প্রায়শ্চিত্ত
প্রায়শ্চিত্ত
তপ্ত-লাল আগুনে পুড়ে-ঝলসে
হাজার মাথার মোড়ে দাঁড়িয়ে
থাকা মানুষটি হতে চাইনা আর;
এবার মরলে আমি গাছ হবো।
কোনো এক গাঢ় সবুজ পাখির ঠোঁটের
হলুদ ফলটার বীজ থেকে আমি
জন্ম নেবো,- এই এখানেই....
আমার বসতবাড়ির নিকটে; এখন
যেখানে পড়ে আছে প্রাচীন বটের ছিন্নমূল।
কোনো নিবিড় জঙ্গলে জন্ম নিয়ে
দাবানলে পুড়বার সাহসিকতা আর নেই;
পাইরোফোবিয়া বাসা বেঁধেছে এই বুকটায়।
কচি কচি রঙিন ফুলে আমি ঢেকে দেবো রাস্তা
ঘামে ভেজা এ শহর এসে দাঁড়াবে আমার ছায়ায়।
পুজারি কুড়িয়ে নিয়ে যাবে ফুল
প্রেমিক সাজাবে প্রেয়সীর খোঁপা
শিশুরা খেলে বেড়াবে ডালে ডালে
আর পাখিরা গাইবে গান বারোমাস।
ওহে, আমার হাতে খুন হাওয়া গাছেরা...
সেজন্মে তোমরা সব মানব দৈত্য হয়ে জন্মিও;
একে একে ভেঙে দিও আমার হাত পা, কাষ্ঠল দেহটা
কুচি কুচি করে আমায় সাজা দিও তিলে তিলে।
খুবই স্বল্পায়ুর হলেও গাছজন্ম আমি যেনো পাই,
আত্মার শান্তির জন্য একটা প্রায়শ্চিত্ত হওয়া চাই।
