STORYMIRROR

Paula Bhowmik

Tragedy Inspirational

3  

Paula Bhowmik

Tragedy Inspirational

হ্যান্ডলুমের শাড়ি

হ্যান্ডলুমের শাড়ি

1 min
319

পরনে লাল পাড় শাড়ি আর কপালের টিপে সিঁদুর,

দিনে দিনে হলো নানা রঙে ছাপা শাড়ি গ্রাম্যবধূর।

নাইবা পেলো ঢাকাই শাড়ি, দুঃখ নেই তাতে ভারী,

ঘরে ঘরে আজ পৌঁছে গেছে যে হ্যান্ডলুমের শাড়ি।

পাঁচ সাতশো টাকাতেই নানান সুতোর কাজ রকমারি,

রূপ খুলে যায় গ্রামের মেয়ের, আহা মরি মরি !

পছন্দ তাদের শাখা পলার সাথে দু একটা চুড়ি টুড়ি।

দুগ্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী না হোক, মনে হয় কোনো দেবী,

নাইবা হোলো সেজেগুজে পটের বিবি, 

মনে আঁকা থাক সাধারণ এক ছবি!

শহরে তো কে যে মেয়ে আর কে যে বৌ, 

দেখে বোঝার কোনো সহজ উপায় নেই,

বর মারা গেলেও পোষাক পাল্টাবার দরকার নেই।

নিরামিষ খাবার খেতে বারন করেন ডাক্তার , 

সকলের শরীরেই তো প্রোটিন এর দরকার! 

তাতে অবশ্য আমার আপত্তির কিছু নেই!

আমাকে তো ভাবায় ঐ গ্রামের মেয়ে বৌরাই।

একটা মেয়ে বিয়ের পর, 

পায় শাখা-সিঁদুর পরার অধিকার।

কারো বৌমা, কারো কাকিমা, কারো বৌদি বা মামি, তাতে নিশ্চয়ই বাড়ে সম্মান তার।

এয়োস্ত্রীর চিন্হের আসল অর্থ, 

আইনত একমাত্র স্বামীর সাথেই তার, 

আছে যৌন সম্পর্কের অধিকার। 

কিন্তু হঠাৎ স্বামী মারা গেলে কেন হারাবে ঐ মান ?

যদি অন্য কাউকে আবার ইচ্ছে থাকে বিয়ে করবার,

তাহলে তবু মানা যায় ত্যাগ করা ঐসব শাখা, সিঁদুর।

সমাজের মাথাদের কি জানা আছে এর উত্তর? 

তা যদি না হয়, নিরামিষ খাওয়াটা তবু মানা যায়,

কিন্তু অরক্ষনীয়া চিহ্নে দুষ্ট লোকের অন্যরকম দৃষ্টি! 

এটা সহ্য করা তো আমার মতে রীতিমত অন্যায়। 


Rate this content
Log in

Similar bengali poem from Tragedy