পর্দা
পর্দা
হামিদুল্লা এসো, এই ধূসর রঙা সন্ধের দিকে মুখ করে বসো, অবিন্যস্ত। সিগারেটের গন্ধ ভেঙে ভেঙে একটি ত্রিমাত্রিক ধর্মযুদ্ধের সূচনা করতে পারো বরং এই নিদাঘসংকটে। ওই যে দূরে বন্ধ বস্তাটিকে দেখছো সন্দেহপ্রবণ দৃষ্টিতে, উহার আবিষ্কর্তা হতে পারো তুমিই। শুধু কল্পনা করো একবার, সোনার বদলে পেলে রক্তবর্ণ সরীসৃপদেহ। গোপন আমিরশাহি বাসনাকে আলখাল্লা পরিয়ে কীভাবে অস্পৃশ্য রাখবে তখন, হতাশা ঘন হয়ে এলে ? আরবি হরফের নিশাচর সঙ্গমপাখিটিকেও পেতে পারো দুর্গন্ধপরায়ণ তীব্র নজরদহে। হামিদুল্লা ভাবো এইবার, পার্থিব নারীকে, তোমারই স্ত্রী-সন্ততি; চক্ষুদুটি উন্মিষিত, পদ হইতে মস্তকের মাঝখানে বিষাদকালো পবিত্রতার বেড়িবন্ধন। উহারা বদ্ধ , বন্ধ এবং বস্তাবৎ। 'প্রিয়' নারীটির মুখে পর্দানশীলনিগম গুঁজে দিতে দিতে ভাবো, দ্বিতীয় হামিদুল্লার কথা। জেনো, গত সন্ধেয় খননকার্যপূর্বে যে লোলুপদৃষ্টিফল্গু রেখেছিলে সন্দেহজনক বস্তাটিকে ঘিরে, তাহা একান্তই শ্রেষ্ঠ পন্থায় প্রকাশিত রিপুনীতি;
পর্দা ও বস্তা উভয়েই সূর্যোদয়দৃশ্য হইতে বঞ্চিত।