নাম-জীবন
নাম-জীবন
এ যেন জীবন এক ,
তোমার সাথে আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথে চলা ।
ইচ্ছে ছিল অনেকদিন ধরে---,
ছোট থেকে
দুর্গম পথে এগিয়ে যাবো একদিন ।
সে এক অস্তিত্বের মৃগয়া যেন ,
বাঁকা পথে অলক্ষ্যে থেকে লক্ষ্যভেদ করা ।
আমি যে কথা দিয়েছিলাম নিজেকে ,
---হেরে যাব না কোনদিন ।
তাইতো চলাটা ওই অচেনা পথে
সাক্ষী হয়ে থাকে দিনে রাতে ।
তুমি চেয়েছিলে খাদটা পার হতে
হাত ধরে আমার ;
ধরিনি আমি ;
পেছনে তাকানোর অবসর ছিলনা তখন ;
আমায় যে যেতে হবে আরও অনেকটা এগিয়ে ,
আর তুমি ?
তুমি কি হারিয়ে গেলে জীবনের স্রোতে !
চড়াইটা শেষ হলে
অন্ধকার নেমে ছিল সেথায় ;
হারিয়ে ফেলেছিলাম নিজেকেই আমি তখন ;
আর্তনাদ করে উঠেছিলাম আমি ,
ডেকেছিলাম তোমাকে ভয়ে ,
হ্যাঁ ,তোমাকেই তো !
বুঝিনি , আমারই অস্তিত্বের অংশ
কতটা পেছনে সরিয়ে রেখেছি আমি ,
নিজেরই হাতে ।
সামনের স্বর্ণ-শিখর হাতছানি
দিয়েছিল তখনই ;
সামনে আশা আর লোভের হাতছানি
তোমায় না পাওয়ার ক্ষোভটাকে দিয়েছিল মিলায়ে ;
বুঝিনি তখনো ,
তোমাকে ছাড়া পাওয়াটা ছিল বড়ই কঠিন !
ক্লান্ত , শ্রান্ত আমি বসেছি সেখানে ,
তোমার আঁচলের মন্দ হওয়া পাইনি তখনো ,
স্বপ্নে গেছিল সেটা হারিয়ে ।
কষ্টে অতি , দূর্বার ঝর্ণার ধারে
জলপানের আশায় ;
উদাসী মেঘ হয়ে ভাসা তোমার দুচোখ চেয়েছিল
বুঝিবা ক্লান্তি দূর করতে আমার ;
তোমার ওই ভেজা ভেজা দুটিঠোঁট বলেছিল ,
এ চলাটাই সুন্দর হতো বড় !
এ নয় শুধু অভিযান ,
এটাই জীবন ;
জীবনটাই সুন্দর হয় চির-সাথীর হাতের ছোঁয়ায় ।
