জাপোটেক
জাপোটেক
কত আলো, কত খুশী, আছে কত আধুনিক ইমারত,
সমুদ্র, পাহাড়, জমজমাট নগর ও নানা জলপ্রপাত।
আছে কিছু সুউচ্চ পিরামিড, সূর্য ও চাঁদের মন্দির,
কিন্তু সুখি কাউবয়দের দেশেও রয়েছে যে অন্ধকার।
কতজন্মের ভার এভাবে বয়ে চলেছে বংশপরম্পরায়,
হয়তো দাস প্রথার মাধ্যমেই এসেছিলো মেক্সিকোতে,
"রিভার ব্লাইন্ডনেস" ছড়ায় ব্ল্যাক ফ্লাই মাছির মাধ্যমে,
এই রোগ যে এখনও রয়ে গেছে এখানে কোনোমতে ।
এখানকার একটি গ্রামের নাম নাকি টিলটেপেক,
সুস্থ স্বাভাবিক ভাবেই এখানে জন্ম নেয় জাপোটেক।
এই জনজাতির লোকেরা ক্রমে অন্ধ হয়ে যায়,
শুধু যে মানুষই অন্ধ হয়, তা কিন্তু মোটেও নয়!
পশু কিংবা পাখি সকলের বেলাতেই এমন হয়।
কোনো জানালা নেই ওদের বানানো থাকার ঘরের,
অন্ধের কাছে কি ই বা তফাৎ আছে দিন ও রাত্রির!
আলো ঘরে এলো, কি এলোনা, তাতে কি এসে যায় !
ওদের ধারণা গুলোও তাই বুঝি কেমন অদ্ভুত,
লাবজুয়েলা নামে এক গাছ নাকি শয়তানের দূত!
ঐ গাছের কারণেই নাকি সকলে দৃষ্টি শক্তি হারায়,
কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এমন প্রমাণ কোথায় ?
দীর্ঘ দিন ধরে গবেষণা করে দেখা গেছে,
ব্ল্যাক ফ্লাই ব'লে একরকম মাছি আছে।
তারাই ছড়িয়ে দেয় এই রোগের জীবানুর সংক্রমণ,
পরজীবী এক কৃমি, বংশবৃদ্ধি করে প্রানীর শরীরে,
চুলকুনি, অন্ধত্ব ও ঘন অরণ্যে ঘেরা গ্রামের জনগন।
মাছিদের নদীর মতোই, চোখ চাই কৃমির লার্ভাদের!
অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে রাজি সরকার,
করতেই হবে জাপোটেক দের স্হানান্তরিত করণ ।
কিন্তু জ্ঞানের আলোর প্রকাশ নেই যেখানে,
কি করে গ্রাম ছাড়ার কথা বোঝানো যায় সেখানে !
দুঃস্বপ্নের ঘেরাটোপে ঘেরা যে পিতৃপুরুষের ভিটে,
ছাড়লেই বাঁচবে ভালো ভাবে, এইটুকু বুদ্ধি নেই ঘটে !
যদি থাকতে পারে ওরা সুন্দর খোলা আবহাওয়াতে,
হয়তো নবজন্ম লাভ হবে জাপোটেকদের এক প্রাতে।