সে-বৃষ্টি কই !
সে-বৃষ্টি কই !
একশো ষাট পূর্ণ হল
ধুনি-জ্বালা সেই সন্ন্যাসী কই !
আলপনা যে পারত দিতে
কৃষ্ঞ মেঘের আবাহনে।
কই কবি ! সেই লেখনী কই !
নামাত যে বৃষ্টিধারা !
র-বী-ন্দ্র-না-থ র-বী-ন্দ্র-না-থ
নামেই বাজে মেঘমল্লার !
সে-বৃষ্টি কই ! আর আসে না !
কবিগুরুর জোড়াসাঁকোয় --
ছু-ট-তে ছু-ট-তে পৌঁছে যেত
পূর্ণ হত শীর্ণ খোয়াই !
সে-বৃষ্টি কই ! আর আসে না !
ডোবা হত পূর্ণ পুকুর --
সেই পুকুরে ডুব দিয়ে তো
মনের গ্লানি ধুয়ে যেত !
সে-বৃষ্টি কই ! আর আসে না !
যোগাত যে পূর্ণ-রসদ --
ছুটত মনের রেলগাড়িটা
দিণ্বীদিক-শূন্য হয়ে !
সে-বৃষ্টি কই ! আর আসে না...
আর আসে না ... আর আসে না !
--------------
