লিক
লিক
খুব মনযোগ দিয়ে কাজ করছে তিনটে বাঁদর,
কোথায় যে দেখেছিলাম ঠিকঠাক মনে নেই।
মাথার উকুন কোনো মানুষকে বাছতে দেখলে,
মনে পড়ে যায় হুবহু সেই দৃশ্যটাকেই।
রক্ত খেয়ে খেয়ে মোটাসোটা কালো উকুন,
গুটি গুটি পায়ে চলছিলো আগেকার দিনে বেশ!
তাদের ছানা, সাদা-বাদামী পুঁজাল, নিরীহ লিক,
শ্যাম্পু কন্ডিশনারের জ্বালায় একদম শেষ।
যশোরের চিরুনী বাজারে খুব কিনেছিলো নাম,
সুক্ষ দাঁতওয়ালা চিরুনী! নিশ্চয়ই ছিলো দাম।
মানুষের জীবন থেকেই হয়তো নিয়েছে বিদায় !
হারিয়েছে যে উকুনদের "পরিপাটি সংসার"!
কি জানি হয়তো থাকে এখনও পাগলের মাথায়।
উকুনের ঔষধ ফেরি করা বেদে ও বেদিনীরা,
একই রকম উদ্বাস্তু, কোথাও নেই যে ওদের ঠাঁই।
কেন ই বা লোকে ওদের পছন্দ করবে,
যেখানে যায় সেখানে কি করে যে ঝামেলা পাকায়।
মাথাতে উকুনের কামড় কি সহ্য করা যায়?
উকুন, বেদে সব গেছে হারিয়ে, যাক্ তা ভালোই।
বেদেরা হয়তো আজ কোথাও বাসা বেঁধে আছে,
উকুন যেন ফিরে যায় ঐ সব বাঁদরদের মাথায়।
ওরা তো নিশ্চিন্তে খুশিমনে উকুন ধরে খায়।
যেমন পটেটো চিপস বা কুড়কুড়ে খায় মজায়!
মানুষ আর বাঁদরদের জীবন প্রণালী তে,
অন্ততঃ কিছুটা তফাৎ তো অবশ্যই থাকা চাই।
