প্রকৌশলী
প্রকৌশলী
ওরে ও বাবুই পাখি, বাসা তো খাসা, বানাস দেখি,
কি করে কোথায় পড়ে শিখলি রে তুই এই কারিগরি?
এ কাজে আর কেউ তো তোর নেই রে জুড়ি।
ঘাস পাতা জোগাড় করে, পাঁচশো-হাজার গিট মেরে,
ভেজা মাটি দিয়ে ভেতর লেপে গুছিয়ে বেশ নিস ওরে
প্রয়োজনে অন্যের বাসার ঘাসও যে তুই করিস চুরি।
বিজ্ঞান না পড়েও তুই যে এক বিরাট প্রকৌশলী,
চতুর তো বটেই, বল্, এতো নিপুন তুই কি করে হলি?
যদি কখনো ঝড়ের দাপটে নীড় তোর ভেঙেই যায়,
করিসনা তুই মিথ্যে বসে, ওরে, হায় হায় !
প্রিয়ার শোকে চোখের জলে ভাসিস না রে,
সময় যে রে ! বিনা কাজে শুধুই বয়েই যায়।
এবারে নিজের তরেই একটা বাসা বানা না ভাই,
রোদে আর থাকিস না রে, বৃষ্টিতে ভিজিস না তুই।
জোনাকি হয়ে আমি যে চাই, তোর বাসাতেই,
খুশি মনে হামেশাই দীপ জ্বেলে যাই।
পেন্নাম হই ওরে আমার ইন্জিনিয়ার মশাই !
নীড় হারা পাখি নাকি গান গায় না রে আর,
আমি তো ভেবে মরি, গান তো অনেক দূরের ব্যাপার,
দরকার আগে যে তোর মাথা গোঁজার একটি ঠাঁই,
তারপর দেখা যাবে গানের লেখক কোথায় পাই !
সুর তোর গলায় আছে, সে নিয়ে কোনও চিন্তা নাই।
অন্ধকারে পড়ে ও ভাই প্রকৌশলী,
অনেক দিন তো এভাবেই বেশ কাটালি।
আর নয় কিছুতেই এভাবে অন্ধের মতো পথ চলা,
এবারেতে আবার তুই মন দিয়ে আরেকটি বাসা বানা,
বাসার ভেতর জোনাকির একটি প্রদীপ জ্বালা।
জীবনে চলতে গেলে আলোটা খুব জরুরী,
আনন্দে পথ চলাটা যে, সবার জন্যেই খুব দরকারি।