মিষ্টি মূলো
মিষ্টি মূলো
হাট মানেই ছুটতো সবে শুক্রবারের কমলাবাড়ি হাটে,
কর্নজোড়াতেও বেশ ছোট্টো একটা হাট ছিল বটে !
তবে কি বারে যে বসতো সেটা মনে পড়ছেনা মোটে।
লক্ষীস্হানের হাটটাও কি বারে যে ছিলো কে জানে!
একদিন ঘটেছিল আজব কান্ড বলি সবার সনে,
মালতী দিদির সাথে মূলো নিয়ে বসি এককোনে,
এরকম একটা নতুন ব্যাপারে উৎসাহ যেন শতগুণ,
আনন্দে ধেই ধেই করে নাচছিলো যে আমার মন।
"দশ পয়সা কেজি মিষ্টি মূলো! নিয়ে যান, নিয়ে যান "
মহানন্দে চিৎকার করা শুরু করি, যেন এটা গান।
মূলো কেনার সাথে সবার মুখে কেন যে মুচকি হাসি!
তখন তো ভাবিনি, আমি কি বুঝি নাকি এতো বেশী ?
এক ঘন্টার বদলে মিনিট পনেরতেই সব মূলো শেষ।
উঠে যেতে হলো বড্ড তাড়াতাড়ি, লাগছিলো বেশ!
এসে গল্পটা করে সবার কাছে , মালতী দিদি মহাখুশ।
দিদার মুখ গম্ভীর, সবার মনে যেন চাপা অসন্তোষ!
তখন আমি ক্লাস ফোর, স্কুলে গিয়ে কথাটা শুনি,
"কি রে! কালকে কেমন মূলো বিক্রি করলি?"
এ কি কান্ড! মনে মনে আমি তো প্রমাদ গুণি।
মঙ্গলবার যে ছিলো মহারাজা হাট, আছে বেশ মনে।
শনিবার এলে সবাই হাটের জন্যে যেতো বারোদুয়ারি,
চাঁচলের হাটটা বসতো কিন্তু ঠিক প্রত্যেক বুধবারই ।
মঙ্গলবার সারা রাত ধরে, রাস্তা দিয়ে মোষের গাড়ি,
পাট নিয়ে অবিরাম চলতো ক্যাচোর ক্যাচোর করে।
বৃহস্পতিবার শুনেছি এখনও হাট বসে ঐ বন্দরে,
নাই বা এখন হাটে গেলাম, হাটের কথা মনে পড়ে।
রোজ রোজ বাজার হয়ে, হাটের কমে গেছে দাম,
পড়ছেনা তো মনে, রবিবারের কোনো হাটের নাম।
