জীবনের গান
জীবনের গান
এসব পড়ন্ত রোদের কাছে এলে বোঝা যায়,
জীবনের কোন অর্থ ছিল না ,
বানিয়ে তোলা পুরোপুরি কাকতলীয় ঘটনার সমষ্টি ছাড়া
কিছু হতে পারে না,
শিল্পের বিকাশ হলো ফসল উৎপাদন, ঘরবাড়ি, রুচিশীল হতে হতে ,
ঘরের মধ্যে ঘরের দরজা খুলে
নিশ্চিত বিশ্রাম, বিনিময়ে পরিশ্রম --
এলো ফাঁকি দিয়ে উচ্ছিষ্ট খাবার কেড়ে খেয়ে সংঘবদ্ধ হায়না, তবুও
এরা পা ভাঙে , কান ছিঁড়ে ফেলে --
সিংহীরা টেনে খায় সিংহের চামড়া ।
মানুষের মধ্যে মানুষের প্রবাহ অরণ্যের কাছে এসে হাজির হয়।
সৃষ্টি, সম্পর্ক সিংহীর পরিবারের কাছে এসে বোঝা যায়, মাসি ,পিসি ফরম্যাট।
উন্নতি , একটু একটু গড়ে তোলা
এই চিকিৎসা, এই খাদ্য --
পরম সম্বর্ধনা সংস্কৃতি বয়ে নিয়ে চলা ।
পিতার কাছে , মাতার কাছে , হৃদয়ের প্রতিবেশী ঈর্ষান্বিত বন্ধু, জুগুপ্সা লালিত সময়ের সত্য তবুও সত্য নয় । আমরা সংঘাত, ভাবনার আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে ,
শেষে তোমার কাছে এসে বসি --
বুক ভরা হাসি , একটু একটু করে
চাওয়া ও পাওয়া, একটি ক্ষণস্থায়ী হিক্কার সম্মুখীন হয়তো কথা বা না বোঝা ভাবনা বা সাংকেতিক হত্যা যদিও ঘটে , তবুও আমার কেউ --
এসো হে সূর্য মধ্যে এসো , জীবন ফেরে না আর প্রভাতের গানে,
জীবন ফেরে না আর মধ্যকালে,
লোকজন ফুলের পাপড়ি খুলে নিয়ে হেসে ওঠে শিয়ালের মুখের মতো।
এসব অলস সুখী দেহজীবী আশ্রয় ছেড়ে যদি বর্তমানের কোনো কথার উত্তর আসে না আর।
আমরা মরেছি , সমবেত রুদালীর কাছে । এ দেশে আইন নেই, বিচার নেই, মুক্ত জীবন নেই।
সংস্কৃতি পরিবার পরিকল্পনা ছাড়া
একটি ক্ষণস্থায়ী হেঁচকির কাছে
সব অধিকার কেন যাবে --
পিতার, মাতার সাথে বিচ্ছেদ স্বীকার করে নাও,
ভাই আর রইলো না ভাই । বোন আজ পরবাসী, আদেশনামা নেই।
অথচ একফোঁটা গরুর চোনা, সেই অবস্থান দুধের থেকেও দামি।
শতাংশ অধিকার সবার থাকা উচিত ছিল।
অথচ শৃগালিনী , সিংহীর সব অধিকার ফলে বিপরীতে।
অভিনয় পথ দরকার ছিল জানা ,মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে উত্থান নেই,
মিথ্যা এত সহজে পালিত হয় , ভাঙনের সুর লাগে পানসিতে।
পড়ন্ত রোদের কাছে জীবন জেনেছে এত,
বৈষয়িক বিচিত্র দাঁত চেপে ধরে আমার আমিকে ছাড়া টাকা ,
পদ এসব আস্বাদনীয় হল না তাদের।
তবুও সহজ জলের মতো জীবন এসে বোঝে , এত প্রিয়জনের মৃত্যু, এত হৃদয়ে জমা পোড়ামুখোদের বিষের জ্বালানি, উদ্বাহু করে না কখনো ওদের মতো হতে। নিজের সাজানো মাটির দাওয়া, প্রিয় প্রদীপের আলো , প্রিয় পালাগান পদাবলী , প্রিয় বাবা , আত্মীয় স্বজন, উঠানে শস্য, পোষ্যদের আনাগোনা ,নিকানো উঠান। বুকের মধ্যে এক ঝাঁক উষ্ণতার ডানাকাটা কাঁথার মধ্যে এসে থামে। এসব সাধারণ , সাধারণ প্রিয় মানুষের কাছে বসে আলসেমি নয় , সৃজনশীল জীবনের কথাকাহিনীর আনন্দ মিছিল। এসব হবার নয়, অথচ অসম্ভব ছিল না সেদিন। আজ পড়ে থাকা শ্মশানে শকুন কুকুরের উচ্চস্বরে বুঝি, বদলানো যাবে না স্বভাব ,তথাপি নিজের মতো হতে হলে জানলা বন্ধের কৌশল জানলা ছাড়া অসম্ভব।নিজে সহজ ভালো না থাকা গেলে , নিজের প্রিয়মুখ প্রিয় হয়েও শোকার্ত গান ছাড়া অন্য কোনো আকাশ হয়ে ওঠে না ।
