রং
রং
আমাদের মা ছিল সব্যসাচী। দুই হাতে ছিল তুফানরেখা।
মা বামহাতে, বেগুনি রঙের খিদে এঁকে দিলে ডানহাত ছুটে যেত উৎসবনীলে, তারপর ভাগাড়ে ভাগাড়ে খুঁজে নিত উচ্ছিষ্ট-খুঁটিনাটি। একবার মা বামহাতে জামা এঁকেছিল তেমন এঁটোদাগে, হলদেটে। ডানহাত তখন থামতে থামতে বুনেছিল সবুজ পাতার পোশাক।
মা তারপর আকাশের দিকে তাকিয়ে ঝিম মেরে গেলে কমলা এক শকুন ছোঁ মেরে ফেলে দিল মাকে, রাস্তায়।তাতে লাল লাল শরীর মাছিডোবা হল, ক্রমে মাংসের মেঘ থেকে মন খসে খসে আধা কঙ্কাল পেল শহুরে ফুটপাত।
সেসব রামধনুছবি আসমান থেকে নিচে নামতেই সবাই ক্যামেরার বদলে থুতু ছেটাল আমাদের দিকে। এখন আমাদের রং নেই। ঝুরঝুর করে পড়ে গেছে সেসব, কালোয়। প্রকান্ড এক খাদ হাঁ করে আছে - গিলে খাবে এবার। অন্ধকারের কোন রংবোধ নেই।