স্বার্থপর নারী
স্বার্থপর নারী


আর পারিনি থাকতে ওদের মাঝে,
ঢেকে রাখতে দেহের কালো দাগ,
মাগো আমি ফিরছি বিধবা সাজে,
আমায় দেখে করবে নাতো রাগ?
বিশ্বাস করো চেষ্টা করেছি খুব,
দাঁতে দাঁত চেপে সয়েছি অত্যাচার,
রোজ রাতে বিছানাতে গুঁজে মুখ,
সহ্য করেছি পাশবিক ব্যাভিচার।
প্রতিদিন শোনা অশ্রাব্য সব ভাষা,
নিত্য নতুন চাহিদার ফরমাস,
নেশার ঘোরে হিংস্র ভালোবাসা,
শরীর নিয়ে নগ্ন পরিহাস।
অসহযোগে প্রহার রাত্রিদিন,
কালশিটে আর রক্তে দেহ স্নান !
বাঁচতে চাওয়ার ইচ্ছারা আজ ক্ষীণ,
সুপাত্রে যে করেছো সম্প্রদান।
ফ্রিজ, টিভি সব পুরনো বছর শেষে,
আমি গৃহবধূ মানতে তাদের ক্ষোভ!
শ্বাশুরী শ্বশুর ভালমানুষের ভেসে,
রোজ উগড়ায় মনেতে জমানো লোভ।
আমার স্বামী নিরীহ, নির্বিকার,
সুসন্তানের ধর্মে পরেনা চির,
শরীরে মনে হোকনা কদাকার,
জানে ব্যবহার বিয়ে করে আনা স্ত্রীর।
প্রৌঢ় হোকবা পরিণত পুংলিঙ্গ,
পিতৃসম শশুর কিংবা স্বামী,
চারদেয়ালে সাজেন পুরুষ সিংহ,
আভিজাত্য বড্ড বেশি দামী।
তাইতো তারা লক্ষী আনে ঘরে,
সওদা করে বংশপরিচয়,
জানিনা কেন সেই লক্ষীই মরে,
দুর্ঘটনা ওদেরই সাথে হয়।
প্ৰতিবাদ যে করতে তাদের মানা,
সমাজ নাকি এই নিয়মে চলে,
পরিনতি তার যতই হোকনা জানা,
নারীদের স্থান স্বামীর চরণতলে।
করতে হবে, মানতে হবে ধর্ম,
নারীজন্ম হয়েছে ইহার তরে,
শরীরে থাকুক স্পর্শকাতর চর্ম,
পশুর সাথে সহবাস একঘরে।
তবুও যদি সহ্যের বাঁধ ভাঙে,
ফিরে আসা সেই পুরোনো বাপের ঘর,
অপবাদ তবু সেই মেয়েটার নামে,
সংসারত্যাগী, ভীষণ স্বার্থপর !