মনের ক্ষমতা
মনের ক্ষমতা
কত এখন রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রাটা !
আছে এতে সুগার এর পরিমাণ কতটা?
ঠিক আছে তো এখনও পরিপাক ক্ষমতা !
আমরা এই শরীরের খবর রাখি কতটা !
আমরাই দাবী করি, নিজের শরীর বলে,
জানিনা কখন শ্বাস নিই আর কখন দিই ফেলে।
মানুষ হিসেবে আমরা বোধহয় সত্যিই এলেবেলে,
কেন মাঝে মাঝে অসুখ আমাদের কাবু করে ফেলে?
এক রকম ভাবে চলেনা আমাদের এই শরীর যন্ত্রটা,
সবসময় ভালোও থাকেনা স্বেচ্ছাচারী এই মনটা।
লাগামছাড়া হয়ে পড়ে কখনও সখনও যে লোভটা !
ঠিক রাখা হয়না যে খাবারের মাত্রাটা।
বয়েস এর সাথে সাথে কিছু কিছু খাবার ছাড়তে হয়,
না ছাড়লেও খুব কম সম হঠাৎ কখনও খেতে হয়,
বুঝতে চাইনা কিছুতেই এই সহজ সরল সত্যটা।
দিনে দিনে কমে যায় হজম করার ক্ষমতা,
নিজের শরীরের সাথেই মানুষ করে বসে শত্রুতা।
বয়েস বাড়ার সাথে একটু হালকা খাবার খেতে হয়,
স্বাদের কথা ভেবে বিদ্রোহ করে ওঠে এই জিভটা।
শরীরে ক্যালশিয়াম ও প্রোটিনের নিশ্চয়ই দরকার,
সকলেরই আছে অধিকার ভালোভাবে বাঁচবার।
অতিরিক্ত কোনো কিছুই শরীরের জন্যে ভালো নয়,
পরিমিত খাবার দিয়ে শরীরকে ঠিক রাখতে হয়।
যা খাচ্ছি তা ঠিকঠাক পরিপাক হচ্ছে কিনা
এটা তো নিজেকেই লক্ষ্য রাখতে হয়।
কোন খাবারের কিরকম ক্ষমতা,
শরীরের কাজে তা লাগে কতটা ?
এসব নিয়েও একটু ভাবনা চিন্তা করতে হয়,
সবসময় খাবারের স্বাদের কথা, চিন্তা করা ঠিক নয়।
আমাদের ভালো থাকা না থাকা নির্ভর করে
কেমন আছে এই শরীর নামের যন্ত্রটা।
আর শরীর নিয়ন্ত্রণ করার কিছুটা ক্ষমতা যার আছে,
সে যে আমাদের অতি আপন, মানুষের এই মনটা।
