মহাশূন্যের দেশে
মহাশূন্যের দেশে
চোখ ধাঁধানো আলোর ঝলক চোখের পাতার 'পরে,
রহস্য কত লুকিয়ে আছে আলোর ছটার আড়ে।
ঘুরে ঘুরে মর্ত্যে নামলো একটা "উড়োন চাকি",
ঘূর্ণি বাতাসে উঠলো কেঁপে গাছপালা, পশুপাখি।
চাকির থেকে বাইরে এলো অদ্ভুত এক প্রাণী,
মাথার ওপর তার পেঁচানো, চ্যাপ্টা চেহারাখানি।
এগিয়ে এসে আমার দিকে আওয়াজ দিলো এমন,
আবেশ ঘোরে করলাম আমি তারেই অনুগমন।
আমায় নিয়ে বসলো চেপে উড়োন চাকির ঘরে,
প্রবল বেগে উড়লো চাকি মহাশূন্যের পাড়ে।
পৌঁছে গেলাম তারার দেশে ছায়াপথখানি ধরে,
বুঝতে পারছি চলেই এসেছি, কিছু আলোকবর্ষ দূরে।
মহাকাশে গ্রহ তারাগুলি দেখি,ইচ্ছেমতোই ঘোরে,
ধ্রুবতারাটা হাসিমুখ নিয়ে দাঁড়িয়ে একটু দূরে।
কখনো লাগছে বেজায় ঠান্ডা, কখনো লাগছে গরম,
দিবারাত্রি উড়ানে ঘুরে তেষ্টা পেয়েছে চরম।
অদ্ভুত সেই প্রাণীটিরে আমি বলতেই সেই কথা,
গা হিম করা আওয়াজ করে তেড়েই এলো সেটা।
চোখ দিয়ে তার আগুন বেরোয়, জ্বলছি তারই তাপে,
ভয়েই হলাম জড়োসড়ো, শরীর উঠলো কেঁপে।
মারবে নাকি, এমন কেন এগোয় আমার দিকে,
মাথার তারে বিদ্যুতেরই ঝলক লাগলো চোখে।
জ্বলছে যে চোখ, দেখবো কেমনে, চিৎকারে মাকে ডাকি,
ধাক্কা খেয়ে চোখ গেলো খুলে, "স্বপ্ন দেখলি না কি" ?
মা বলছেন, "উঠে পড়ো খোকা, বেলাতো অনেক হলো,
চোখ মুখ ধুয়ে, প্রস্তুত হয়ে, এখন ইস্কুলেতে চলো"।