত ছিল গ্ৰাম বাংলার,
সব ছিলো ভালো, তা কিন্তু মনে হয়না আমার।
সেমিজ ছাড়াই ইয়া লম্বা একখানা শাড়ি গায়ে দিয়ে,
কি করে যে পরতো নারী, পড়তো না পায়ে জড়িয়ে !
রাজস্থানের মেয়েদের ঘাঘরা চোলি দেখতে ভালো,
কিন্তু ওড়নায় ঢাকা মুখে লাগেনা তো একটু আলো।
ছেলেদের ধুতি, লুঙ্গি, পাজামা, চুড়িদার বরং বেশ,
কথাটা বুঝেছে ভালো, পাঞ্জাবি নারীরা শেষমেষ।
মাত্র কিছু বছরেই মেয়েরা সেমিজ পরতে শিখে গেল,
সেমিজ কেটে দিনে দিনে ওরা সায়া ব্লাউজ বানালো।
বিয়ের পোষাকে বর-বধু দেখতে লাগে বেশি ভালো ।
এখন তো শহর ও গ্ৰামে মেয়েরা নাইটি পরা ধরেছে,
ছেলেরাও দেখি বক্সার,বারমুডা পছন্দ করে নিয়েছে।
তবে বাইরের পোষাক হিসেবে প্যান্ট-শার্ট সকলকে,
কি করে যেন, একদম কাবু করে, আধুনিক করলো।
আসল কথাটা বোধহয়, বিশ্ববাসী আজ মনে মনে,
আছে যতো লোকজন এই পৃথিবীর কোনে কোনে!
সকল দেশের সব দেশবাসী এক হতে চায় পোষাকে,
আপন করে নিতে চায় মানুষ একে অপরের ভাষাকে।
বয়েস বাড়ার সাথে সাথে লোকে বোঝে এই কথাটা,
শান্তিতে পাশাপাশি কাটানো জীবন জরুরী, ভালো,
মানুষের মধ্যে বিভেদ ছাড়া, এই মিলেমিশে থাকাটা।
খুব দরকার সকলের খাদ্য, শিক্ষা ও আর্থিক উন্নয়ন,
তবেই দৃঢ় হতে পারে একাত্মবোধ ও আত্মিক বন্ধন।
একই কারণে তাই দরকার হস্তশিল্পে হাত পাকানো,
সবাই যেন কিছু কাজ করতে শেখে, পারে ও করে,
স্বাবলম্বী নয় যে সব দেশের সব লোক এখনও ।
ভালো করে মানুষের বোঝা চাই শিল্প ও বানিজ্যটা।
