কাপুরুষ দেখতে পাই
কাপুরুষ দেখতে পাই
আমার চারিপাশে লাখে লাখে
রক্ত - মাংসের মানুষের ঢল ,
তবুও কেনো যেন আমি মানুষ দেখতে পাইনা
দেখি শুধু কারো মনে হিংসা ,
কারো শরীরে পশুর বাস ,
কারো চোখে ছল ।
মান - হুঁশওয়ালা মানুষ অনেক আছে
কিন্তু মানুষের মতো মানুষ নেই ,
আমি দেখি হিংস্র হায়নার মতো
দাঁত - নখ বের করা
রক্তলোলুপ নির্লজ্জ - নির্বোধ পুরুষ ।
নাঃ নাঃ, ভুল বললাম
পুরুষালি চেহারার অন্তরালে
সত্যি পুরুষ কই ?
পুরুষের খোলসের আড়ালে
পৈশাচিকতার চাষ ,
যতোসব নরকের কীট
শয়তানের ক্রীতদাস ।
যারা অন্ধকারে মেতে ওঠে উল্লাসে
সুযোগ পেলেই মেতে ওঠে পৈশাচিকতায় ,
সমাজের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা
নারী শরীর খেকো কাপুরুষ হায়নার দল ।
নখের আঁচড়ে ফালাফালা করে
মায়ের জাতের সম্মান ,
দাঁত দিয়ে খুবলে খুবলে খায়
বোনের জাতের রাখী আর ভাঁইফোটার মান ।
রক্তলোলুপ জিভ দিয়ে পান করে
স্ত্রী জাতের আত্মমর্যাদার শোণিত ,
হরষে মেতে ওঠে দেশমাতৃকার
বসন খুলে নগ্ন রূপ দেখতে ,
আমাদের এই অভাগা স্বাধীন দেশ
কাপুরুষতায় উন্নীত ।
আমাদের চারিপাশে লাখো - কোটি মানুষ
তবুও কেনো জানি না
আমি মানুষ দেখতে পাই না ,
শুধুই কতোগুলো হায়নারূপী নরখাদক
কাপুরুষ দেখতে পাই ।
