সেই লোকটা
সেই লোকটা
লোকটা মরতে চেয়েছিল মরার মত মরা ,
মরলো ও তাই। সারাদিন মাঠে ঘাটে পাহাড়ে পর্বতে ঘুরে ঘুরে , তার মনে হল পাহাড়টাকে ভেঙে সরিয়ে দিয়ে মানুষের জন্য বাসস্থান গড়ে থাকবে সেখানে,
বাঁচবে বাঁচার মত পড়শী দের সাথে,
একসাথে, মানুষের মত।
তার অস্ত্র একমাত্র কলমটা মুঠো করে ধরে
শাবলের মত করে চালাতে লাগলো হাজার বছরের জগদ্দল পাথরের গায়ে। দিন যায়, রাত যায় , মাস, বছর পার হয়ে যায়।
সারাদিন কিছু খেলো কি না খেলো!
পেট ভরে মদ গিলে ক্লান্ত শরীরটা বিছিয়ে দিলো পাহাড়ের গায়ে,
তারপর একদিন সকালে সবাই দেখলো লোকটা মরে পড়ে আছে, তার ভাঙা পাথরের বিছানায়।
পড়শীরা সব দেখলো, মুখে কেউ সহমর্মিতার শব্দটিও করলো না।
মনকে বোঝালো ,পাগলটা গেছে, আপদটা বিদায় হয়েছে।
লোকটা হাঁ করে চিৎ হয়ে মরে পড়েছিলো খোলা চোখে আকাশের পানে চেয়ে।
ওর মত গুটিকয় পাগল তাকে তুলে নিয়ে গেলো সৎকারের আশায়, দুফোঁটা চোখের জলে বিদায় দিলো।
নিজেরা বলা কওয়া করলো, লোকটা মানুষের মত মরলো। আমাদের মত নয়।