বিশ্বাসহন্তা
বিশ্বাসহন্তা


তাবৎ প্রসব-মল্লভূমিটির মুখে
গুঁজে থাকে লাল ধাগা, জন্মদ্বার যেন।
মাজারের ফুল-শিন্নি মনে পড়ে এই সময়, মনে পড়ে আর পীরবাবাজিকে, স্বর্গত ক্ষমতা বানে
অবশ্যম্ভাব পুত্রলাভমোহে তাঁহার সহিত সঙ্গমদৃশ্য।
দরজায় প্রহরারত ভাতারটিকেও মনে পড়ে মোর, জ্বালাধরা দীর্ঘশ্বাসে।
যে ভ্রমণপর্বে চামতাবুরু উঠে আসে অকপটে অথচ
ইবলিসাবতার শহুরে বাবুটি এখনও সমক্ষে ভণিতা
রাখেন, সাঁওতাল রমণীর বুকের ভাঁজে যৌন আন্দোলনের
আক্ষেপ তিনি রাখেননি, তাঁর
আমোদী জীপগাড়িটি দেখে শীত আসে অতর্কিতে।কেদারায় উপবিষ্ট অষ্টপ্রহরা রমণী তাঁহার
মাঝরাতে ঘুম ভেঙে স্মরণ করেন মাসমাইনের ধুলোর ভেতর উচ্ছিষ্ট আতুপুতুভালবাসা।
অথচ 'অপুত্রক জীবন হইতে মৃত্যু শ্রেয়' একথা দেওয়ালছুঁড়ে দিয়ে পাহাড়সফরে গাইড হয়েছিমোর ভাতাররাজ। কুয়াশা-চশমায়বাবুসাহেব আপনাকে, আদিবাসী নিতম্বছায়াঘেরা একটি সর্বনাশাগোধূলির আয়োজন করতে ব্যর্থ
সোয়ামী মোর, বিদায়পূর্বে জানিয়ে গেছেন তিননম্বরটি
হায় আল্লাহ, খোদার কিরে, বাবাজীর পানিপড়াতেএ যাত্রাও মেয়ে হলে কালো কুৎসিত এই রুক্ষ্মপ্রদেশে আমার, পদছাপ আঁকা হবে আঁচল ভরতি বাসি নুনদাগে।
এইসব মনে এলে সদ্যজাতাকে বুকে তুলে নিই উৎসাহী ডাইন; নামাই বৃন্ত, স্তনবৃন্ত, তার মুখে।
ব্যর্থ সিজদায় মস্তক ঝুলে থাকবার চেয়ে এই শ্রেয় টিপে ধরা নবাগত শ্বাসদুই স্তনের ভেতর, পিষে ফেল শ্বাপদ জনম।