পদ্ম কুঁড়ি
পদ্ম কুঁড়ি
বড়দি, মেজদি, ও রাঙাদি, আমার যে ভয় করছে,
সূর্যের আলোটা দেখতেও ভীষণ ইচ্ছে করছে।
তোমাদের মুখে নাম শুনে শুনেই ভালোবেসেছি ,
জীবন মরণ সব তাঁকেই সমর্পণ করেছি।
হয়তো আমাকে উনি কোনোদিন চিনবেন না,
কিন্তু তাই বলে আমাকে অবহেলাও করবেন না।
সারাদিন ধরে একটু একটু করে আলো ছড়ান,
অকাতরে সকলকেই যে উনি আলো বিলান।
বলো রাঙাদি, "মেজদি যে অতো সুন্দর, এমনি?"
"ওনার ভালোবাসা পেয়েছে বলেই না!"
বড়দির দিকে তাকালে এখনো চোখ ফেরানো যায়না,
এতদিন তো আমি ছিলাম সকলের অলক্ষে একা,
একটু ভীরু, একটু যেন বোকা বোকা।
মৌমাছি, ভীমরুল এখন রোজ, নিয়ে যায় খোঁজ,
বাদ দেয়না দুবেলা গান গাওয়া গুন গুন গুন।
মন যে আমার কেমন করে ওঠে অকারন!
গন্ধে যে আকুল হয়েছে এ মন ও পদ্মবন।
বলো না তোমাদের কথা,
কেমন লেগেছিল রোদের ছোঁয়া প্রথম?
শীতল বাতাস তুলেছিলো শরীরে কতটা শিহরণ?
বৃষ্টি যেদিন মনের কথা তোমাদের বলেছিলো,
সেদিন সে কতটা কেঁদেছিলো?
জানি একদিন ঝরে যেতে হবে আমাকেও,
এক ই পথে হয়তো যাবে তোমরাও।
কপাল ভালো হলে দেবতার পায়ে দুদিন এর তরে,
পেতে পারি মোরা হয়তো আশ্রয়,
কিন্তু তারপর? ঠাঁই হবে সকলের, সেই আস্তাকুঁড়ে।

