মনের তলায়
মনের তলায়
সুপ্রভাত! গুড মর্নিং! হ্যাভ এ নাইস ডে !
গুড ইভিনিং! শুভ সন্ধ্যা! গুড নাইট! শুভ রাত্রি!
একই কথা কতবার আঙুলের ডগায় করে ঘোরাঘুরি।
সোসাল নেটওয়ার্কে এভাবেই কথা ঘোরে ঝুড়ি ঝুড়ি,
ক্লান্ত এসব কথা যে, সত্যিই হয়ে গেছে বুড়ো বুড়ি।
প্রাণ ভোমরা মনে ভাবে তাই ওড়া ছেড়ে ডুবে মরি,
জলের তলায় ডুবতে গিয়ে শিখেছে যে ডুব সাঁতার,
মনে ভাবে মরে গেলে এই দুনিয়ায় কে আর কার?
তাই যত দিন এই শরীর ও মন বেঁচে আছে ভাই,
উড়ে উড়ে কাজ করে যাই, বরং একটু মধু জোটাই।
মধুই যখন জীবন বাঁচায়, অমৃত খুঁজে কাজ নাই!
মন পুকুরে যে পদ্ম ফোঁটে রোজ একটি করে,
দিনে রাতে জলের তলায় গুণ গুণ গুণ ভোমরা ওড়ে।
রঙীন কথার প্রজাপতি মধুর লোভে শুধুই ঘোরে,
এর ই মাঝে কথার ফাঁদে কটি কথাই আর ধরা পড়ে।
তাই মাঝে মাঝেই ইচ্ছে করে ডুব দিই ঐ মন পুকুরে,
স্বচ্ছ জলে মৃনাল খানার দেখা আমি পাই কি করে!
তাকিয়ে দেখি উঠছে যত নানা কথার বুজকুড়ি,
কয়টি ছোটো, কয়টি বড়, কয়েকটি আবার মাঝারি।
কোনওটা ফাটে, কোনওটা ফোঁটে কি আর করি!
নিজের মনেই শুধু একটু নীরব থাকার চেষ্টা করি।
পারুক বা না পারুক, পদ্ম হতে যে সাধ সবার ই,
তাই তো আমি পদ্ম কলিকেও আদর করি।
হাতের ছোঁয়ায় পদ্মকলি বেশ আধফোঁটা হয়,
দেখতে কিন্তু সে ফুল গুলোও মন্দ নয়।
পূজোয় লাগে, মন বাগানের শোভাও বাড়ায়।
কিছু লাজুক পদ্মকলি, নিজের মনেই চুপ করে রয়,
অনেক ফুলের মাঝে, ঐ কলিদের অমনই যে মানায়।
একটু স্নেহ ভালবাসা যেন ওরে জীবন বাঁচায়।